আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘জ্বীনের বাদশা’র হত্যার হুমকি

সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,

। । । । ।

। । । । ।

। । “আমি জ্বীনের বাদশা। আমি একটি মাজারে থাকি। এ মাজারের জন্য তুই সাড়ে তিনশ’ টাকা পাঠাবি।

সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে এই ০১৭৩৬ ০০২৪৬৯ নাম্বারে ফেক্সিলোড করবি। একথা কাউকে বলবে না। বললে তোর বিরাট তি হবে। ” গত শুক্রবার গভীর রাতে ০১৭৩৬ ০০২৪৬৯ নাম্বার থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি নিজেকে “জ্বিনের বাদশা” পরিচয় দিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার উত্তর ধর্মদা গ্রামের হাফিজ সোলেমানকে (০১৭২০ ৯৯৯৭৭৪) এসব কথা বলে। কিন্তু সোলেমান পরের দিন আর টাকা দেননি।

পরের দিন (শনিবার) রাতে একই নাম্বার থেকে আবারো ফোন আসে। এসময় অপর প্রান্ত থেকে তাকে সোলেমান) হুমকি প্রদান করা হয়। এর পূর্বে ৩ জুন গভীর রাতে তাজ উদ্দিন (০১৭১২ ৪৫২৯০৯)’কে মাজারের জন্য টাকা চেয়ে ফোন করা হয় ০১৭৩৮ ৫৬১১৭১ নাম্বার থেকে। এসময় তাজ উদ্দিনকে অপর প্রান্ত থেকে পরিচয় প্রদান করা হয় “জ্বিনের বাদশা” বলে। একইভাবে উপজেলার বিভিন্ন জায়গাই এভাবে নিজেদেরকে “জ্বীনের বাদশা” পরিচয় দিয়ে চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

টাকা না দিলে প্রানে মারার হুমকি প্রদান করছে কথিত জ্বিনের বাদশা নামের ব্যক্তিরা। এতে প্রাণ রায় অনেকে গভীর দুঃশচিন্তায় আছেন। উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্বাসরাম গ্রামের মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে বেশ কিছুদিন পূর্বে ফোন করে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে টাকা ফেক্সিলোড করার কথা বলা হয়েছিলো বলে তিনি জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মহিলা বলেন, আমাকেও কয়েক দিন পূর্বে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে ১৫০ টাকা ফেক্সিলোড চাওয়া হয়েছিলো। আমি দেইনি।

আমার মোবাইলের সিমকার্ডটি পরিবর্তন করে ফেলেছি। তবে ভয়ে কাউকে বিষয়টি জানাই নি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কেউই এই জ্বিনের বাদশার মাজারের আসল অবস্থান জানেন না। একেকজন দিচ্ছেন একেক রকমের তথ্য। কাউকে সে বলছে তার মাজার ঢাকায়, কাউকে বলছে দিনাজপুরে, কাউকে বরিশালে আবার কাউকে সাভারে।

সে অনেকের কাছে ফোন দিয়ে ভাগ্যউন্নয়নের পরিমর্শ দিবে বলে ফোন বেক করার কথা বলে। অনেকেই বিশ্বাস করে তাকে ফোন দিচ্ছেন। আবার অনেকেই তার কথা বিশ্বাস করছেন না। তবে অনেকেই আমার পরিবর্তিতে তাকে (জ্বীনের বাদশা) ফোন করার চেষ্ঠা করলে মাঝে মধ্যে মোবাইলটি বন্ধ পান বলেও অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোবাইলে তার (জ্বিনের বাদশা) সাথে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করে সে বলে, সাংবাদিক হইছেন তো কি হইছেন।

আপনিতো খুব ভালো ব্যবসা শুরু করছেন মিয়া। কবে থেকে এই ব্যবসা শুরু করছেন। তোমাকে যদি আমি ধরে দেই, তাহলে কি হবে জানো মিয়া। সারা জীবন জেলের গাণি টানতে হবে মিয়া তোমাকে। আমি কার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেই আগে তা দেখেন মিয়া।

আপনি আগে নিজে বাঁচেন। তারপর অন্যকে বাঁচাবেন। শুনেন মিয়া, আপনি সাংবাদিক হোন আর যেই হোন না কেন, আপনি আর বাঁচবেন না। তুমি বাঁচার আর কোন উপায় নেই মিয়া। তোমার বাঁচা-মরা তো আমার কাছে।

দাঁড়ান আপনার সাংবাদিকতা আমি ছাড়াচ্ছি। আমি আগে তোমার ব্যবস্থা করে নেই, তারপর কথা বলব। এরপর টের পাইবা আমি কে মিয়া। আমি অনেক দিন থেকে তোমাকে খুঁজতেছি। এই সুযোগে পেয়ে গেছি।

আমার কোন সোলেমানের প্রয়োজন নাই। আমার দরকার তোমার। তোমি যেখানেই থাকো না কেন, তোমাকে আমি বাংলাদেশের ভিতর থেকে খুঁজে বের করব। আমি এখন (সোমবার দুপুর ১২টা) সাভার ক্যান্টমেন্টে আছি। আমি এখনিও তোমার কাছে আসতেছি।

রাষ্ট্রপতি ও ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কেও নানা কটুক্তি করে সে। http://www.uttorpurbo.com/#

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।