নিজের বিষয়ে কিছুই বলিবার নাই
আসসালামু আলাইকুম,
ফেইসবুক নিষিদ্ধ করিবার পর হইতেই অনেকেই এই রকম মতামত প্রকাশ করিতেছেন যে উহা আমাদের নৈতিকতার জন্য গুরুতর ক্ষতির একটা কারণ। যাহা কিনা পুরা জাতিকে গোল্লায় নিয়া যাইবে।
এখন কথা হইতেছে আপনার নিকট ফেইসবুক অপ্রয়োজনীয় মনে হইতে পারে। আপনি ব্যবহার করিবেন না।
আমার নিকট জরুরি মনে হয়।
আমি ব্যবহার করিবো। ব্যস। তাহা হইলেই তো ঝামেলা চুকিয়া যায়।
কিন্তু আপনি এইটা বলিতে পারেন না যে ফেবু দিয়া কি করিবো? তাহা হইলে আরেকজন প্রশ্ন করিতেই পারে : আমু বা সামু বা আলু ব্লগ দিয়া কী করিবো?
আর নৈতিকতা ধ্বংসের কথা বলিয়াছেন তাহা ভালো। যাহাদের নৈতিকতা অল্পতেই ধ্বংস হইয়া যায়, তাহাদের জন্য সেইটা ধ্বংস হওয়াটাই উচিত বলিয়া মনে করি।
একসময় আমাদের অভিভাবকগণ মনে করিতেন সন্তানেরা ফুটবল খেলিলেই উচ্ছন্নে যাইবে। তাহারা যে-মানসিকতা নিয়া ফুটবল খেলার নিন্দা করিতেন এই প্রজন্মের কেহ-কেহ ঠিক সেই মানসিকতা নিয়াই ফেসবুকের নিন্দা করিতেছেন।
একটা প্লেন দুর্ঘটনায় পতিত হইলে সব যাত্রীর নিহত হইবার সম্ভাবনা থাকিয়া যায়। অথচ হাটিয়া বা পদব্রজে সফর করিলে সেই রকম দুর্ঘটনা ঘটিবার সম্ভাবনা প্রায় শূণ্যের কোঠায়।
তাহা হইলে আসুন আমরা হাটিয়া-হাটিয়া দেশ-বিদেশ সফর করিবার জন্য আন্দোলন আরম্ভ করি।
সিগারেট খাইলে নৈতিকতা ধ্বংস হয়। মাদকে নৈতিকতা ধ্বংস হয়। রাস্তায় নারীগণ চলাফিরা করিলে আমাদের নৈতিকতা ধ্বংস হয়। রাজনীতি করিলে নৈতিকতা ধ্বংস হয়।
তাহা হইলে আমাদেন কী করা উচিত?
আমাদের কিছুই করিবার উপায় নাই।
নন্দলালের মতোন বদ্ধ ঘরে বসিয়া-বসিয়া দিন গুজরান করা উচিত। আর নৈতিকতাকে পাহাড়া দেওয়া উচিত।
সকলেই গোল্লায় যাইবে না। কেহ-কেহ যাইবে। এই কেহ-কেহ-এর জন্য আপনি একটা প্রযুক্তিকে একেবারেই নাকচ করিয়া দিতে পারেন না।
যিনি গোল্লায় যাইতে ইচ্ছুক তিনি ঘরে বসিয়া থাকডিলেও গোল্লায় যাইবেন। আপনি-আমি তাহা কিছুতেই রোধ করিতে পারিবো না।
পরম করুণাময় আমাদিগকে সহজ সরল পথে অগ্রসর হইবার তাওফিক প্রদান করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।