আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগে ড. কামালের বিচার করতে হবে-নিজামী

নিক নিয়ে খেলতে মজা লাগে

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল জাতীয় মুত্তিপ্তযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় বত্তপ্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ঃ নয়া দিগন্ত জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে ইস্যুকে মীমাংসা করে গেছেন সেই ইস্যুকে আবার জীবিত করে দেশকে বিভত্তিপ্তর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। দেশের ¯¦াধীনতা-সার্বভৌমতে¦র ওপর আঘাত এলে বিভত্তপ্ত জাতি দ্বারা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। অন্য দিকে বাংলাদেশ মুত্তিপ্তযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবšধু যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা মেনে নেয়া উচিত। আর যদি আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে যান তাহলে বলতে জবে বঙ্গবšধু যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দিয়ে অন্যায় করেছিলেন। আর এ জন্য প্রথমেই ড. কামাল হোসেনের বিচার করতে হবে।

মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সাথে জাতীয় মুত্তিপ্তযোদ্ধা পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তারা এ কথা বলেন। এ সময় মাওলানা নিজামী আরো বলেন, ‘৭১ সালে জামায়াতের রাজনৈতিক ভিন্ন অবস্থান ছিল। কিন্ত- কোনো অনৈতিক ও মানবতাবিরোধী কাজের সাথে জামায়াতের কোনো স¤পর্ক ছিল না। আওয়ামী লীগের ’৭২ থেকে ’৭৫ সালে জামায়াতের কারো বিরুদ্ধে তাজা ঘটনার পর যেখানে মামলা দায়ের করা যায়নি, আজ ৪০ বছর পর মামলা করতে গেলে চরম মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে। আর মিথ্যা মামলা সাজিয়ে বিচার করতে গেলে তা হবে পৃথিবীর জঘন্যতম অবিচার।

সরকার নিজের পাহাড়সম ব্যর্থতা ঢাকতে এবং বিদেশী প্রভুদের খুশি করতে এই অমানবিক বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে। জামায়াতের সেত্রেপ্তটারি জেনারেল আলী আহসান মোহা¤মদ মুজাহিদ বলেন, জামায়াতের সাথে স¤পৃত্তপ্ত প্রকৃত মুত্তিপ্তযোদ্ধার সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। জাতীয় মুত্তিপ্তযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন ও সেত্রেপ্তটারি জেনারেল মুহা¤মদ ইকবালের নেতৃতে¦ মুত্তিপ্তযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতাদের সমš¦য়ে এই প্রতিনিধিদল মাওলানা নিজামীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় জামায়াতের নায়েবে আমীর মকবুল আহমদ ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেত্রেপ্তটারি জেনারেল আলী আহসান মোহা¤মদ মুজাহিদ, সহকারী সেত্রেপ্তটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম, মহানগর আমীর রফিকুল ইসলাম খান, মহানগর সেত্রেপ্তটারি নূরুল ইসলাম বুলবুল ও প্রচার বিভাগের সহকারী সেত্রেপ্তটারি মতিউর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন। মাওলানা নিজামী বলেন, যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন তারা দেশকে করাচির শৃড়খল থেকে মুত্তপ্ত করে দিলি¬র শৃড়খলে যুত্তপ্ত করার জন্য যুদ্ধ করেননি।

যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থনেতিক বৈষম্য। যুদ্ধ ইসলামি চেতনার বিরুদ্ধে ছিল না। আজকে যারা বাংলাদেশকে ইসলামশূন্য করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা ¯¦াধীনতার ইতিহাসকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চায়। তিনি বলেন, ¯¦াধীনতাযুদ্ধে শুধু জামায়াত নয়, সব ইসলামি দলের রাজনৈতিক ভিন্ন অবস্থান ছিল। এ নিয়ে অনেক কথা হতে পারে।

এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কারণও থাকতে পারে। তার মধ্যে একটি ছিল জামায়াত মনে করেছিল একটি বড় মুসলিম দেশ খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাবে। এই অবস্থান বাস্তবস¤মত ছিল না। তবে এর পেছনে যে আবেগ ছিল সেটা বাস্তবস¤মত ছিল। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা উলে¬খ করে বলেন, সরকার ইউটার্ন নিয়ে বলছে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের কথা।

আমাদের কী ভূমিকা ছিল আমরা লুকাইনি। ¯¦াধীনতার পর অনেকে সার্টিফিকেট জোগাড় করেছে। বšধুবাšধবরা আমাদেরকেও অফার করেছে। লুকোচুরি পছন্দ করিনি। আমরা যে কারণে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছিলাম সেগুলো কি একেবারেই অমূলক ছিল? ভারতের ব্যাপারে যে আশঙ্কা আমরা করেছিলাম সেটা শত ভাগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

জামায়াতের আমীর বলেন, আজকের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তখন তো বড় দেশ পাশে ছিল। মিত্রশত্তিপ্ত ছিল। এখন সেই মিত্র শত্তিপ্তকে দেশের মানুষ মিত্র মনে করে না। তারা এখন সাম্রাজ্যবাদী হিসেবে চিহিপ্তত।

এখন ¯¦াধীনতা রক্ষার জন্য বৃহত্তর ঐক্য অপরিহার্য। কিন্ত- আজকে যারা ক্ষমতাসীন তারা জাতির বিভত্তিপ্ত চান। ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন বলেন, যারা অন্যায় করেছেন তাদের ছেড়ে দিয়ে এখন যুদ্ধাপরাধের বিচার করলে বলতে হবে শেখ মুজিবুর রহমান তাদের ছেড়ে দিয়ে অন্যায় করেছিলেন। আর এখন প্রথম বিচার করতে হবে ড. কামাল হোসেনের। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে ১৯৫ জনকে নিয়ে এসে বিচার করুন।

যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে বঙ্গবšধু যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা মেনে নেয়া উচিত। না হয় বলা উচিত তিনি ভুল করেছেন। আলী আহসান মোহা¤মদ মুজাহিদ বলেন, মুত্তিপ্তযোদ্ধারা কোনো দলের নন, তারা সব মানুষের। যারাই দেশের ¯¦ার্থে কাজ করবেন তাদেরই তারা সহযোগিতা করবেন। তিনি মুত্তিপ্তযোদ্ধাদের কল্যাণে মুত্তিপ্তযোদ্ধা পরিষদের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে জামায়াতের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।