রুনা-রত্না-আসমার (তিন কন্যার) বিয়ে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। শেখ হাসিনা নাকি খালেদা জিয়া কে বিয়ে দিলো সেটা কোন সমস্যা না। পাবলিক সেন্টিমেন্ট ধরে রাখার জন্য, মানুষের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য নেত্রীরা এটা করেছেন। সেটাও কোন সমস্যা না। সমস্যা হলো পাত্রী-পাত্ররা কিভাবে রাজী হলেন, অথবা তাদের পরিবারের অন্য সদস্যারা কিভাবে রাজী হলেন আমি সেটাই বুঝতে পারছি না।
এক বোন বললেন, “কি যে আনন্দ হচ্ছে বলে বুঝাতে পারব না”!! এত আনন্দ কোত্থেকে আসে? যদি তাদের চাপ প্রয়োগেও রাজী করানো হয় তাহলেও টিভি সাক্ষাৎকারে কেন "এত আনন্দ" বলতে হয়??
তারা কিভাবে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে রাজী হলেন? শুধু রুনা-রত্না না; রুনার বরের মা বোনসহ পরিবারেরও কয়েকজন মারা গিয়েছেন। তিনিই বা কিভাবে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে রাজি হলেন?? আসমার বাবা হাস্পাতালে জীবন্ত দগ্ধ। মেয়েটা কিভাবে সেই চিন্তা বাদ দিয়ে আনন্দ(?) নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসল?
ধর্মীয়ভাবে চিন্তা করলেও তো মানুষ মৃত্যু শোক কাটাতে চল্লিশ দিন সময় নেয়। চারদিনের দিন মানুষ কুলখানি দেয় আর তারা গায়ে হলুদ করল? পার্সোনায় গিয়ে সাজলো?
তাদের বিয়েটা হয়েছে, খুব ভালো হয়েছে। তারা সুখী হোক এই চাওয়া।
তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাটা দরকার ছিল। সবই ঠিক আছে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি কেন? কয়েকটা দিন অপেক্ষা করলে কি হতো? প্রধানমন্ত্রী যদি তার তিন কন্যাকে গণভবনে আগামী দুই মাস আশ্রয় দিতেন, তারপর বিয়ে দিতেন তাহলে কি ক্ষতি হত?
আমার কাছে এখন মনে হচ্ছে, ধর্মীয় অনুভূতি সম্পন্ন বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই পাবলিসিটির ব্যাপারটা না আবার হিতে বিপরীত হয়ে যায়।
(মন্তব্য পাওয়ার পর এডিট করা)
"অনেকেই বলছেন, মেয়েগুলো "অপয়া"। "অপয়া" শব্দটা কিন্তু আমি ব্যবহার করি নাই।
একটাই কথা, যেই ছেলে এই মেয়েগুলোকে "অপয়া" বলে চিন্তা করবে তারা এই মেয়েগুলোর স্বামী হওয়ারই যোগ্য না। মেয়েগুলো তাদের সবাইকে হারিয়েছে। সুতরাং তাদের স্বামীদের উচিত এখন সবসময় পাশে থাকা।
যেকোন মেয়েরই উচিত এমন একটা ছেলের অপেক্ষায় থাকা যে, তাকে "অপয়া" না বলে ভালবেসে কাছে টেনে নেবে। আর বিশ্বাস করুন, সমাজে এমন ভালো, উদার মনের ছেলে আছে।
আমি শুধু সময়টা নিয়ে কথা বলেছি। তারাহুড়ো নিয়ে কথা বলেছি। আর যদি অপয়া চিন্তা করতেই হয় তাহলে মেয়েগুলোর বরেরা এখনও তা চিন্তা করতে পারে। )
___________
ইচ্ছে করলে আমার ব্লগ ঘুরে আসতে পারেন,
/29150721প্রতীক্ষার ভালবাসা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।