বুয়েট আজ শনিবার বিকেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি এবং এ নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়। বুয়েট বন্ধ করার জন্যে ছাত্রদের আন্দোলন যৌক্তিক কি অযৌক্তিক তা নিয়ে কিছু নাই বা বললাম। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত সংবাদের কিছু বিকৃত তথ্য সংশোধন করা উচিত বলে মনে করছি।
প্রচারিত সংবাদে বলা হয়েছে, '০৫ ব্যাচের ছাত্ররা বিশ্বকাপ উপলক্ষে ক্লাস পিছানোর বিপক্ষে ছিল।
অথচ প্রকৃতপক্ষে বুয়েটের মোটামুটি সব ব্যাচেরই কিছু ছাত্র এর পক্ষে এবং কিছু ছাত্র বিপক্ষে ছিল। বিশেষ করে '০৫ ব্যাচের অনেক ছাত্র ক্লাস পিছানোর পক্ষে ছিল।
আজ সকালে ক্লাস পিছানোর পক্ষের ছাত্ররা বুয়েট মেইন গেইটের সামনে অবরোধ করে....তখন '০৫ ব্যাচের এক ছাত্র (হাসান; বিভাগঃCSE;শের-এ-বাংলা হল;বুয়েট) মেয়েবন্ধু সহ বুয়েটে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন বুয়েট গেটে অবস্থানরত ছাত্ররা তাকে ঢুকতে বাধা দেয়। সে তখন '০৭ ব্যাচের এক ছাত্রকে হঠাৎ চড় মারে।
(আমি যতদূর জানি, '০৫ ব্যাচের ওই ছাত্রও ক্লাস পিছানোর পক্ষেই ছিল। )এই নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে '০৫ ব্যাচের কয়েকজন(যারা নিজেদের ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে প্রমানের চেষ্টায় ব্যস্ত) রড, স্ট্যাম্প নিয়ে হামলা করে। মারামারিতে কয়েকজন ছাত্র আহত হয় (মম '০৭, রাফী '০৬, ফাইরুজ '০৬, আরেফীন '০৫)। যদিও এই ঘটনার সাথে ব্যাচের কোনো সম্পর্ক নেই...কিন্তু কতিপয় নেতা(!)(মিকি '০৫, বাপ্পী '০৫, বিতু '০৫, রানা '০৫, রডনি '০৫, রাহুল '০৫) এই ঘটনাকে ব্যাচ ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে।
সত্যিকার অর্থে আমিও এইভাবে ক্লাস পেছানো-বিরোধী একজন সাধারন বুয়েট ছাত্র।
আজ ভাবতেই লজ্জা হয়, বুয়েটে এই ধরনের হীন রাজনীতির শিকার হচ্ছে সাধারন ছাত্ররা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।