আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রুনা-রত্নার পাশে প্রধানমন্ত্রী



http://www.prothom-alo.com/gallery/news/69108 পানচিনির অনুষ্ঠানের শুভ দিনেই স্বজনদের হারিয়েছেন রুনা ও জামিল বাবা আগেই মারা গেছেন। বৃহস্পতিবারের আগুন কেড়ে নিয়েছে মা-সহ সব স্বজন। আগুনে অর্থসম্পদ, আশ্রয় হারিয়ে সব হারানোর দলে নাম লিখিয়েছিলেন নবাব কাটরায় পুড়ে যাওয়া বাড়ির দুই বোন রুনা ও রত্না। গত বৃহস্পতিবার রুনার বাগদানের দিনে লেগেছিল ওই ভয়াবহ আগুন। এ পরিস্থিতিতে দুই বোনের বিয়ে নিয়েও দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তা।

এই চরম দুঃসময়ে অনাথ দুই বোনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মা-বাবাসহ স্বজনহারা মেয়ে দুটির বিয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। মা বেঁচে থাকলে যা করতেন, তা-ই করবেন তিনি। নিজে উপস্থিত থেকে বিয়ে দেবেন তাঁদের। মেয়ের বিয়েতে মা যা যা দেন—লাল শাড়ি, গয়না সবই দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় গণভবনে দুই বোন ও তাঁদের হবু বরদের ডেকেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শেখর গতকাল প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। বৃহস্পতিবার রাতে সৈয়দ রাশেদ হোসেন জামিলের সঙ্গে ছোট বোন রুনার বাগদান হওয়ার কথা ছিল। আর রত্নার বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিল ২২ জুন। বর ব্যবসায়ী সুমন।

কিন্তু ওই রাতের অগ্নিকাণ্ডে দুই বোন তাঁদের মা-সহ নিকট আত্মীয়দের হারান। রুনার হবু বর জামিলেরও মা-সহ নিকট আত্মীয়রা অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন। রুনা ও রত্নার চাচাতো ভাই আলমগীর প্রথম আলোকে জানান, প্রধানমন্ত্রী গত শনিবার রুনা ও রত্নাকে ডেকে নিয়ে তাঁদের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁরা এখন প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। আজ সোমবার তাঁদের হবু বর ও পরিবারের সদস্যদেরও ডাকা হচ্ছে।

রত্নার হবু বর সুমন প্রথম আলোকে জানান, শনিবার রুনা ও রত্নাকে প্রধানমন্ত্রী ডেকে নিয়ে যান। আজ সোমবার বিকেলে তাঁদেরও (বরদের) গণভবনে ডাকা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তাঁকে জানানো হয়েছে। সুমন জানান, তিনি বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।