সত্যােন্বষী
উত্ত্যক্তাদের কারণে ইদানীং অনেক তরুণী আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। গত ৩ এপ্রিল ২০১০ ঈসায়ী তারিখ শনিবার রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী মডেল স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ইলোরা (১৪) বখাটের উৎপাতে বিষপানে আত্মহত্যার পথ নেছে নেয়। ইলোরা বখাটেদের উত্ত্যক্ততায় আত্মহননকারী প্রথম তরুণী নয়। এ ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে অহরহই ঘটছে। আত্মহননকারী এসব হতভাগ্য তরুণীদের বাঁচাবার কি কোন উপায় আছে? স্বল্প পরিসরে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখা যাক।
যেহেতু এটি একটি সামাজিক ব্যাধি, এটা সামাজিকভাবেই প্রতিহত করতে হবে। বখাটে কারা? এরা হলো স্কুল, কলেজ থেকে ঝরে পড়া কিছু যুবক। বাপের হোটেলে জোটে খাওয়া। কাজ-কর্ম নেই তাই হাতে অফুরন্ত সময়। স্কুল, কলেজে যাওয়ার পথে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে সময় কাটাবার একটি রাস্তা খুঁজে পায় এরা।
কেউ কেউ নেশাগ্রস্ত হয়ে নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। এসব অপমৃত্যুর কারণ অনেক। বখাটেদের ব্যাপারে কোন আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে ঘটনাটি চেপে যাওয়া। বখাটেরা সাধারণত অপেক্ষাকৃত বড় ঘরের ছেলে হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহসও করে না। দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিসি'তি ভাল হলে সমস্যাটার কিছু সমাধান হয়তো হতো।
কিন্তু তেমন আশা করাও আমাদের দেশে অবাস্তব। তাহলে এ সমস্যা সমাধানের উপায় কি? সহজ এবং সরল উপায় হাতের কাছেই রয়েছে। বোরকা পরিহিতা পর্দানশীন কোন ছাত্রী বখাটেদের কবলে পড়েছে কেউ শুনেছেন কি? সেজেগুজে যদি কোন তরুণী তার রূপ প্রদর্শন করে স্কুল, কলেজে যাতায়াত করে তাহলে বেকার বখাটেদের টার্গেট হওয়া স্বাভাবিক। সুতরাং এ সমস্যার সমাধান একটিই তা হলো রূপ প্রদর্শন বন্ধ করে পর্দা করুন। বোরকা পরে চলাফেরা করুন সকল প্রকার কুদৃষ্টি থেকে মহিলা, তরুণীরা বেঁচে যাবেন।
আত্মহত্যা করতে হবে না। পর্দা করা মুসলমান নারীর জন্য ফরয। আল্লাহ পাক উনার বিধান মেনে চললে রহমত পাওয়া যাবে আর না মানলে গযবতো আসবেই। এসব আত্মহত্যা গযবেরই ফল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।