অনেক হয়েছে, এবার সবার থামা উচিৎ। আর কত? জাতির জনক, জাতির ঘোষক আর বাঙালী না বাংলাদেশী_এ নিয়ে চিল্লাবে? নির্বোধ শিশুটিও আমাদের মূর্খতা দেখে হাসছে এবং বলছে, আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। শিশুটি জাতীয় সঙ্গীত ভালোবাসে আর ওই সঙ্গীতের মাঝে তাঁর দেশ ও দেশপ্রেমকে খূঁজে পায়। আর আমরা ওমুকের সৈনিক, তমুকের সৈনিক পরিচয় দিয়ে এই সুন্দর দেশটাকে, এদেশের প্রাণ_কৃষক শ্রমিক মেহনতিকে প্রতিনিয়ত পদদলিত করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করছি।
আর পূঁজি হিসেবে ব্যবহার করছি জাতির জনক, জাতির ঘোষক আর মুক্তিযুদ্ধ এবং ধর্ম।
সব শালা একই। ব্যতিক্রম খুঁজে পাওয়া দায়! কারণ তাঁদেরকে আমরা মরার সাথে সাথে মেরে ফেলেছি। না মারলে তো ২/৩ নেতার দেশ বানানো যায় না, তাই। সকল সংগ্রামী-বিপ্লবীদের স্মরণ না করে মাত্র ২/৩ জনকে মহান করার কোনো মানে আছে কি? আমি বা আমরা সম্মিলিতভাবে কাউকে যদি ছোট বা বড় বানাই তাতে কি তারা ছোট বা বড় হয়ে যায়?
এদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের লড়াইয়ে সকলের আবদান রয়েছে। তেমনি ভারত স্বাধীনতা আন্দোলন- সংগ্রামেও যাদের আবদান রয়েছে তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা উচিৎ নয় কি? সত্যিকারভাবে সকলের আবদান ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে নতুন প্রজম্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
সকল প্রকারের সংকীর্ণতা পরিহার করে সোনার বাংলাকে গড়ে তুলতে হবে।
এই দেশটিকে যারা ভালবেসে গড়ে তুলতে চেয়ে ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা, পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পুরোধা এবং বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বিবেচিত। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জনসাধারণের কাছে তিনি "শেখ মুজিব" নামে বেশি পরিচিত এবং তার উপাধি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।