আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৬ জুন : সংবাদপত্রের কাল দিবস



সংবাদপ ে ত্র র কাল দিবস ১৬ জুন: আজ শুরুটা একটা গল্প দিয়ে করতে চাই। এক দেশে এক চোর ছিল। এ চোরের বৈশিষ্ট্য ছিল সে শুধু মোরদার (মৃত ব্যক্তির) কাফনের কাপড় চুরি করতো। তার এধরনের চুরির কারণে ঐ সমাজের সকল লোক অতিষ্ট ছিল। ঐ সমাজের লোকজন চুরির হাত থেকে বাঁচতে ঐ চোরের মৃত্যু কামনা করে দো’য়া করতো।

মৃত্যুর আগে একদিন এ চোর তার তিন ছেলেকে ডেকে বললো বাবারে আমি মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে তোমাদের একটা অছিয়ত করে যেতে চাই। আর তা হলো আমি মারা গেলে তোমরা আমার চুরি পেশা চালিয়ে যাবে। তবে এমনভাবে চুরি করবে যেন সমাজের লোকেরা আমার প্রশংসা করে। আমাকে ভাল বলে। বৃদ্ধ চোরের মৃত্যু হলো।

চোরের তিন ছেলেসহ সকলে মৃত চোরের দাফন করে এলো রাতে চোরের তিন ছেলেরা কবরস্থানে গিয়ে সকল মৃত ব্যক্তির দাফনের কাপড় চুরি করে আনলো। এমন সময় এক ছেলে তার বাবার অছিয়তের কথা স্মরণ করে অন্য ভাইদের তা মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করলো। তারা পরামর্শ করে দাফনের কাপড় চুরির পর লাশ গাছে বেঁধে রেখে দিল। জনগণ চোরের তিন ছেলের এ ধরণের অদ্ভুদ চুরির কান্ড দেখে বলাবলি করতে শুরু করলো তিন চোরের চেয়ে তাদের বাবাই ভাল ছিল। কারণ সেতো কেবল কাফনের কাপড় চুরি করতো আর তার ছেলেরা তো কাফনের কাপড় চুরি করে আবার লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে।

এরাতো তার বাবার চেয়ে নিষ্ঠুর চোর। এদের চেয়ে তো তাদের বাবাই ভাল ছিল। সে চুরি করতো, কোন লাশ তো আর গাছে ঝুুলিয়ে রাখতো না!!! প্রথম শুরুটা গল্প দিয়ে হলেও অনেকের এখনও গল্পের মর্মকথা ও শানে নুযুল হয়ত বুঝতে কষ্ট হবে। আপনাদের সুবিধার্থে কিছু ঘটনা তুলে ধরছি- তবে আগেই বলে রাখি এ গল্পের কোন ঘটনা বা চরিত্রের সাথে কারও চরিত্র মিলে গেলে তা নিতান্তই কাকতালীয় ব্যাপার। (ক) কাজী জেসিন আজকের গণমাধ্যম জগতে মেধাবী মুখ।

চমৎকার উপস্থাপনা, নান্দনিক বচন ভঙ্গি এর চেয়ে আরো আকর্ষণীয় তার সাবজেক্ট চয়েজ! বাংলা ভিশনের জনপ্রিয় টকশো অনুষ্ঠান ‘পয়েন্ট অব অর্ডার’ তার জনপ্রিয় অন্যতম একটি অনুষ্ঠানের নাম। সা¤প্রতিক সময়ের নানা ঘটনা প্রবাহ নিয়ে সাজানো লাইভ অনুষ্ঠান। যা সরকারী দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র তুখোর তার্কিকদের নিয়ে সাজানো। হঠাৎ বন্ধ করে দেয়া হলো। বাংলা ভিশন ও প্রচার মাধ্যমের মার্ফতে জানা গেছে এই লাইভ অনুষ্ঠানটি প্রচারের ফলে জনমত সরকারের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় তা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এও জানা গেছে এ অনুষ্ঠানে লাইভ অংশ গ্রহণ করতে আসা অতিথিদের কে পথিমধ্যে ফোন করে ফেরত যাওয়ার জন্য বাংলা ভিশন কর্তৃপ অনুরোধ করেছেন .........। (খ) রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ। নতুন কিছু নয়। এর আগেও খুলনা, সিলেট ও চট্টগ্রামে মহাসমাবেশ হয়েছে। প্রায় সকল স্যাটেলাইট বেসরকারী টিভি চ্যানেলগুলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য লাইভ স¤প্রচার করেছে।

জনগণেরও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত। সরকার অসহিষ্ণু হয়ে হঠাৎ রাজশাহী মহাসমাবেশের অনুষ্ঠান যেন চ্যানেলগুলো লাইভ স¤প্রচার না করে তার মৌখিক নির্দেশ জারি করে। এমনকি কয়েকটি টিভি চ্যানেল তাদের লাইভ স¤প্রচারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে ফেললেও তা আবার গুটিয়ে নেয়। খবরে দেখলাম একটি টিভি চ্যানেল এর কলাকুশলী ও সিনিয়র সাংবাদিকরা এ ধরণের নির্দেশনার কারণে টাংগাইল থেকে ঢাকা ফেরৎ এসেছেন। অবশেষে তাই হলো স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো রাজশাহীর মহাসমাবেশ লাইভ স¤প্রচার থেকে বিরত থাকলো।

(গ) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিককে যখন সকল ছাত্র সংগঠনের সহঅবস্থানের কথা বলার অপরাধ ছাত্রলীগ নামধারী ক্যাডার ছাত্ররা ঐ শিককে কান ধরে মা চাওয়াতে বাধ্য করেছিল এ খবর প্রচার করার অপরাধে ৬ জন সাংবাদিককে হত্যার হুমকি নতুন কিছু নয়। সাংবাদিকদের আন্দোলনের ফলে যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঐ ক্যাডার দের বরং উৎসাহিতকর বিচার করেন। “৩০ দিনের সামারভ্যাকেশনের আগের দিন অভিযুক্তকে এক মাসের জন্য বহিস্কার করে" যা প্রহসন ও লজ্জার বটে। (ঘ) দিগন্ত টিভির জনপ্রিয় টকশো সবার আগে দেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি বলা হয়েছে টকশো থাকলেও সেখানে টকার হিসেবে কাকে রাখবেন তা ঠিক করবে সরকার।

এমনিভাবেঅলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারী করার মধ্য দিয়ে সরকার চ্যনেলের টকশোগুলোকে সেন্সর করছে। নিজেদের পছন্দের লোকদের উপর তাদের ভরসা নেই তারা বলছে তাদের ঘরনা যে সমস্ত সাংবাদিক, কলামিষ্ট বাগ্মীতায় পটু নয় তাদের কে নাকি কয়েকটা টিভি চ্যানেল আমন্ত্রণ জানিয়ে সরকারের বিপে ভুল চিত্র তুলে ধরছেন। ১৪ মে ২০১০ তারিখে বিয়াম মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক পরিষেদের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে ড. মাহফুজউল্লাহ কে উদ্দেশ্য করে আর এক সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছেন সরকার গতকাল রাতে ৫ জন বিশিষ্ট ব্যাক্তিকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছেন যাদের মধ্যে রয়েছেন ড. মাহফুজউল্লাহ, মাহমুদুর রহমান (সম্পাদক, আমার দেশ), সাংবাদিক নূরুল কবির (সম্পাদক, নিউ এইজ),কলামিষ্ট আসাউদ্দৌলা উল্লেখযোগ্য। (ঙ) সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা দিন দিন উদ্বেগজনগ হারে বেড়েই চলছে। জাতীয়তাবাদী সাংবাদিকদের মহাসমাবেশে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতনের খন্ড চিত্র ফুটে উঠেছে।

আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সরকারের দুর্নীতি, অনিয়মের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তার বিরুদ্ধে ৩ ডজন মামলা দিয়েছে এমনকি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েক বার। এ সময়ের সাহসী পুরুষ, অকুতোভয় সাংবাদিক নূরুল কবিরে (সম্পাদক, নিউ এইজ) ভূমিকার কারনে সহ্য করতে পারছে না ফলে তাকেও হত্যার নানা চেষ্টা আমরা ল্য করছি। এমনকি তার গাড়িতে মটর সাইকেল আরোহী সন্ত্রাসীরা হকিস্টিক দিয়ে পথিমধ্যে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। বিশ্ব সংবাদপত্র স্বাধীনতা দিবস ছিল ৩ মে। এ দিবস উপলে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এক বিবৃতিতে বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি মৌলিক মানবাধিকার।

তিনি তার বক্তব্যে গত বছর (২০০৯) বিশ্বে ৭৭ জন সাংবাদিক হত্যার কথা উল্লেখ করেন। এক বছরে সারা বিশ্বে গত বছর ৭৭ জন সাংবাদিক হত্যা হলেও উল্লেখ যে,শুধু বাংলাদেশেই গত ষোল মাসে ৫জনকে হত্যা করা হয়েছে। (চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গ কার্টুন আকাঁর প্রতিযোগিতা আহŸান করায় যখন সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠেছে। আলেম সমাজ যখন এর বিচার ও ফেস বুক বন্ধ করার দাবী জানিয়ে আসছিল তখনও ফেস বুক বন্ধর কোন উদ্যোগ নেয়া হলো না অথচ খবরে প্রকাশ যখন ঐ ফেস বুকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করে কার্টুন প্রকাশ করা হলো তখন হঠাৎই সুপার গতিতে বন্ধ করে দিল সরকার ফেইস বুক। রাতেই জঅই গ্রেফতার করলো এই অপকর্মের দায়ে পুরান ঢাকা থেকে সিডি, ল্যাপটপসহ একজনকে।

প্রসংঙ্গ ঈঝই- ২০০৭ সাল তখন দেশে চলছে মঈন উদ্দিন- ফখরুদ্দিনের জরুরী সরকার। তিতুমির কলেজের ছাত্ররা তৎকালীন সরকারের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে রাজপথে নামলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি নতুন প্রতিবাদের মাত্রা দিল তিতুমিরের স্মৃতি বিজরিত কলেজের ছাত্ররা। সড়ক অবরোধ, পুলিশ ও সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য বিােভ গণ বিষ্ফোরণে রূপ লাভ করলো। আর সে বিােভ, প্রতিবাদের সচিত্র প্রতিবেদন সরাসরি প্রচার করছিল তখনকার একমাত্র সংবাদ নির্ভর টিভি চ্যানেল ঈইঝ।

সরকারের রোষানলে পড়তে হলো তাকে হঠাৎই বন্ধ করে দেয়া হলো এ জনপ্রিয় চ্যানেল ঈঝই। সে সময় জরুরী সরকারের এ পদেেপর স্বল্প পরিসরে প্রতিবাদ হলো বটে কিন্তু আজও ঈইঝ তার সম্প্রচার ফিরে পেল না। সে থাক জরুরী সরকারের কথা। জরুরী সরকারের সময় মানুষের বাক স্বাধীনতা যদিও!!! ছিল না! এবার আসা যাক যমুনা টিভির প্রসংঙ্গ- বর্তমান আওয়ামী সরকার নির্বচনের মাধ্যমে মতায় অধিষ্ঠিত। গণতন্ত্রের লেবাস পরিধান করে এ সরকার আজও মতায়।

জনগণের ম্যান্ডেট সে আর এক প্রসংঙ্গে। ২০ মে ২০১০ আদালত যমুনা টিভি স¤প্রচার বন্ধের চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়। রাতেই আদালতের নির্দেশের পরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী যুদ্ধাংদেহী সাজে সজ্জিত হয়ে যমুনা টিভির কার্যালয় সিল করে দেয়। দেশবাসী প্রত্য করেছিল অন্য চ্যানেরগুলোর সুবাধে পুলিশের গুন্ডামী আচরণ। সরকার বাহাদুর অবশ্য মিচকী হেসে নিরব থেকেছে।

সরকারের তথ্যমন্ত্রী মহোদয় অবশ্য বলেছেন আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আদালতের রায় বাস্তবায়ন করেছি মাত্র। অথচ আমরা কী ল করছি- অ্যাটর্নি জেনারেলের একের পর এক টালবাহানা, অযথা সময়পেণ, শুনানির জন্য নির্দিষ্ট দিনে হাজির না হওয়া এবং আদালতের শুনানি সাড়ে ৫ মাসেও শেষ হচ্ছে না। নানা জটিলতা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৬ এপ্রিল থেকে শুনানি শুরু হলেও আদালতের ধার্য করে দেয়া দিনে অ্যাটর্নি জেনারেল উপস্থিত না হওয়ায় এ শুনানি আবারও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। অবশেষে সোমবার শুনানির কথা থাকলেও অন্য একটি মামলার কারনে এ শুনানি হয়নি।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানিয়ে দিয়েছেন, মঙ্গলবার তিনি শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না। গত বছরের ১৯ নভেম্বর বিটিআরসি কোন ধরনের আগাম নোটিশ না দিয়ে আকস্মিক যমুনা টিভির পরীামূলক স¤প্রচার বন্ধ করে দেয়। রিট আবেদনের পর রুল জারির ৫ মাস পর এ বেঞ্চে ২৬ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল শুনানি শেষে আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে রোববার আদালতে উপস্থিত থাকতে বলেন। কিন্তু রোববার অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে অনুপস্থিত থাকেন।

তাই পরবর্তী দিন শুনানি হওয়ার কথা। কিন্তু অ্যাটনি জেনারেল মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ প্রসঙ্গ টেনে একজন সিনিয়র আইনজীবী জানান, অথচ সরকার সমর্থক কতিপয় টিভি চ্যানেল মাসের পর মাস পরীামূলক স¤প্রচার চালালেও বিটিআরসি কোন পদপে নেয়নি। অতি স¤প্রতিও দু’একটি চ্যানেল পরীামূলক স¤প্রচার শুরু করছে। অথচ তাদের অবৈধ অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সরকারের উচিত আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা। ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেন, খবরের কাগজ এবং টিভি চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে কথা বলার স্বাধীনতা দিতে হবে। সরকার যদি এগুলোর গলা টিপে ধরে, তাহলে একের পর এক সব বন্ধ হয়ে যাবে। চ্যানেলগুলো নিয়ন্ত্রণের আইন এমনভাবে করা যে, এর অর্ডার অতিক্রম করলে তার বিরুদ্ধে আপিল করার ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। তিনি আরও বলেন, যে সরকার সব সময় ট্রান্সপারেন্সি, ফ্রিডম অফ স্পিস এবং হিউম্যান রাইটস এর কথা বলছে অথচ সেই সরকারের আমলেই একটি টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হলো।

এই সরকারের আমলে যেসব চ্যানেলের অনুমতি দেয়া হয়েছে সেটার সঠিক প্রক্রিয়া নিয়েও প্রথম আলোর সম্পাদক সমালোচনা করেন। তিনি আরও বলেন, এভাবে গণতন্ত্র বিকশিত হয় না, বরং বাধাগ্রস্ত হয় (সূত্র: যুগান্তর ০৪.০৫.২০১০)। এরপর এলো চ্যানেল ওয়ান বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের একধরনেন মুখপাত্রই বলা চলে। চ্যানেলটির সা¤প্রতিক সময়ের জোড়ালো ভূমিকা সরকারের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেল। অনেকদিন ধরেই চলছিল বন্ধ করার উদ্যোগ।

হঠাৎ ছুতো অজুহাতে রাতের আধারে বন্ধ করে দেযা হলো বিরোধী দলের মুখপাত্র বলে খ্যাত চ্যানেল ওয়ান। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। মানব বন্ধন র্যালী, বক্তৃতা, বিবৃতি ইত্যাদি। ‘সম্ভবনার কথা বলে’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে ২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারি চ্যানেল ওয়ান যাত্রা শুরু করে। কিন্তু চার বছরের মাথায এসে হোঁচট খেতে হলো চ্যানেলটিকে।

২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে বিটিআরসি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই চ্যানেলটির তরঙ্গঁ বরারদ্ধ বাতিল করে দিয়ে স¤প্রচার বন্ধ করে দেয়। চ্যানেলটি বন্ধে সরকারের হাত কতটুকু আছে বা নেই তা জনগণই বিচার করবে। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারী স্যাটেলাইট চ্যানেল ওয়ানের স¤প্রচার “বন্ধই থাকবে” বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেছেন, সম্পূর্ণ আইনগতভাবেই চ্যানেল ওয়ানের স¤প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা এ নিয়ে আদালতে গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যের মধ্য দিয়ে জনগণ চ্যানেল ওয়ান বন্দের মূল কারণ খুঁজে বেরুবে। (সূত্রঃ আমার দেশ ০৪.০৫.২০১০) প্রসংঙ্গ আমার দেশ সরকার ৩১.০৫.২০১০ -০১.০৬.২০১০ রাতেই বন্ধ করে দেয় আমার দশে। ঐ দিন তাত্ক্ষনকিভাবে আমার দশে র্কাযালয়ে সংবাদ সম্মলেনে আমার দশে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলছেনে, র্বতমান সরকার তার ফ্যাসবিাদী আচরণরে মাধ্যমে সংবাদপত্ররে কণ্ঠরোধ করতে চায়। ইতোমধ্যে তারা দু’টি টলেভিশিন চ্যানলে বন্ধ করছে। ে এখন দনৈকি পত্রকিা আমার দশে বন্ধ করে আমাকে গ্রফেতার করার ষড়যন্ত্র করছ।

ে উল্লেখ যে, ঐ দিন ভোর রাতেই গ্রফেতার করা হয় তাকে। গতকাল (৩১.০৫.২০১০ )আমার দশেরে প্রকাশক আলহাজ্ব হাসমত আলীকে এনএসআইয়রে গোয়ন্দোরা বাসা থকেে তুলে নয়িে যায়। দুপুর ২টা র্পযন্ত তাকে এনএসআইয়রে দপ্তরে বসয়িে রাখা হয়। গোয়ন্দোরা তাকে দু’টি কাগজে আমার দশে এর বরিুদ্ধে ব্যবস্থা নয়োর কথা লখিে স্বাক্ষর করতে চাপ দয়ে। যতক্ষন র্পযন্ত তনিি স্বাক্ষর করনেন,ি ততক্ষন তাকে বসয়িে রাখা হয়।

পরে হাসমত আলী দু’টো কাগজে স্বাক্ষর করে র্দীঘ প্রায় ৫ ঘন্টার বন্দদিশা থকেে মুক্তপিান। এরপ্রতবিাদে তাত্ক্ষনকিভাবে আমার দশে র্কাযালয়ে সংবাদ সম্মলেনরে আয়োজন করে। এতে আমার দশেরে সম্পাদক ও চয়োরম্যান মাহমুদুর রহমান বলনে, র্বতমান সরকাররে ফ্যাসবিাদী আচরণরে অংশ হসিবেে আমার দশে বন্ধরে ষড়যন্ত্র করছ। ে আমি অতি র্দুদনিে এই পত্রকিার দায়ত্বিভার গ্রহণ কর। ি এই পত্রকিার দায়ত্বিভার গ্রহণরে সময় ৪০০ সংবাদর্কমী প্রায় এক বছররে বশেি সময় ধরে বতেভাতা পাচ্ছলি না।

তখন সাংবাদকিদরে অনুরোধইে আমি এই পত্রকিার দায়ত্বি নইে। এর আগে সাংবাদকি ও সম্পাদক হসিবেে আমার কোন পরচিয় ছলি না। আমি ছলিাম একজন কলাম লখেক। তনিি বলনে,এই পত্রকিার একটি ধারা আছ। ে তাহলো স্বাধীনতা র্স্বাবভৌমত্বরে পক্ষে কথা বলা।

স্বাধীন র্সাবভৌম রাষ্ট্র হসিবেে বাংলাদশেকে তুলে ধরা। কন্তিু এই পত্রকিার অনকে সংবাদই সরকাররে অনুকুলে যাচ্ছে না এবং তাদরে জন্য সুখকর হচ্ছে না। তাই আমি এখন ৩১টি মামলায় আসামী হয়ে গ্রফেতাররে জন্য অপক্ষো করছ। ি সংবাদ সম্মলেনে মাহমুদুর রহমান নথপিত্র তুলে ধরে বলনে, ■ গত ২৬ এপ্রলি ২০০৯ তারখিে ঢাকার জলো প্রশাসক বরাবর চঠিি দয়ো হয়। এতে বলা হয়, ‘আমি মাহমুদুর রহমান, চয়োরম্যান আমার দশে পাবলকিশেন্স লমিটিডে কোম্পানীর র্বোড অব ডাইরক্টেরস এর সদ্ধিান্ত মোতাবকে দনৈকি আমার দশেরে সম্পাদক নযিুক্ত হয়ে দায়ত্বি গ্রহন করছে।

ি উপরোক্তি বষিয়ে ব্যবস্থা নয়িে বাধতি করবনে। ’ ■ ১৬ জুন ২০০৯ তারখিে বশিষে পুলশি সুপার আমাদরেকে অনাপত্তি পত্র দনে। এতে লখো হয় সংশ্লষ্টি থানা, নগর বশিষে শাখা, ঢাকা ও অত্রাফসিরে রর্কেডে তার বরিুদ্ধে কোন বরিূপ তথ্য পাওয়া যায়ন। ি’ ■গত ৩ সপ্টেম্বের ২০০৯ তারখিে ছাপাখানার রক্ষক ও মুদ্রাকররে নাম পরর্বিতনরে জন্য আবদেন করা হয়। এতে ঢাকার জলো প্রশাসককে জানানো হয়, ‘আমি মাহমুদুর রহমান আমার দশে পাবলকিশেন্স লমিটিডে নামক ছাপাখানার রক্ষক ও মুদ্রকর নযিুক্ত হয়ছে;ি এবষিযে ব্যবস্থা নয়িে বাধতি করবনে।

’ অতরিক্তি জলো ম্যাজস্ট্রিটে আদালত ঢাকার ১৯৭৩ সালরে ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ডক্লিারশেন ও রজেস্ট্রিশেন) আইনরে ৪(২) মোতাবকে ছাপাখানার ঘোষণাপত্র দয়ো হয়। ■গত ৩ সপ্টেম্বের ২০০৯ আমার দশেরে প্রকাশকরে নাম পরর্বিতনরে জন্য আবদেন করা হয়। এতে বলা হয়, ‘আমি মাহমুদুর রহমান, চয়োরম্যান আমার দশে পাবলকিশেন্স লমিটিডে কোম্পানীর র্বোড অব ডাইরক্টেরস-এর সদ্ধিান্ত মোতাবকে প্রকাশক নযিুক্ত হয়ছে। ি’ ■গত ৫ নভম্বের ২০০৯ দনৈকি আমার দশে পত্রকিায় চলচ্চত্রি ও প্রকাশনা অধদিপ্তররে ছাড়পত্র দয়ো হয়। উপ-পরচিালক মাসুদা খাতুন স্বাক্ষরতি ওই পত্রে বলা হয়, ‘আমারদশে পত্রকিার প্রকাশক আলহাজ্ব মোঃ হাসমত আলীর পরর্বিতে জনাব মাহমুদুর রহমানরে নাম প্রতস্থিাপন করার অনুমোদন যতেে পার।

ে এরপরও জলোপ্রশাসকরে র্কাযালয় থকেে অনুমোদন দয়ো হয়ন। ি আমরা বভিন্নিভাবে যোগাযোগ করওে সটো নতিপোরনি। ি বলা হয়ছেে ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর র্কাযালয়ে আছ। ে তনিি বলনে, আজ জুন মাসরে ১ তারখি। ১৯৭৫ সালরে ১৬ জুন র্বতমান প্রধানমন্ত্রী শখে হাসনিার বাবা মরহুম শখে মুজবিুর রহমান মাত্র ৪টি সংবাদপত্র রখেে সবগুলো সংবাদপত্র বন্ধ করে দনে।

তখন সাংবাদকিরা অনকেইে আত্মহত্যা করছেলিনে, অনকেে মুদি দোকান দনে, কউে কউে হকারি করে জীবকিা নর্বিাহ করনে। তরুণ প্রজন্মরে অনকেইে সইে তথ্য জাননে না। আমি আপনাদরে মাধ্যমে সইে তথ্য তরুণপ্রজন্মকে জানাতে চাই। এই সরকার ক্ষমতায় এসে ২টি টলেভিশিন চ্যানলে বন্ধ করে দয়িছে। ে ডজিটিাল বাংলাদশেরে স্লোগান দয়িে ফসেবুক বন্ধ করে দয়িছে।

ে এখন তারা জাতীয় দনৈকি বন্ধরে চক্রান্ত শুরু করছে। ে তারই অংশ হসিবেে আমার দশেরে প্রকাশককে ধরে নয়িে যাওয়া হয়ছে। ে দলমত নর্বিশিষেে সকল সাংবাদকি ও সংবাদ মাধ্যমরে উচতি এর বরিুদ্ধে এগয়িে আসা। আমরা আইনরে মধ্যে থকেে বস্তুনষ্ঠিভাবে আমাদরে মত প্রকাশ করবো। সরকার এখন আমার দশে বন্ধরে চষ্টো করছ,ে কাল অন্য পত্রকিা বন্ধরে ষড়যন্ত্র করবে এটাই স্বাভাবকি।

আমাদরে দয়িে শুরু, আপনাদরে দয়িে শষে হব। ে তাই সকলরে উচতি সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে এর প্রতবিাদ জানানো। (সূত্রঃ আমার দেশ ০১.০৬.২০১০) চ্যানেল ওয়ান, যমুনা টিভি ও আমার দেশ যদি সরকার বন্ধ করে দিয়ে না থাকেন। তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে প্রধানমন্ত্রী কেনই বা মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে মন্তব্য করলেন চ্যানেল ওয়ানের সম্প্রচার বন্ধই থাকবে (০৪.০৫.১০ তারিখের সকল সংবাদ মাধ্যম সূত্রে)। আর আদালতে বিচারাধীন একটি মামলার যখন দেশের নির্বাহী জায়গা থেকে এ ধরনের মন্তব্য সম্বলিত আদেশ প্রকাশ্যে আসে তবে অপ্রকাশ্যে আরও কত আদেশ দেয় হয় তা আমরা জানি না।

এ আদেশের পর আদালত কি পারে তার স্বাধীন অবস্থান থেকে রায় দিতে। এ প্রসঙ্গে নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবির বাংলা ভিশন চ্যানেলের সঙবাদ সারাদিন অনুষ্ঠানে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন “প্রধানমন্ত্রী যদি পত্রিকা বন্ধ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত নাই থাকেন তাহলে জেলা প্রশাসক কেনই বা বললেন আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশক সংক্রান্ত ফাইল প্রধানমন্ত্রীর দফতরে” । তাহলে উনি কি এখন ঢাকার ডিসির দায়িত্বটাও কাধে নিয়ে নিলেন। আওয়ামী রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোজাম্মেল বাবু ১৯ মে আর টিভি’র রোড টু ডেমোক্রেসি সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে অনেক তথ্য তুলে ধরে বলেছেন বিএনপির আমলে সাংবাদিক বালু হত্যা সহ অন্তত দশ জন বড় মাপের সাংবাদিক হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তার এ বক্তব্য যদি সত্য হয় তবে বর্তমান সরকারের মাত্র ১৬ মাসেই হত্যা করা হয়েছে ৫ জন সাংবাদিককে ।

এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে। ৫ বছর পূর্ণ হতে এই সংখ্যা কত তে গিয়ে ঠেকে দেখ যাক। মোজাম্মেল বাবুর ভাষায় বিএনপি জামায়াত ১০ জন সাংবাদিক হত্যা করেছে এর প্রতিকার হিসেবে এই সরকারের সময়ে মাত্র ৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে এটা তেমন কোন ঘটনা নয়। আসলেও তেমন কোন ঘটনা নয়। কারণ দেশ স্বাধীনের পর দুর্ভিরে সময় সন্তানের মাথায় “সোনার মুকুট পরিয়ে বিয়ে দেয়ার ঘটনা বাংলার বানী পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ যখন ছাপা হয়েছিল তখন ঐ পত্রিকার কি অবস্থা হয়েছিল সচেতেন মহলের তা অজানা নয়।

শেখ মুজিবের শাসনামলে (বাবা’র শাসনামলে) আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় গনকন্ঠ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয় তার পোষ্য মুজিব বাহিনীর ক্যাডাররা গনকন্ঠ অফিস ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে, আগুনদিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল, গ্রেফতার করা হয়েছিল গনকন্ঠের সম্পাদক আল মাহমুদকে। আর ’৭২, ’৭৪, ’৭৫-এর ১৬ জুন মাত্র ৪টি পত্রিকা (২টি দৈনিক, ১টি সাপ্তাহিক, ১টি মাসিক) এর মধ্যে ২টি বাংলা ও ২টি ইংরেজী পত্রিকা রেখে বাকী ২২২ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। এ হলো মিডিয়াবান্ধব দল আওয়ামী লীগের চিত্র!! শেখ মুজিবের সুযোগ্য কন্যাও অবশ্য কম যায়নি। অবশ্যই তার সাথে অসংখ্য সংবাদপত্রের ব্যবসায়ী আছেন।

আরো আছেন টেলিভিশন চ্যানেলের ব্যবসায়ী। কাজেই নিঃসন্দেহে তিনি মিডিয়াবান্ধব। মিডিয়াবান্ধব হওয়ার কারনে তিনি তার চার পাশে যাদেরকে পেয়েছেন, তাদের মধ্যে দশজনকে টিভি ষ্টেশনের লাইসেন্স দিয়েছেন। তার আর বেশিও লোককে লাইসেন্স দেয়া উচিত ছিল। যদিও বাদ পরা আওয়ামী এ বি এম মূসা বাদ পড়ে গেছেন বলে কলাম লিখে রাগ প্রকাশ করেছেন।

এবার আসুন দেখা যাক আওয়ামী চ্যানেল দখলে কেমন পটু - বর্তমান সরকার মতায় আসার পর ২০০৯ সালের ১১ অক্টোবর ১০টি এবং এই বছর ফেব্র“য়ারী- এপ্রিল মাসে আরো ২টিসহ মোট ১২টি চ্যানেল দলীয় লোকদের নামে অনুমোদন দেয়। মোজাম্মেল হক বাবুর ’৭১ টেলিভিশন, মুন্নি সাহার এটিএন নিউজ, সালমান এফ রহমানের ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরূলের ভাই মোর্শেদুল ইসলামের সময় টিভি, দৈনিক সমকাল গ্র“পের চ্যানেল-২৪, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীরর বিজয় টিভি, কামাল আহমেদ মজুমদার এমপির মোহনা টেলিভিশন, আওয়ামী এমপি গোলাম দস্তগীরের ছেলের গোলাম আসরিয়া গাজীর জি টিভি (গাজী টেলিভিশন)। এখানেই শেষ নয় আবার আসুন দেখি আওয়ামী লীগের মিডিয়া দখলের চিত্র- ইনকিলাব কিনে নিয়েছেন লোটাশ কামাল এমপি, শফিক রেহমানের যায়যায় দিনের বর্তমান মালিক সাবের চৌধুরীর বড় ভাই ঢাকার মেয়র প্রার্থী আওয়ামী নেতা সাইদ হোসেন চৌধুরী। মোসাদ্দেক আলী ফালু’র এন টিভি, আরটিভি এখন আওয়ামী বেঙ্গল গ্র“পের মালিক লিটু আনামের। সাদেক হোসেন খোকা ও মান্নান ভূঁইয়ার বৈশাখী এখন সেক্টর কমান্ডারস ফোরমের সেক্রেটারী লে. জে. (অবঃ) হারুণ এর ডেসটিনি গ্র“পের।

আর অন্যদিকে আগের থেকে চালু থাকা ইটিভি, চ্যালেন আই, সেতো কারও বলার অপো রাখে না। এই লেখা থেকে স্বষ্ট হয় যে, আওয়ামী লীগ তাদের ’৭২, ’৭৪ অভিজ্ঞতা থেকে শেখ মুজিব কে ভালো মানুষ হিসেবে তুলে ধরতে এই আর কি সামান্য উদ্যোগ মাত্র!! এই কয়েকটা চ্যানেল, পত্রিকার মালিক , কৌসুলে অন্যের চ্যানেল দখল আর বিরোধী চ্যানেল বন্ধ সহ সেন্সরের নামে সাংবাদিক সমাজের খেদমত চালিয়ে যাওয়া। জনগণ আওয়ামী সত্য! বস্তুনিষ্ঠ ! সংবাদ খাবে না। কিলিয়ে খাওয়াব। ।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।