আমি একজন ভালো মানুষ( যতক্ষন তুমি ভালো :) !!)
আজকে অনেক দিন পর লিখতে বসলাম। লেখা হয় না অনেক দিন। অনেক কারন তার। যাই হোক আজকে লিখতেছি আমার ভার্সিটি নিয়ে, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি। কাহিনী হচ্ছে অ্যাডমিশন নেবার আগে আমি খুব একটা ডিটেইল জানতাম না এটা নিয়ে; এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে ভর্তি হবার পর দেখছি বাইরের লোকজনও খুব একটা জানে না।
সবাই ভাবে ওইখানে ইঞ্জিনিয়ারিং না পড়ায়ে আর্মি জাতের কিছু একটা শেখানো হয়, হাহাহা ।
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি (এম.আই.এস.টি) মিরপুর ১২, ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরে। আমি যখন ওইখানে সি এস সি পাইলাম আমার খুশি তখন দেখে কে। কিন্তু কাহিনী হইয়াগেল যখন জানতে পারলাম ঐখানে পিচ্চি পোলাপাইনের মত ড্রেস পরে যেতে হয়। কিন্তু আমি শেষ পর্যন্ত এইখানেই ভর্তি হলাম।
এটা একটা পাবলিক ভার্সিটি কিন্তু এখনো তেমন একটা পরিচিতি মনে হয় পায় নাই। তবে একটা জিনিস এখানে স্পেশাল। সেটা হইল বাংলাদেশের একমাত্র পাবলিক ভার্সিটি যেটাতে অ্যারনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় (ভাব আর কি)। লোকেশনটা অনেক সুন্দর। নতুনরা একবার আসলেই ভাবে, আহা রে এত সুন্দর একটা ভার্সিটি! আর যখন শুনে এখানে ড্রেস পড়া লাগে তখন ভাবে, এখানে না পড়ে ভালোই হইছে।
আসলে ড্রেস বলতে আর্মি টাইপের কিছু না। মার্জিত কালারের প্যান্ট শার্ট। কোন ইয়ো কিংবা ডিজে র যেন আবির্ভাব না হয় খুব সম্ভবত তাই এই ব্যাবস্থা। ক্লাসের স্টুডেন্টদের মধ্যে আমরা বেশির ভাগই সিভিলিয়ান। আর আমাদের সাথে আর্মি, নেভি আর এয়ার-ফোর্সের ভাইয়া আপুরা থাকেন।
ওনারা সবাই অফিসার, এখন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে এসেছেন ওনাদের জব এর অংশ হিসেবেই। তবে ক্লাসে সবাই আমরা স্টুডেন্ট সবাই ই একসাথে পড়ি।
এখানে অন্য পাবলিক ভার্সিটির মত মজা করার চান্সটা একটু কম। তবে এই ব্যাপারটাতে একবার মানায়ে নিতে পারলে এখানে অনেক মজা করা যায়। হলের লাইফটা এখানে চরম।
ক্লাসের পরিবেশ অলওয়েজ স্ট্যান্ডার্ট। প্রতেক্টা রুমে প্রজেক্শন করে পড়ানোর ব্যাবস্থা আছে। আর মজার ব্যাপার হল ক্লাসরুমের পিসি গুলাতে ল্যান কানেক্ট করা ব্যাবস্থা আছে। তবে এখনো কেন যানি কানেক্ট করে নাই। খুশির খবর হল পুরা ক্যাম্পাস ওয়াই-ফাই কাভারেজ করছে, আর দুঃখের খবর এখন আর মাগনা মাগনা ওয়াই-ফাই গেটওয়ে দেয়া হয় না সবাইকে।
ভার্সিটি লাইফটা সবাই যেমনটা আশা করে আমাদের লাইফটাও তেমনই; তবে ডিফরেন্সটা হচ্চে এখানে কিছুটা মাত্রা মেনে মজা করতে হয়। এই মুহুর্তে পি এল এর বন্ধ চলতেছে। আর দুই সপ্তাহ পর আমার টার্ম টার্ম-এন্ড পরীক্ষা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।