পোষ্ট দেবার মত হাতে কিছুই নাই। তবু মন চায় কিছু লিখি। কিন্তু চাইলেও তো আবজাব কিছু লেখা যাবে না, কারণ সামুর পাবলিকগুলো বড়ই সিরিয়াস। তবুও যে কিছু একটা লিখতে হবে, দেখি চেষ্টা করে, হাসাতে পারি কি না
(১) একদিন একটি সুপার মলে এক চোর ঢুকে পড়ে। খবরটি পুলিশের কাছে আসতেই পুলিশ দ্রুত তার দলবল নিয়ে মার্কেটে অবস্হান নেয় এবং চোরের বের হবার সকল পথ বন্ধ দেয়।
এরপর পুলিশ মার্কেটের ভিতরে প্রবেশ করে তন্ন তন্ন করে চোরকে খোঁজ করে কিন্তু চোরের হদিস মেলে না। এরই মাঝে পুলিশের উর্দ্ধতন অফিসার ঘটনাস্হলে হাজির কিন্তু চোরকে না দেখতে পেয়ে রাগম্বিত হয়ে তার জুনিয়রকে জিজ্ঞাসা করলেন,
"চোর কোথায়? "
"পালিয়েছে স্যার", উত্তর দিল সেকেণ্ড অফিসার।
"পালিয়েছে মানে, কি ভাবে পালালো ? আমি তোমাদের আগেই বলেছি মার্কেটের বাহির হবার সকল পথ বন্ধ করে দিতে। "
"স্যার আপনার কথামত আমরা বাহিরে যাবার সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছিলাম, কিন্তু চোর ব্যাটা ভিতরে ঢোকার পথ দিয়ে পালিয়ে গেছে"
(২) এক জড়বাদী ব্যাক্তি বহু দেখাদেখির পর শখ করে একটি নতুন গাড়ী কিনলেন। গাড়ীটি বেশ দামী।
কিনার পর বন্ধুদের সারপ্রাইজ দেবার জন্য নিজেই গাড়ী চালিয়ে উপস্হিত হলেন বন্ধুদের আস্তানা নিউমার্কেটে। গাড়ী থামিয়ে যখন সে গাড়ীর দরজা খুলে বেরুতে যাবে ঠিক তখনি পেছন থেকে একটি বাস এসে দরজা বরাবর এমন জোরে আঘাত করলো যে গাড়ীটির দরজা মুহূত্তেই দেহ থেকে আলাদা হয়ে ছিটকে পড়লো। নতুন গাড়ীর এই করুণ হাল দেখে তার মেজাজ তো ভারী বিলা। মোবাইল ফোন বের করে সে পুলিশকে দিল কল। কল পেয়েই পুলিশ হাজির।
" দেখুন ইনেসপেক্টর সাহেব, এই আহম্মক ড্রাইভার আমার নতুন গাড়ীটির কী হাল করেছে। আজই আমি এই গাড়ীটি কিনেছি" বললো জড়বাদী ব্যাক্তি। ইনেসপেক্টর সবকিছু দেখে অবাক হয়ে বললো,
" গাড়ীর কথা ছাড়ুন স্যার ! গাড়ীর দরজার সাথেই আপনার বাহু আপনার শরীর থেকে আলাদা হয়ে গেছে, সেটা কী আপনি খেয়াল করছেন?
ইনেসপেক্টরের কথা যেন তার হুস ফিরে এল,পরক্ষনেই সে রাগে চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো,
"শিট! আমার হাতের দামী রোলেক্স ঘড়িটি কই?
(৩) একবার এক উকিল সাহেবের পালিত কুকুর তার গলার দড়ি খুলে পাশের একটি গোস্তের দোকানে ঢুকে পড়ে। দোকানে টুকেই সে একলাফে শোকেসে রাখা বড় একটি মাংসের টুকরা মুখে লুফে নিয়ে ভোঁ দৌড়। চোখের সামনে দিয়ে এত বড় মাংসের টুকরা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে! কসাই নাছোড়বান্দা ।
সেও কুকুরের পিছুপিছু দৌড়। দৌড়াতে দৌড়াতে কুকুর আর কসাই উভয়ই উকিল সাহেবের চেম্বারে উপস্হিত। কসাই উকিল সাহেবের কক্ষে প্রবেশ করে বলে,
"স্যার আমি একটি বিষয়ে পরামর্শ করতে এখানে এসেছি"
বলেন কি জানতে চান" উকিল বললেন।
"যদি কারো পালিত কুকুর আমার দোকানে গিয়ে মালামাল নষ্ঠকরে তবে তার ক্ষতিপূরণ আমি কুকুরের মালিকের কাছে চাইতে পারবো কি না ?
অবশ্যই পারবেন, সে অধিকার আপনার আছে" উকিল সাহেব বললেন।
"তাহলে বলি.. এইমাত্র আপনার কুকুর আমার দোকানে ঢুকে গোস্ত চুরি করেছে।
আর গোস্তের মূল্য ৫০ টাকা। এখন টাকাটা কী আপনি পরিশোধ করবেন। "
উকিল সাহেব কোনো কথা না বলে চেক বই বেড় করে ৫০ টাকা লিখে কসাইকে দিলেন। কসাই চেক নিয়ে কক্ষ ত্যাগ করার সাথে সাথেই উকিল সাহেব ফোন উঠিয়ে কি যেন বললেন।
কাসাই যেই না চেম্বারের ঢোকার দরজা পার হতে যাবে অমনি পেছন থেকে সেক্রেটারী হাঁকলেন,
এই যে, টাকা না দিয়ে কোথায় যাচ্ছেন?
কিসের টাকা !? কসাই অবাক।
এই মাত্র যে উকিল সাহেবের নিকট পরামর্শ নিলেন। পরামর্শের জন্য ফিস ২০০ টাকা।
(৪) স্ত্রী তার অসুস্হ স্বামীকে নিয়ে পায়চারী করার উদ্দেশ্যে
রাস্তায় বের হয়ছেন। পথেই স্বামীর এক পুরনো বন্ধুর সাথে তাদের দেখা,
এই যে বন্ধু কত দিনপর দেখা, কেমন আছ ?
"ভাল নেই বন্ধু, আমার এইডস রোগ হয়ছে, ডাক্তার বলেছে আমি আর বড়জোর তিনমাস বাঁচবো। "
দীর্ঘস্বাস ছেড়ে স্বামী বললো।
বন্ধু তার কথায় মর্মাহত হলো বটে,কিন্তু এইডস রোগের কথা শুনে সে যেন দ্রুতই সেখান থেকে সটকে পড়লো। স্ত্রী তার স্বামীর মুখে এইডস রোগের কথা শুনে অবাক হয়ে প্রশ্ন করে,
ওগো, তোমার তো এইডস রোগ হয়নি, তোমার হয়েছে ফুসফুসের ক্যান্সার, কেন তুমি তাকে এইডস রোগের কথা বললে?
প্রিয়া, আমি তো তিন মাসের ভেতর মরে যাচ্ছি, এরপর কেউ যেন তোমাকে বিয়ে না করতে পারে সেই ব্যাবস্হা করে যাচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।