কী বলিব ভাই ! এই তেলটা যে কী জিনিস সবাই সেটা হাড়ে হাড়ে জানি। ছোট বেলায় গ্রামের মোড়লের বাড়ীতে লজিং মাস্টার বৈঠকখানায় রাতের বেলায় পড়াত। পাড়ার সব ছেলে পুলে আমরা লজিং মাস্টারের কাছে পড়তাম। মোড়ল লজিং মাস্টারকে খাওয়াতো। তিনি আমাদের ফ্রিতে পড়তে দিতেন বটে কিন্তু রাতের বেলা কুপির তেল টা তিনি কিছুতেই দিবেন না।
কেরোসিন তেল বলে কথা । আমরা পড়ার আগে সবার বাসা হতে একটু একটু করে তেল উঠাতাম আর সেই তেলে পড়া না হইলে সে দিনের মতে আর পড়া হত না। তখন থেকে এই তেলের দামটা কি তা ভালোই বুঝি। আরও ভাল বুঝলাম যখন একটু একটু করে বড় হতে লাগলাম।
স্কুল কলেজে বাসায় গিয়ে স্যারদের কাছে পড়তে হত ।
তেল মাড়তে হত। না হইলে ব্যবহারিক পরীক্ষায় রসগোল্লা পাওয়ার ভয় ছিল। তাই আমাদের মাঝে তেলানোর প্রতিযোগীতা চলত। কে আগে স্যারকে সালাম দিবে, কে স্যারের বাচ্চার জন্য চকলেট কিনবে এমন কি বজার খরচ পর্যন্ত করে দিত কেউ কেউ। তাই পড়ারেখার পাশাপাশি তৈলবিদ্যাটাও আয়ত্ত করেছিল অনেকেই।
পাশ করে এখন একটা চাকরী করি। কোন রকম চলে। চাকরীক্ষেত্রে তেলের সাগরে ভাসছি। চারিদিকে শুধু তেল আর তেল। এখানে তেল মারলেই অনেক ফায়দা লুটা যায়।
যে যত পারে বসদের তেল মারে। আর যারা মারে না তাদের কি হয় তা সকলের জানা ।
অফিস থেকে বাসা আসবেন তাও কি শান্তি আছে! আরাম আয়েশ করে টি.ভি (বি) টা যেই ছাড়বেন দেখবেন আপনি লুইজিয়ানার লিক হওয়া মেক্চিকো তেলের উপসাগরে ভাসছেন। খবরে খবরে শুধু সরকারী দলের তোসামুদী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।