মানুষ আসে মানুষ যায় কিন্তু সময় যায় চিরতরে
বন্ধ করে দেওয়া আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘উত্তরা ষড়যন্ত্রের’ ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার রাতে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুদ্দিন সালেহ আমমেদ চৌধুরী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এতে মাহমুদুর রহমান, পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল কাইয়ুম, বিয়ামের সাবেক মহাপরিচালক শহিদুল আলম, তত্কালীন যুগ্ম সচিব আবদুস সবুরসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।
২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির বাতিল হওয়া নির্বাচন সামনে রেখে ২০০৬ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে উত্তরায় মাহমুদুর রহমানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘আর্টিসান সিরামিক’ পুলিশসহ জনপ্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা গোপনে বৈঠক করেন। খবর পেয়ে গণমাধ্যমের কর্মীরা সেখানে গেলে বৈঠকে যোগ দেওয়া অনেক কর্মকর্তা মুখ ঢেকে ও দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ দৃশ্য ওই রাতে বেসরকারি কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার করা হয়। এমনকি পরের দিন বিভিন্ন সংবাদপত্রে ওই ছবি প্রকাশিত হয়।
তত্কালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার কৃষিসচিব আবদুল আজিজের (বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদসচিব) নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির তদন্তে ১৩ জনকে দায়ী করে বলা হয়, উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তারা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত। তত্কালীন উপদেষ্টা পরিষদের সভায়ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে দীর্ঘদিন এ ব্যাপারে সরকার প্রায় নীরব ছিল। আজ সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে আজ পৃথক দুটি মামলায় মাহমুদুর রহমানকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া উত্তরা থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনের শুনানি হবে কাল। এ নিয়ে পাঁচটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো।
গত বুধবার আমার দেশ কার্যালয় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। void(1);
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।