শেষপর্যন্ত আবারো ফেসবুকে আসতে পারলাম। আমার এক বন্ধুর সহযোগীতায় গত দু'দিন ধরে ফেসবুকে আসলাম। ডিজিটাল সাইনবোর্ডের ব্যানারে এনালগ যুগীয় সরকার তার কর্মক্ষমতা দেখাল সাথে সাথে দেখাল কারিগরী দিকথেকে তারা কত দুর্বল। একটা তুচ্ছ ঘটনা(অজ্ঞতা) কে অবলম্বন করে ফেসবুকের মত জনপ্রিয় সামাজীক সাইট বন্ধকরেদেবার মত মুর্খামী প্রকাশ করল বিটিআরসি। যাদের দরকার এক্সপার্ট আইটি টিম তারা কি না সার্টিফিকেট কোর্স কমপ্লিট করা কয়েকজন অদক্ষ টেকনিশিয়ান নিয়ে প্রমান করতে চাইছেন তারা সর্বময় জ্ঞাত আইটি বিশেসজ্ঞ।
তুচ্ছ ঘটনার প্রেক্ষিতে ফেসবুকের মত সাইট বন্ধ করে দিতে পারেন অথচ তাদের নিয়ন্ত্রীত টেলিকমিউনিকেশনে আমরা তো এই সেবা পাইনা। ফোনে বিরক্তিকর কোন কলার কে ট্রেক করার জন্য কি তাদের কোন সেবা আছে? নেই...। অথচ এটা তাদের নিশ্চিৎ করা একান্ত দায়ীত্ব।
এই সভ্যতা এখন ইন্টারনেটের উপর অনেকাংশেই দাড়িয়ে....সাড়াপৃথিবীতে ইন্টারনেট নির্ভর সভ্যতা সবচেয়ে বেশি এগিয়ে। এই সময়ে আমাদের উচিৎ দেশের নেট ইউজারদের উৎসাহীত করা, তাদের যত বেশি ইন্টারনেটে যুক্ত করা যাবে তত বেশি গতি পাবে আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর অগ্রযাত্রা।
মধ্যযুগীয় মানসিকতা এখনো ধারন করে রাখলে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্লই থাকবে। চাই এই মানসিকতার পরিবর্তন। শুধু নাম সর্বস্ব ডিজিটাল বাংলাদেশ নয় সমৃদ্ধ আর গতীময় বাংলাদেশ চাই। পারশ্পরিক যোগাযোগে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাবহার চাই। চাই তথ্যের অবাদ প্রবাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।