আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বই রিভিউঃ ইনফারনো/ড্যান ব্রাউন

অনির্দিষ্ট কালের জন্য আমি ছুটিতে.... দীর্ঘ চার বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত ১৪ই মে মুক্তি পেয়েছে থ্রিলার গুরু ড্যান ব্রাউনের ইনফারনো। ড্যান ব্রাউনের পঞ্চম এবং রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের চতুর্থ বই এটি। আগের চারটি বই বিশ্বব্যাপী ১৯০ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে । তাই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, এ বছরের সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায় শীর্ষেই থাকবে এটি । এই বইতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিম্বলোজিস্ট প্রফেসর ল্যাংডনকে দেখা যাবে সেই চিরচেনা রূপেই ।

গল্পের কাহিনী শুরু হয়েছে ইতালির ফ্লোরেন্সের এক হাসপাতালে। সাময়িক এমনেসিয়া আক্রান্ত ল্যানডনের কোন ধারনা নেই কিভাবে বা কেন সে এখানে এসেছে আর কেনই বা ভয়ংকর এক মহিলা গুপ্তঘাতক তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। বের হতে না হতেই সমালোচকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে বইটি। এটা অবশ্য অনুমেয়ই ছিল। ড্যান হলেন সেই লেখক যার অবস্থান সমালোচকেদের অপছন্দনীয় তালিকার প্রথম দিকে।

এক যুগ আগে বের হওয়া দ্য দা ভিঞ্চি কোডের এই লেখকের উপর অনেকেই খ্যাপা (মুম্বাইতে তার দ্য দা ভিঞ্চি কোড বইয়ের কপি পুড়িয়েছিল ভারতের প্রতিবাদী ক্রিশ্চিয়ানরা) । আর ড্যান যখন বলেছিলেন এ বইটি দান্তের ডিভাইন কমেডি থেকে অনুপ্রাণিত তখন সবাই ধরেই নিয়েছিলেন ‘চার্চ’ নিয়েই কোন বিষেদাগার রচনা করতে যাচ্ছেন ড্যান কেননা চার্চের প্রতি দান্তের মনোভাব কারই অবিদিত না। কিন্তু এ বইটির কাহিনী অন্য বইগুলোর থেকে কিছুটা আলাদা। কোন ঐতিহাসিক ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপট নিয়ে এ বইটি নয়, বরং এখানে প্রফেসর ল্যাংডনকে মোকাবেলা করতে হবে এক এভিল সায়েন্টিফিক জিনিয়াস বারট্রান্ড জোবরিস্টকে, যিনি বিশ্বাস করেন ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা থেকে সৃষ্ট সমস্যা দূর করার একমাত্র উপায় হল পৃথিবী থেকে একটা বিশাল জনগোগোষ্ঠীকে মুছে দেয়া। মজার ব্যাপার হল গল্পে দু’জনই ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন তিনিই পৃথিবীকে বাঁচাচ্ছেন ।

এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে বলা ড্যানের কিছু কথা তুলে দিচ্ছি, “I find the most interesting villains [are] those who do the right things for the wrong reasons, or the wrong things for the right reasons — either one is interesting. I love the gray area between right and wrong.” যে যাই বলুক একজন ড্যান ব্রাউন ফ্যান হিসেবে আমার কিন্তু ভালোই লেগেছে ইনফারনো । একটা মজার ঘটনা দিয়ে শেষ করি । টোকা দিলে কেল্লা যেমন spirally পেঁচিয়ে যায়, অনেকটা সেভাবে লেখা একটা গুপ্ত কবিতা আছে বইয়ের একটা জায়গায় যেটা পড়ার জন্য আমাকে আক্ষরিক অর্থেই ল্যাপির স্ক্রিন আটবার পুরোপুরি ঘুরাতে হয়েছে । আম্মা ব্যাপারটা খেয়াল করে এমন ভাবে তাকালেন যেন আমি পাগল টাইপ কিছু একটা । হা! হা! ইনফারনো কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু...  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।