জানি না কবে কোথায় , কিভাবে তোমাকে আবার দেখব। তবে তোমাকে হারানাটাই আমার অনেক বড় একটা বাজে অনুভুতি । ভাল থেকো বিবেকা। ভাল থেকো বিবেক। ভাল থেকো আমার কবিতাগুলো ২০ শে মে ১৯৭১ , খুলনা জেলার পশ্চিম সীমান্ত চুকনগর ।
সারা দেশে পাক হানাদার আর তাদের এদেশেীয় দোসরদের হাতে লাখে লাখে মরছে মানুষ । খুলনার দাকোপ, বটিয়াঘাটা , ডুমুরিয়া সহ আশেপাশের এলাকার ভীত , নিরস্ত্র মানুষগুলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যাবার প্রস্তুতি নেয় । কেও চিড়ামুড়ি, কেও বা ভাত রেধে শেষবারের মত খেয়ে ছেড়ে যায় বাপের ভিটা , জন্মস্থান, কিন্তু ছাড়তে পারে না স্বদেশ । রাতে আশ্রয় নেয় মালতিয়া গ্রামের ঝাউতলা সহ আশেপাশের স্কুলমাঠ বা ফাকা জায়গায়। কিন্তু পরদিন ভোরে যাত্রা শুরুর আগেই , পাক বাহিনীর ট্রাক আর সেনাযান উপস্থিত হয় চুকনগর এর মালতিয়া গ্রামের ঝাউতলায় ।
বিনা বিচারে প্রথমে চিকন মোড়ল নামের এক বৃদ্ধ কৃষক কে দিয়ে হত্যাযজ্ঞ শুরু হয় সেখানে ।
প্রায় ৪ ঘন্টার হত্যাযজ্ঞে নিরস্ত্র মানুষগুলোকে গুলিতে ঝাঝরা করে দেয় পাকিস্থানী সৈন্যরা । সেদিন ও তাদের সাহায্য করেছে রাজাকার আলবদর রা ।
শুনে চমকে যাবেন । ১০০০০ এর ও বেশি মানুষ সেদিন ঐ কয়েক ঘন্টায় খুন হয় নৃশংসভাবে ।
ইতিহাসের পাতায় যা কম সময়ে সবথেকে বেশি মানুষ মারার রেকর্ড করে ।
স্বাধীনতার পর , ১৫ খন্ডের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তবুও স্থান পায় নি চুকনগর গণহত্যা কারণ এই দেশটাতে ইতিহাসের বিকৃতি সবথেকে সহজ ।
আজ আরেকটি ২০ শে মে , পার হয়ে গেছে কত বছর । সেদিনের মৃতদের হত্যার প্রতিশোধ আজও নেয়া হয় নি । রাজাকারদের বিচার তবুও কিছু মানুষ চায়না ।
তাদের কে দেশের মন্ত্রী বানিয়ে সম্মানিত করে নষ্ট রাজনীতি । আর আমরাও তাদেরকে সহজেই মেনে নেই ।
২০ মে , চুকনগর গণহত্যা আমাদের কে এই বার্তায় দীক্ষিত করুক, স্বাধীনতা বিরোধূীদের প্রশ্নে কোন ছাড় নয় । সকল শহীদের আত্মাকে শান্তি দিতে ছুড়ে ফেলুন ঐসব কুলাংগারদের ।
সকল শহীদ আমার সশ্রদ্ধ সালাম লও ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।