যেন এ এক পুরান খেলা । ধুলো ওড়ে, মাটির পথে। জেনো তুমি,আমি হাটি এই পথে
নাম আনন্দ,বয়স ছিল ২১ বছর ৭মাস। ২১ বছর!!! সুকান্তের বয়স,৮০’র দশকের গায়ক হতে চাওয়া জুয়েলের বয়স। ২১ বছর!!! অনেক সম্ভাবনা আর স্বপ্নের অরিন্দম বানানোর বয়স।
আজ সেই ২১ বছরের শান্ত,লাজুক আনন্দের শুভ জন্মদিন। আমি আছি এখনো এখানে,আনন্দ নেই। ভাগ্নে, “শুভ জন্মদিন”,যেখানেই থাকিস।
২৬ মে। আনন্দের দিন,সত্যিই আনন্দের দিন।
আমাদের আনন্দ,অদ্ভুত রকম ভাল লাগা তারপর যথারীতি স্তব্ধ করে চলে যাওয়া। ২৬ মে তাই আমার কাছে শুধুই আনন্দের,যদিও শোকটাই এখন প্রকট,তারপরও আনন্দ,কারণ এই দিনে আনন্দই দেখেছিল পৃথিবীর মুখ।
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। হাসি ছিল,দুস্টুমি ছিল। খাবার টেবিলে ভাইবোনের খুনসুটিও ছিল।
মা-বাবার একটুখানিও আশা ছিল,যেমনই হোক রতন ছিল তাঁদের কাছে। মায়াবী চোখ ছিল অফুরন্ত প্রাণ ভান্ডারে। সদাহাস্যোজ্জ্বল বলে বন্ধুত্ব ছিল বয়সের ভেদাভেদ ছেড়ে।
একদিন,কয়েক মুহুর্ত,সময়ের হিসেবে কয়েক সেকেন্ড,হয়তো তারও কম,মায়াবী চোখ;মায়াজাল তৈরি করে ২১ বছরের এক গল্প হয়ে গেল।
আনন্দ।
এক প্রাণের নাম। একটা পরিবারের অনেক স্বপ্নের এক টুকরো ঝলক।
আনন্দ। জীবন চলার পথে এটা যখন বিশেষণ হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়,খুশি তার নিজস্ব সীমারেখা ভুলে যায়।
আনন্দ।
যখন বিশেষ্য হিসেবে অনেক গুলো মুখের সারথী হিসেবে দাঁড়ায়,ছিড়তে চায় না সেই বন্ধন,যতই পারলৌকিক বাণীই শুনানো হোক না কেন। ২১ বছরের গল্প শুধু অপ্রাপ্তির এক অপরাজিতা ফুলের মতোই অধরা থেকে যায়,পাওয়া হয়না।
এরপর ?
মৃত্যু,এইটা কেন জানি বারবার আমাকে ছোঁয়ে যাই অসীম বেদনায়,মৃত্যু বেদনারই হয়,সুখকে করে শোক।
আর কিছু লেখা যায় না,হাত কেঁপে উঠে আমার, দীর্ঘক্ষণ ঠাহর পাইনি মৃত্যু হবে আমার,আরো একবার,শরীরের নয়,আত্মার। আরো একজন প্রিয় চলে যাবে তার প্রিয় পৃথিবীর সবটুকু না দেখে,আমার আগেই।
ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছুই লিখতে চাইনা আমি,তারপরও লিখি,কেনো লিখি জানিনা।
বিঃদ্রঃ ২১ বছরের গল্পটা আমার একমাত্র ভাগ্নে আনন্দকে নিয়ে। ২০০৬ সালের ৮ই ডিসেম্বর,সেও চলে গেল বাবার মতই আমার হাতের উপর মৃত্যুর পরশ বুলিয়ে ।
আনন্দ
জন্মঃ২৬মে ১৯৮৫
মৃত্যুঃ৮ই ডিসেম্বর ২০০৬
পড়াশোনাঃ ১ম বর্ষ,বোটানি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। (মাত্রই কয়েক মাস ক্লাস করেছিল,তারপর...........)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।