"আকাশে নক্ষত্র দেখে নক্ষত্রের মতন না হয়ে পারিনি আমি / নদী তীরে বসে তার ঢেউয়ের কাঁপন, / বেজেছে আমার বুকে বেদনার মত / ঘাসের হরিৎ রসে ছেয়েছে হৃদয়"। _আহমদ ছফা
লাল ইস্তাহার
-- অরুণ মিত্র
প্রাচীরপত্রে পড়োনি ইস্তাহার?
লাল অক্ষর আগুনের হলকায়
ঝলসাবে কাল জানো!
(আকাশে ঘনায় বিরোধের উত্তাপ,
ভোঁতা হয়ে গেছে পুরনো কথার ধার।)
যুগান্ত উৎকীর্ণ : এখন পড়ো
নতুন ইস্তাহার।
ভিড়ে ভিড়ে খোঁজো ফৌজ আছে তৈয়ার,
প্রস্তুত হাতিয়ার।
শক্ত মুঠোয় স্বর্গ ছিনিয়ে নেওয়া
দেবতারা পারে ঠেকাতে আর কি বলো?
শৃঙ্খলে এল সৈনিক-শৃঙ্খলা,
উঁচু কপালের কিরীট যে টলোমলো।
নিঃশ্বাস চাই, হাওয়া চাই, আরো হাওয়া!
এই হাওয়া যাবে উড়ে --
দেবতারা সাবধানী --
ঘোরালো ধোঁয়ায় হাঁপাবে অন্ধকার,
মানুষেরা, হুঁশিয়ার।
ঘরের জানলা হয়তো বিপদ ডাকে;
মরচে-ধরা ও ঝিমানো গরাদগুলো
গোপন রেখেছে আবছা গারদ নাকি?
ঘরের মানুষ, মৃত রাত নয় ভুলো।
প্রাচীরপত্রে অক্ষত অক্ষর
তাজা কথা কয়, শোনো;
কখন আকাশে ভ্রূকুটি হয় প্রখর
এখন প্রহর গোনো।
উপোসী হাতের হাতুড়িরা উদ্যত,
কড়া-পড়া কাঁধে ভবিষ্যতের ভার;
দেবতার ক্রোধ কুৎসিত রীতিমতো;
মানুষেরা, হুঁশিয়ার!
লাল লক্ষরে লটকানো আছে দ্যাখো
নতুন ইস্তাহার।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।