আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায় শিপন, আহমেদ শিপন, এক দশকও হলো না, সংঘ, সখ্য রইল না কেন?



‘শঙ্খ জানে, শঙ্খ ঘোষ জানে এক দশকেই সংঘ ভেঙ্গে যায়’ -আবু হাসান শাহরিয়ার বৎসর হিসেবে পাঁচ ছয় বছর আগের কথা, মনে প্রচণ্ড লেখকহবার ইচ্ছা, না জেনেই রবীন্দ্রনাথ মানিনা, কিভাবে যেন ভীড়ে গেলাম নারায়ণ গঞ্জ স্বজন সমাবেশে, পেয়ে গেলাম আমার মতো আরও অনেক। সবই মিলে বের করলাম ‘Little মেঘ’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা। হৃদ্যতা আর পত্রিকার সংখ্যা বেড়ে চললো, বাড়লো আমাদের গ্রুপের পরিচিতি। তারপর? ক্যাচাল ঝামেলায় সংঘ শেষ কিন্তু সখ্য রইল। তাদের সমন্ধে লিখলে আমিও হুমায়ুন আহমেদের মতো বলপয়েন্ট, কাঠ পেন্সিলের মতো তিন টাকার কলম পাঁচ টাকার কলম শিরোনামে ঢাউস ঢাউস বই লেখা যাবে।

কিন্তু আজকে শিপন ভাই, আলমগীর রহমান শিপন, এলিয়েস শিপন, আহমেদ শিপন নামধারী একই ব্যক্তির কথা বলবো। বয়সে বড় তাই নাম শেষে ভাই যুক্ত করেই কথাগুলো বলছি। শিপন ভাইয়ের সাথে আমার সখ্যতা কি পরিমান তা কোন ব্যারোমিটারে মেপেও প্রকাশ করবোনা। যদি কখনো আত্নজীবনী লেখার যোগ্যতা হয় তখন হয়তো লিখবো,খুব বেশী দিন আগের কথা নয়, জীবনের জন্য জীবিকর জন্য দু’জনেই উদ্বিগ্ন!যোগাযোগ কমে আসছিল, কিন্তু তাই বলে কোন ঘটনা ঘটলে একজন এরেকজনকে জানাবোনা, তেমন হবার কোন সম্ভবনা নেই। অথচ তাই হয়েছে, মানুষ ভাবে এক হয় আরেক।

শিপন পুরাণো চাকুরী ছেড়ে বিসিক এক গার্মেন্টসে আইটি ইনচার্জ হিসেবে জয়েন করলো, অনেকের মুখে শুনলাম কিন্তু শিপন ভাই জানাবার ন্যূনতম প্রয়োজন বোধ করলো না। আমার ‌ধারণা বেকারদের কাছ থেকে অন্য সবাই একটু দূরে দূরে থাকে, কারণ বেকাররা সবার কাছে চকুরী ও ধার চায়। সম্ভবত শিপন ভাই সে কারণেই আমাকে কিছু জানায় নি। কিন্তু আমি বিশুদ্ধ বেকার হলেও প্রথমটি কারো কাছে চাইলেও দ্বিতীয়টি কখনো কারো কাছে চাইনি। এমনকি আমি মার কাছে ছাড়া অন্য কারো কাছে কখনো টাকা চাইনি।

(আমার চলার সব খরচ আব্বুই দেয় কিন্তু তার কাছেও কখনও টাকা চাইনি। এজন্য তার দুঃখও আছে। ) যাই হোক, যখন সংঘ ছিল, সবাই সোমবারে দেখা করতাম, সংঘ ভেঙ্গে গেল, সখ্যর দেখা গতো শুক্রবার শগীদ মিনারের ঝর্ণা চত্বরে। অনেক দিন সেখানে কারো সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয় না। শিপন ভাই আসছে শুক্রবারে ঝর্ণাচত্বর আইসেন, যদি আপনি আমাকে চিনেও ফেলেন ভয় নেই, ধার চাইবোনা, আমার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখবো।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।