এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
বাংলাদেশের“মূল ধারার” সকল রাজনৈতিক দল নিউ ওয়ার্ল্ড ওর্ডার (NWO) মেনে নিয়েছে । এর মানে হচ্ছে নতুন এমন এক বিশ্বব্যবস্থা যেখানে কথা বলবে, শাসন করবে, শোষন
করবে কেবল একজন। আপনি কি ভাবছেন আপনি যেহেতু ইস্লামিক জঙ্গী নন, আপনি
sophisticated, cultured, liberal BBA/MBA from IBA/NSU/DU তাই আপনি এই
আগ্রাসনের আওতা থেকে মুক্ত? আপনি রাজনীতি জাতীয় পচা জিনিসকে হেইট করেন,
ফেছবুক প্রফাইলে পলিটিকাল ভিউস এ লেখেন “লিভ ইট”। আপনি মনে করেন যেহেতু
রাজনীতিতে “দূর্বৃত্তায়ন”, “কালো টাকা”, “পেশী শক্তি” এসব এসে ভিড় করেছে
তাই আমাদের ওখানে জায়গা নেই। দুনিয়ার সুখ অনলি অন মাই ডিজুস...
ভায়া আপনি বাংলাদেশের প্রথম আলো (এবং তার ভাই বেরাদার) দ্বারা fooled
হয়েছেন।
মিডিয়া আপনাকে সুকৌশলে বাংলাদেশের বিরাজনীতি করনের একটা উপাদানে
পরিণত করেছে। এটা অবাক হওয়ার নয় এই কারনে যে সংবাদ এখন বিজ্ঞাপন সাজানোর
খালি জায়গায় পরিনত হয়েছে। এই বিজ্ঞাপনের মালিক ঠিক করছে কী কী খবর ছাপা হবে
বা হবে না। মেধাবীরা রাজনীতি না করলে বাংলাদেশের শত্রুদের লাভ না ক্ষতি??
’৯০ এর আগে ফ্যাসিস্ট এই আচরনটা করার আগে দুই পরাশক্তি নিজেদের মধ্যে
অন্তত কামড়াকামড়ি করত। আগে ঠিক করত কে লুটপাট করবে, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন
চালাবে অথবা সোজাসাপ্টা দেশ দখল করে নেবে।
NWO এর ফলটা দাঁড়াচ্ছে এখন
মহারাজ একজনই হবে। এই বিশ্বব্যবস্থা অসাধারন কর্মদক্ষতার সাথে তার
সাম্রাজ্য দখল করে চলেছে। আমেরিকার জনগনকে এই illusion টা দেয়া হচ্ছে যে
তারা তাদের দেশ পরিচালনা করছে গণতন্ত্রের মাধ্যমে। কিন্তু এটা হচ্ছে
গণতন্ত্রের illusion। এর প্রমাণ হচ্ছে যুদ্ধ বিরোধী ব্যপক জনমত সত্ত্বেও
কাউবয় সংস্কৃতির বাধাহীন জয়লাভ।
They don’t really care about us…
আপনি পোপের চেয়ে বড় ক্রিশ্চিয়ান হয়েও পার পাবেন না। বাগদাদে কি আপনার মত
“এফিশিয়েন্ট” মাল ছিলনা? তারা কি জীবনটা djuice style এ সাজাতে চায়নি? তারা
কি চায়নি কর্পরেট কালচার রপ্ত করে ভদ্দরলোক হতে? তারা কি চায়নি ছিপিডি’র
সেমিনারে গিয়ে মিনারেল ওয়াটার চুষে আবুল বারকাত হতে? তারা কি চেষ্টা করেনি
সব জেনে বুঝে কালচারাল আগ্রাসনকে আহলান ওয়া সাহলান করতে? তাদের কি টিআইবি
এবং মোজাফফর/দেবপ্রিয়/মাহফুজ আনাম ছিলনা? তাদের কি পরিনতি??
আপনি কি ভাবছেন আপনার দেশের কর্দমাক্ত কালো টাকা ও পেশি শক্তিময় রাজনীতি
ভুলে গিয়ে আম্মুর কোলে বসে দুদু খেয়ে, কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি
শিখলে আর উইকেন্ড এ এফএম এ পার্টি শো শুনলেই জাতে উঠা যাচ্চে?? এভাবেই
বাংলাদেশ মৌলবাদের ভূত তাড়াতে পারবে?? মার্কস বলেছিলেন, ইউরোপ ভূত দেখছে,
কমিউনিসম এর ভূত। এখন পশ্চিম যে ভূত দেখছে তার নাম হচ্ছে ইসলামের ভূত। অতএব
পোপের চেয়ে বড় ক্রিশ্চিয়ান হয়ে, বন্দর, তেল-গ্যাস, পার্বত্য চট্টগ্রাম,
সংস্কৃতি, প্রাণ ও প্রতিবেশ সবকিছু সেল করে এবং সেল করা শিখতে কর্পোরেট
কালচার আত্নস্থ করেও শেষ রক্ষা হবেনা। টুডে অর টুমরো আপনাকে এই পরিনতির
দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করা হবেই।
এই জায়গায় এসে কমন এনিমি তত্ত্বটা রিথট করে দেখার জন্য আপনাকে ডাক দেই।
আমার শত্রুর শ্ত্রু হচ্ছে আমার বন্ধু- এটাই কমন এনিমি তত্ত্ব। এখনকার
পৃথিবীতে সাম্রাজ্যবাদের শত্রু কারা?? লিডারের নাম বললে আহমাদিনেজাদ,
শ্যাভেজ, ফিদেল, হাসান নাসরুল্লাহ, নর্থ কোরিয়ার লিডার (নাম মনে নাই) এরাই
হচ্ছে শত্রু। আমরা আদতে দেখতেও পাচ্ছি শ্যাভেজ-আহমাদিনেজাদ গলায় গলায়
পিরিত। এই পিরিত অবশ্য বুশ-আব্দুল্লাহ মার্কা চুম্মা খাওয়া পিরিত না।
এটা
হচ্ছে জনমানুষের পক্ষে এক হবার সম্পর্ক। পাশের দেশ ইন্ডিয়ায় কি হচ্ছে?
অরুন্ধতী রায় কে চিনেনা এমন কোন তাত্ত্বিক বা এ্যাক্টিভিস্ট বাংলাদেশে আছে
বলে মনে হয়না। অরুন্ধুতি রায় একমঞ্চে উঠছে নিষিদ্ধ সিমি (স্টুডেন্ট ইসলামিক
মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার সাথে)। খোলাসা করে বলি, সিমি হচ্ছে ইন্ডিয়া জামাতের
ছাত্র সঙ্গঠন! সারা দুনিয়াতেই এই ধরনের নয়া গণতান্ত্রিক ঐক্য গড়ে উঠছে। এটা
আসলে একটা রেইনবো কোয়ালিশন।
আপনাকে বলা হচ্ছেনা “সাম্প্রদায়িকতা” “মৌলবাদ”
ত্যাগ করে আস তারপর আপনার সাথে কথা বলব। আপনাকে এটাও বলা হচ্ছেনা আপনিকে
খোদায় বিশ্বাস না করলে নাস্তিকের মুখ দেখব না। পরিবর্তিত NOW এই বিষয়গুলো
আপেক্ষিক হয়ে গেছে যুদ্ধবাজদের তাড়াহুরার ফলে।
বাংলাদেশে এই ধরনের ঐক্য সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষা এবং ইরাকীকরন রোধ করতে
অত্যন্ত অত্যন্ত প্রয়োজন। আপনি কমিউনিস্ট হন আর ইসলামিস্টই হন বাংলাদেশের
স্বাধীনতা ছিন্তাই হয়ে যাচ্ছে এটাই বড় বাস্তবতা।
তাই আসেন ভাই রেইনবো
কোয়ালিশন গড়ে সমসাময়িক সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বিশ্ব প্লাট ফর্মে নিজেদের
যুক্ত করি।
যে ভায়ারা রাজনীতি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতেসেন তাদের প্রতি শেষ নসীহত
হইতেসে, আমরা যদি রাজনীতি না করি তাইলে এমন একদল লোক রাজনীতি করবে যারা ২
বছর ধইরা খুইজা যোগ্য প্রার্থী বাইওর করবে মঈনউদ্দীনকে। অথবা এমন একদল এই
কাজ করবে যারা সারা দেশকে একটা উন্মুক্ত টেন্ডার বক্স বানায় ছাড়বে আর তা
লুটের বখরা নিয়ে নিজেরা কামড়া-কামড়ি করে নিজেরাই নিজেদের মারবে। তাই আসেন
হে ইয়ুথ ভাই, রাজনীতির দিকে আগাই। নিজে ওদেরকে সুযোগ করে দিয়ে আবার
ওদেরকেই নিজের দেশের ক্ষতির জন্য দায়ী করাটা পাগলা টাইপের হয়ে যায় না???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।