লেখাটি আইরিন সুলতানার আহ্ নারী ! ওহ্ নারী ! উফ্ নারী ! ... ... ... হায় নারী !! পোস্টের জবাবে লেখা। পুরানো লেখা, আমি আজ প্রথম পড়লাম তাই পোষ্ট আকারে দিলাম। Click This Link
আইরিন সুলতানা তার লেখাটিতে নারীর লাঞ্ছনা বঞ্ছনার সকল ক্ষেত্র তুলে ধরেছেন
‘...অথচ পুরুষের দৃষ্টির কলুষতা, নিয়তের স্খলণ নিয়ে কেউ ভ্রুকুটি করেনা! কুকর্ম করছে পুরুষ, সামলানো হচ্ছে নারীকে! ....
নারীর অধিকার নারীকেই আদায় করে নিতে হবে, নারী বদলাবে কি বদলাবে না, কতটুকু বদলাবে, তার মাপকাঠি নিজের হাতে না রাখতে পারলে কিসের আধুনিকতা তবে! নারী নির্যাতন আইন করলেই নারীর প্রতি অসম্মান বন্ধ হয়ে যাবেনা। নারীকেই বলতে হবে চিৎকার করে , ”বিচার চাই ওই কুলাঙ্গারের”...!
- তার সকল বক্তব্যের সাথে একমত। আমিও বলি নারী জাগো, পরিপুর্ণ নারী হতে।
দাসী হতে নয়। নারী মানে বোরকার অন্তরালে, ঘরের চেৌকাঠে বন্ধি, পুরুষের লালনার সংং্গি, সন্তান লালন পালন করতে নয়। তাকে জাগতে হবে শিক্ষায়। তাকে জাগতে হবে দীক্ষায়। তাকে জাগতে হবে তার নিজের অধিকার, নিজের কাজের ক্ষেত্রগুলোকে পরিপূর্ণ করতে।
কোনভাবেই পুরুষের সমান অধিকার আদায় করতে নয়। এবঙ সেটা সম্ভবো নয়।
নারীর অধিকার নারীকে আদায় করে নিতে হবে। এটা ভাল রাজনৈতিক বক্তব্য হতে পারে। বাস্তবতায় সম্ভব নয়।
নারী কতটুকু বদলাবে কি বদলাবে না, তার মাপকাঠি নারীর হাতে কোনদিনই যাবে না, এটাই প্রকৃতির শিক্ষা। প্রকৃতির চরম বাস্তবতা। যে প্রকৃতিতে শক্তি হচ্ছে ভগবান শক্তি হচ্ছে খোদা। শক্তি আছে তো সব আছে শক্তি নেই তো কিছুই নেই।
এবার শক্তি নিয়ে একটু আলোচনা করি।
আরজ আলী মাতুব্বরের কথায় – যার ভাবার্থ এরকম
জগতে সবাই বাচতে চায় সে আমি তুমি সকলেই। হরিন যেমন বাচতে চায় বাঘ থেকে তেমনি ব্যাগ বাচতে চায় সাপ থেকে। কিন্তু পারেনা। কারন শক্তি। হরিন, ব্যাঙ বাচার জন্য যেমন আলালা খোদা ভগবানকে ডাকে।
তেমনি হরিনের হাত থেকে, ব্যাংগের হাত থেকে বাচার জন্য অন্য ছোট ছোট প্রানীও খোদাকে ডাকে। শক্তিতে পারেনা বলেই তারা শক্তিশালীর আহারে পরিনত হয়।
এতো প্রানীর শক্তি। এবার বিবেক বুদ্ধি সমপন্ন মানুষের কথা বলবেন। তার আগে মেরেরিকার ঘটনাটি মনে করুন।
ঝড়ে লন্ডভন্ড েফ্লারিডা সহ অনেক যায়গা। মানুষ বাচার জন্য হা-হুতাশ। সবার মানবিক সাহায্য দরকার। সেখানে পুরুষের ধর্ষনের শিকার হলেন শতশত তরুনি। সেখানের নারীরা কি জাগেনি? সেখানের পুরুষরা কি শিক্ষিত ভদ্র মার্জিত নয়?
ধর্মের এত বাধা নিষেধ, শাস্তি, পাথরমারা, শুলে চড়ানো, ফাসিতে ঝুলানো, মাথায় ন্যাড়া করে ঘোল ঢালা- এগুলোকি মেরিকার ঝড়ে বিধ্বস্ত হতভাগা তরুনিদের ধর্ষনের হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছে।
বা আমাদের ইয়াসমীনকে বাচাতে পেরেছে। সবই পুরুষের লালসার শিকার। সেই লালসা বাস্তবায়ন করেছে শক্তির মাধ্যমে।
লোক দেখানো, নারীকে মানসিক শান্তনা দেয়ার নারী অধিকার আইন আমরাই তৈরী করবো এবঙ সময় হলে আমরাই তা ভেং্গে নারীকে ভোগে নিযুক্ত করব। কোন ধর্মই এ থেকে বাচাতে পারবেনা।
নারীকে বোরকায় আবৃত করে হুরপরীদের মত সুন্দরী করে ভোগ করব না হয় আধুনিক চিয়ার্স লিডার বানিয়ে সবার ভোগে পরিনত করব।
আর একটি কথা মনে রাখতে হবে নারী সবাই কিন্তু নাইট এং্গেল নয়, রোকেয়া নয়, লায়লা আলীও নয়। ইনডিভিজুয়াল লায়লা আলী,বা রোকেয়ার কথা নয়। সামগ্রিকভাবে সকল নারীর কথা মনে রাখতে হবে।
যুগে যুগে যাদের ক্ষমতা ছিল তারাই শাষন করেছে।
কেউ বৈধভাবে কেউ অবৈধভাবে। গণতান্তিক বলেন আর সমাজ তান্ত্রিক বলেন। ক্ষমতা দেখিয়ে জোর করে ভোট চুরি করে তারাই ভগবান সেজেছে। সারা বিশ্ব ইরাক যুদ্ধের বিরোধিতা করলো। কিন্তু মেরাকি আর বৃটেন কি করলো।
যুক্তি বোধ মানবতা সব শক্তির পায়ে মাথানত করেছে। শক্তি আছেতো সব আছে। মানেন? ৫ জন পুরুষ যে শক্তি রাখে একই বয়সের একই ধরনের ৫ জন নারী কি সেই শক্তি রাখে? নিশ্চিত করেই বলতে পারে রাখে না। নারীর বোধ যত প্রখর হবে পুরুষের বোধ তত জেদি হবে। এক সময় সংঘর্ষ হবে।
সেই সময় শক্তি সাহসে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারলে তবেই লাভবান।
এখন সকল নারী এক সাথে দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন ' হে খোদা! আমাকে পুরুষের মত শক্তিশালি করো।
আমার বক্তব্য হলো নারী তার সমস্ত বোধ দিয়ে জাগলো। সে বুঝলো কি তার অধিকার। কতটুকু তার দাবী।
কতটুকু তার প্রাপ্য। সে কার কাছে তার দাবী চাইবে? কার কাছ থেকে প্রাপ্য বুঝে নেবে? পুরুষের কাছ থেকে? ক্ষমতাধর শক্তিশালীর কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয়া কি এতই সোজা?
নারী যখন ভালবাসে তখন সে প্রেয়সি। যখন ঘৃণা করে তখন এসিড দগ্ধ। যখন আশির্বাদ করে তখন দেবী। যখন রুক্ষ্ হয় তখন রাক্ষুসি।
দিন আর রাত কি সমান। কোনভাবেই না। দিনের সুর্যের প্রখরতা তেমনি রাতের স্নিগ্ধতা ভিন্ন। পুরুষ ও নারী তেমনি ভিন্ন। নারীর এই ভিন্নতার পরিপূর্ণতার জন্য জাগতে হবে।
তার এই ভিন্নতাকে কিভাবে পৃথিবীর মংগলের জন্য কাজে লাগানো যায় সে জন্য জাগতে হবে। অফিস আদালত, মাঠ-ঘাঠ সবখানেই পুরুষের যোগ্য সহযোগী হয়ে কাজে লাগানো যায় সে জন্য জাগতে হবে। নেপোলিয়ানের ভাষায় একজন শিশুকে শিক্ষা, দীক্ষায় পরিপূর্ণ করতে নারীকে জাগতে হবে।
নারীকে দেবী করবে। নারীতে বন্দনা হবে।
নারীতেই হাজার বছর বাস করবে। কিন্তু যখনই লালসা আসবে নারীকেই ভোগ করবে, নারীকে লাঞ্চিত করতে, নারীকে পদানত করবে যে কোন ছলে না হয় শক্তিতে। কারন ভোগ করার ক্ষমতা (অধিকার!) শক্তিশালীদের। শক্তিহীনদের নয়। তাই পুরুষের বিচার চাইবার জন্য জেগে লাভ নেই।
কারন তা কোন দিনই হওয়া সম্ভব নয়। প্রকৃতি আইনের পুজারী নয়। শক্তির পুজারী।
* শক্তি বলতে - শক্তি, সাহস, ক্ষমতা, অর্থ-কড়ি যা বলেন সবই।
.................
Click This Link#c4531374
রিপোস্ট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।