ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো
ফেইসবুকে লেখালেখির শুরু কর্ছিলাম সেপ্টেম্বর ২০০৮ এ। আজকে ২০১০ এর জুন। আজকের নোটটা ৮৭ তম। শুরুটা ছিল এক্কেবারেই ঘরোয়া প্রবাস জীবনের রান্না বান্না-কান্না, ভ্রমণ- জীবণ দিয়ে। কিন্তু পরে আর লেখালেখি রান্না ঘরে থাকতে পারে নাই।
কারন মাঝে অনেক কিছুই ঘটছে।
একটা আধাখেচড়া মিলিটারি সরকার গদি ছাড়ছে। মেলা নাটকের পরে ইলেকশন হৈছে। ইলেকশনের সময়টা চুপ থাকা যায় না। কারন তখনি সবচেয়ে বেশি মিথ্যা তৈরী হয়, আদর্শের বেচাকেনা হয়।
চুপ থাকা যায় না।
চুপ থাকতে পারি নাই যখন মিথ্যাকে সত্যের সাথে মিশায়ে সত্য করতে চায় প্রতিষ্ঠিত দৈনিক পত্রিকারা (প্রথম আলো)। ২৫ বছর চুপ ছিলাম। আর না। এখন ফেইসবুক আছে...অভ্র আছে...কিছু লিখে ফেলা যায় চট করে।
সবাইকে জানানোও যায়। দেশের নামে যখন মৌলবাদী তকমা পড়ে ইন্টারন্যাশনাল হার্ভার্ড বিভিউএ ... তখন আর বসে থাকা যায় না। সেটা যেই লেখুক...আমি তারে ছিড়েফুড়ে ফেলতে চাই আমার ফেইসবুক খাতায়। তাতে আমি রাষ্ট্রের চোখে দেশোদ্রহীতা হইলেও কিছু যায় আসে না। কারন সমর্থন পাবার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না...দেশ বিদেশ থেকে সমমনারা লাইক, কমেন্ট দিয়ে সমর্থন জানায়।
২দিনের নানা নাটকের পর যখন পিলখানায় বিডিয়ারের বিদ্রোহ ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে যায় আর প্রতি দিন লাশের হিসাবে গরমিল হয়... তখন আবারো আমরা লাশ গুন্তে বসি। সরকার ও সেনাবাহিনীর দেয়া গোজামিল গুলো নিয়ে কনস্পেরেসি থীওরী লিখি। এতগুলান লোক সারা দেশের কড়া নজরের মধ্যে মরে গেল...আবার হাজার খানেক পালিয়েও গেল...ফাইজলামো নাকি? সবচেয়ে বেশি তর্ক বিতর্ক হয় সেই সময়টাতে। সরকার অতটা সহিষ্ণু ছিল না। তারা ইউটিউব, মিডিয়া ফায়ার বন্ধ করে দেয়।
এরপর তেল গ্যাস নিয়ে অনেক হাঙ্গামা কর্লাম। অনেকের লাফছাপের পর...শেষ পর্যন্ত সরকারকে সমুদ্রসীমানার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে পাঠানো গ্যাছে। শেষ রক্ষা হলে হয়।
এরপর ক্যানো জানি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকদের মাথায় পোকা ঢুকলো। তারা বুঝলো ফেইসবুকেই সব ফাজিলের আস্তানা...সেখানেই তাদের সব অন্যায়ের বিপক্ষে জনমত গঠন হচ্ছে।
সুত্রাংম কাটো মাথা। আমি টিভিতে ফেইসবুক বন্ধের খবরটা টিভির আগেই পাইছি..... মোবাইল ফেইসবুকেই। ভ্যান গাড়িতে বসে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্রাউজ কর্ছিলাম। টিভিতে শুনার আগেই ফেইসবুকেই এর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখলাম সবার মাঝে। আর কোন দিন সরকার এই দুঃসাহস কর্বে বলে মনে হয় না।
মাত্র ১ সপ্তাহ। সরকার আর ফেইসবুক বন্ধ রাখতে পারলো না। তারা আমারদেশ বা যমুনা টিভি, চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে যতটা জনপ্রিয়তা হারাইলো...ফেইসবুক বন্ধের ঘোষনা দেয়া মাত্র, তারচেয়ে বহুগুন পাব্লিক পচানি খাইছে। বিশ্বাস হয় না? প্রমান আছে। আমারদেশের সম্পাদককে সাজানো নাটক করে গ্রফতার করে এখন এটা সেটা নানান মামলায় জড়িয়ে আবার ৮ দিনের রিমান্ড নেয়া হয়েছে।
শ খানেক সাংবাদিককে চাকরী ছাড়া করা হয়েছে। আবার একটা গণ মামলা দিয়ে সবাইকে দৌড়ের উপ্রেও রাখা হোইছে। কৈ...এত বড় অন্যায়ের পরেও সরকার দিব্বি রিমান্ড, গ্রেফতার চালাচ্ছে। অথচ ফেইসবুক বন্ধ করে সরকার ৭দিনও থাকতে পারে নাই। কাউকে গ্রেফতার না করেও...কারো কোন ভোগান্তি না দিয়েও...ব্রুট মজরিটির সরকার হঠাত জাতীয় ভিলেন হয়ে গেল।
বাকশালের গালি হজম করতে হইলো?
সারাদেশে সুলভ ইন্টারনেট আর মোবাইল নেটওয়ার্কই হবে সবচেয়ে বড় মিডিয়ার শক্তি...টিভি চ্যানেল বা সংবাদপত্র না। জনগনই হবে দেশের প্রধান বিরোধীদল। এখনো হয়ত ইন্টারনেট অতটা জনপ্রিয় হয় নাই গ্রামে গঞ্জে। কিন্তু সেই দিন দূরে নাই যেদিন প্রত্যন্ত গ্রামের কোন কৃষক "সার দে হারামজাদা" স্ট্যাটাস বা টুইট দিয়ে সারাদেশে হৈ চৈ ফেলে দিবে।
ডিজিটাল সরকারকে ধন্যবাদ।
ফেইসবুক বন্ধ না হলে আমরা ফেইসবুকের শক্তিটা পরখ কর্তে পারতাম না। এখন বুঝতে পারি...আমাদের কমেন্ট শেয়ার, লাইক, নোট, লিঙ্ক এগুলাই আগামী কালের গণতন্ত্রকে আকৃতি দেয়। শুধু এন্টারটেইন্মেন্টই না, ফেইসবুককেই আধিকার আদায়ের হাতিয়ার বানান। শাসকের দল আপনাকে তখনি ভয় পাবে, যখন আপনার আওয়াজ সারা দুনিয়ায় শোনা যাবে।
আরেকটি নুতন লেখা
রাজা হবুচন্দ্রের সহিত বাঙ্গাল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।