আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাল কার্ড এবং হলুদ কার্ড এর প্রচলন হল যেমন করে

ফুলটাইম ক্রুয়েল জোকার, পার্ট টাইম সিরিয়াস

১৯৬৬ সাল। ইংল্যান্ড ফুটবল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ড। খেলায় বেশ ভয়ংকর একটা ফাউল করলেন অ্যান্তনি রাতিন। রেফারি রুডি ক্রেইটলেন তাকে মাঠ থেকে বের হয়ে যাবার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মাঠ ছাড়তে নারাজ।

তাতেই বাধল বিপত্তি। ম্যাচ রেফারি কিন অ্যাস্টন এগিয়ে এলেন অবশেষে। অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে রাতিন কে মাঠের বাইরে পাঠালেন তিনি। বিষয়টা অবশ্য এখানেই শেষ হল না। রাতিন কে এই শাস্তি দেবার জন্য রুডিকে বেশ বিপাকেই পড়তে হল।

কারণ, ইংল্যান্ড দলের দুজন খেলোয়াড় মাঠে রাতিনের মতোই অপরাধ করেছিল। তাদের ফাউল টা রাতিনের মতো বাড়াবাড়ি পর্যায়ের ছিল না - এই দাবি করেও সমালোচনার হাত থেকে রক্ষা পাননি রুডি। এই বিষয়টি বেশ ভাবিয়ে তোলে কিন অ্যাস্টন কে। বড় ধরণের ফাউলের জন্য একজন খেলোযাড়কে মাঠের বাইরে পাঠানো হল, কিন্তু তারচেয়ে কম ফাউল করেছে যে তাকে কিভাবে সতর্ক করা যায়???? ভাবছিলেন আর গাড়ি ড্রাইভ করে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে কিংস্টোন হাই-স্ট্রিটে ট্রাফিক সিন্যালে আটকা পড়ল গাড়ি।

সিগনাল বাতি গুলোর দিকে আনমনেই চোখ আটকে গেল তার। দেখলেন বাতি গুলো সবুজ থেকে হলুদ এবং হলুদ থেকে লালে রুপান্তরিত হচ্ছে্ । সবুজ মানে চলতে থাকো। হলুদ মানে সতর্ক হ্ও। আর লাল মানে থেকে যা্ও।

এখান থেকেই আইডিয়াটি পান তিনি। খেলার মাঠেও তো এভাবে খেলোয়াড়দের সতর্ক করা যেতে পারে। এরপর তিনি প্রস্তাব দেন ফিফার কাছে। ১৯৭০ এ মেক্সিকো বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে সমস্যা এড়াতে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করল ফিফা। ফাউল করলে খেলোয়াড়কে সতর্ক করার জন্য হলুদ কার্ড আর সিরিয়াস ধরণের ফাউল করে বসলে মাঠ থেকে বেড়িয়ে যাবার জন্য লাল কার্ড দেখানোর প্রচলন শুরু হল।

তবে এই পদ্ধতিতে প্রথম লাল কার্ড দেখানো হয় ১৯৭৬ সালের ২ অক্টোবর। প্রথম লাল কার্ড পান ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের ডেভিড ওয়াগস্টাভ। অ্যাস্টন উদ্ভাবিত লাল ও হলুদ কার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবল খেলার নিয়মের অংশ হয় ১৯৯৩ সালে। লেখাটি কালের কন্ঠের টুনটুন-টিনটিন ম্যাগাজিন থেকে নেওয়া। আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।