ফয়সল ইসলাম,সিনিয়র রিপোর্টার, দৈনিক গ্রামের কাগজ,যশোর। মোবাইল : +৮৮০১৭১৩৪০৫১৫৭
কাগজ সংবাদ : যশোর এম এম কলেজে এইচএসসি কোর্সে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। গতবারের তুলনায় এবছরই দ্বিগুণ ভর্তি ফরম বিক্রি হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষাদানের জন্য প্রস্তু'তি নিয়েছে কলেজ কর্তৃপ। কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা ও শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আগ্রহ নষ্ট করার জন্য একটি প নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কলেজ প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, এইচএসসি কোর্সে এ কলেজে আসন সংখ্যা ৪শ ৫০ টি। দীর্ঘদিন পর ২০০৮ সালে এ কোর্স চালু করায় গেল বছর শিক্ষার্থীদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতায় মানসম্মত শিক্ষাদানের ফলে এ বছর শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ভর্তির জন্য আগ্রহী ১১শ ২০ জন শিক্ষার্থী এবার ফরম সংগ্রহ করেছেন। যাচাই বাছাই শেষে সীমিত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।
এইচএসসি কোর্স সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কলেজে রয়েছে কড়া নিয়ম কানুন। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ভাল করা ও আচার-আচরণ সুন্দর করার জন্য গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওলিয়ার রহমানের নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট স্পেশাল মনিটরিং কমিটি রয়েছে। শৃংখলা রার জন্য ও শিক্ষার্থীদের দেখাশুনার জন্য প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ও ১১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১০ সদস্য বিশিষ্ট দু'টি কমিটি কাজ করে। এছাড়া উপাধ্যরে নেতৃত্বে কলেজের সকল বিভাগের প্রধানগণের সমন্বয়ে পরিবেশ সুরার জন্য একটি কমিটি কাজ করছে।
কলেজ প্রশাসনের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এম এম কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হয় অন্য কলেজে।
অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা এ কলেজে পরীক্ষা দিতে আসলে নির্দিষ্ট একটি ভবন নির্ধারণ করা হয়। অন্য ভবনগুলোতে যথানিয়মে কাস চলে। এইচএসসি কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রথম থেকেই যতœসহকারে পাঠদান করানো হচ্ছে। তাদের অসুবিধা হয় এমন কোন সিদ্ধান্ত কর্তৃপ নিচ্ছেন না। শুরু থেকে অদ্যাবধি এইচএসসি কোর্সের শিক্ষার্থীদের কোন কারণে কাস বন্ধ করা হয়নি।
যেকোন সংকটে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের কাস নেয়া হয়। এ কোর্সের শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম রয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে বা বাইরে কোন শিক্ষার্থীকে অশালীনভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেলে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হয়। এছাড়াও কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তাদের জড়াতে দেয়া হয় না। কর্তৃপরে কড়া নির্দেশে কোন শিক্ষার্থী রাজনৈতিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারেন না।
ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠে সুশৃংখল পরিবেশে শিক্ষাদান হওয়ায় ঈর্শ্বান্বিত হচ্ছে একটি প। নানা অপপ্রচার চালিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোসহ সঠিকভাবে কোর্স পরিচালনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।