যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
বিশ্বজুড়ে বিশ্বকাপ শুরু হইছে। কিন্তু জ্বর আইসা পড়ছে বাঙলাদেশে, পতাকা জ্বর। বরাবরই তাই হয়, এই জাতি বিয়াপক জ্বরপ্রবণ।
ম্যাড কাউ থেইক্কা সোয়াইন ফ্লু কোন দেশে বেশি জ্বর? আবার জিগায় ধর ধর, এইটা তো বাঙলাদেশ। যার বিয়া তার খবর নাই পাড়া পড়শীর ঘুম নাই। কালের কন্ঠ কয় ম্যারাডোনা বলে তার সাথে আছে। পি আলো কয় তারাই ভালো ফুটবল বোঝে। পুরাই এলাহী কারবার।
গজের পর গজ কাপড় বিনষ্ট হইতাছে পতাকা জ্বরে। পাবলিক গাড়ীর আগায়, পাড়ার চিপায়, গাছের ডগায়, পিকের কোণায় সমানে পতাকা লাগায়া চলতাছে। বোঝা গেল এই জাতির মত বিশ্ব সচেতন জাতি দুনিয়াতে আর কোথাও নাই। পুরাই চ্যালেঞ্জ।
আমিও ক্যামেরা হাতে নিয়া পুরা দেহ দিয়া ঝাপায়া পড়লাম।
আমিও তো এই জাতির ই বান্দা, আমারো আছে ক্যামেরাগিরির ধান্দা। লন দেখি কিছু পতাকা জ্বরের কাহিনী....
একবাঁশে সবদেশ রে আনতে পারে কোন দেশ? বাঙলাদেশ
রাতে তো জ্বর কমেনা, বাড়ে
আছে হলভিত্তিক সমর্থক কমিটি
দেখা যায় বাসের চিপা দিয়া
আছে আকাশে
আছে জ্যামে
আছে সটান সিধা কইরা
আছে গলি জুড়িয়া
আছে উচায়
আছে নিচায়
আছে বাজারে
আছে জাতীয় পতাকার সাথে
আছে প্রেফারেন্সে
আছে ছোট ড্যান্সে
খালি চিন্তা করেন দুই দল যদি মুখোমুখি হয় তাহলে কি হবে, এই বিল্ডিং রে দুই ফাঁক করা ছাড়া উপায় আছে???
আছে বিল্ডিং এর পর বিল্ডিং জুড়িয়া
আছে গার্মেন্টস থেকে পড়িয়া
আছে পুড়া গার্মেন্টস ধরিয়া
আছে কোণায়
আছে গুচ্ছে
পতাকা দাখিলের ট্রেনিং সেন্টারও দেখি খোলা হইছে
সবখানেই দেখা যাইতেছে
আছে বারান্দা থেকিয়া। সরি থুক্কু, এইটা ভুলে চলে আসছে। আসলে এত জ্বরে থাকলে কোনটারে যে কি মনে হয়। ভাই সাবে আবার ব্লগ দেখলে আমার খবর আছে, কার বউয়ের শাড়িরে কি না কি মনে করলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।