মধ্যরাতে ঝমঝম করে যখন বৃষ্টির কান্না ঝরে পড়ে, তখন আমার মনে হয় এই কালো কালো মেঘগুলোর পর্দার পেছনে এমন কেউ হইতো রয়েছে , যাদের হৃদয় আছে আমারই মত!!!!!
ব্লগে আসার কিছু দিন পরেই আরএসএস ফিড সম্পর্কিত ধারণা পাই। এখনো অনেক ব্লগার আরএনএন ফিড সম্পর্কে জানে না বা অনেকের এ সম্পর্কে অতটা চিন্তা নেই। আপনি এক জন ব্লগার অথচ আরএসএস এর সুবিধা নিচ্ছেন না, তা হতে পারে না। আজই আপনার ব্লগের আরএসএস ফিডের লিংক প্রকাশ করুন, আর ই-মেইল সাবক্রাইবের বেপারে সবাইকে জানিয়ে দিন।
ফিড কি?
Feed মানে খাওয়ানো কিন্তু এই ফীড সেই feed নই ।
এখন দেখি ফিড কি ???????????????????????????
(আমার মতে) ফিড হলো কোন ওয়েবের/ব্লগের সর্বশেষ প্রকাশিত লেখার তালিকা।
মনে করুন আপনি একটি ব্লগে ভিজিট করেছেন । আপনার পছন্দ হলো ব্লগটি। আপনি অধির আগ্রহে বারবার ভিজিট করছেন সাইটটি। আপনার নিজের একটি ব্লগ থাকলে সেই সাইটের ফিড যুক্ত করলে নতুন পোস্টের তালিকা আপনার ব্লগ থেকেই দেখা যাবে।
ই-মেইল সাবক্রাইব করলে নতুন পোস্ট প্রকাশ হওয়ার পর তা আপনার ই-মেইলে চলে আসবে। ঠিক এ সুবিধাটিই আপনার ব্লগের সবাইকে দিতে পারেন
১. অধিকাংশ পাঠকই জানে না ফিড কি? বা আরএসএস ফিডের সুবিধা নেয় না
এটা সত্যি যে অধিকাংশ পাঠকই জানে না ফিড কি? ফিডের মাধ্যমে আপনি কি সুবিধা দিতে চাইছেন বা পাঠক কি সুবিধা পেতে পারে। সহজ কথায় বুঝিয়ে দিতে পারেন ফিডের ব্যবহার ।
২. অনেক পাঠকই আংশিক ফিড থেকে সাবক্রাইব সরিয়ে নেয়
অনেক পাঠকই ফিড সাবক্রাইবের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ব্লগটি দেখতে চায় বা ই-মেইলেই সম্পূর্ণ ব্লগটি চায়। আপনি যদি আংশিক ব্লগ সাবক্রইব করার ব্যবস্থা করেন তবে কিছু সাবক্রাইবার হারাতে পারেন।
আমি নিজেও আংশিক ব্লগ সাবক্রাইব করা পছন্দ করি না।
৩. পোস্ট সম্পাদনার কারনে একই পোস্ট দুইবার দেখার আসঙ্খ্যা রয়ে যায়
একটি পোস্ট করার পর তা সম্পাদন করলে সম্পাদিত পোস্টটি সাবক্রাইবার দেখতে পাবে না কারন পোস্ট যত তারাতারি সম্পাদিত হয় তত তারাতারি থার্ডপার্টি ফিড (যেমন: ফিডবার্নার ) এ সম্পাদিত হয় না। ফিডে এটা একটা সমস্যা। তাই প্রথমেই পোস্ট প্রকাশ করার সময় ভাল ভাবে লিখুন। আবার অনেকে একই পোস্ট একবার প্রকাশ করে আরেকবার তা সম্পাদন করে প্রকাশ করে তার ফলে ই-মেইল সাবক্রাইবাররা দুইবার একআ পোস্ট দেখতে পায় ।
এ বেপারটা লক্ষ রাখতে হবে।
৪. কিছু পাঠক ই-মেইল সাবক্রাইব করেন
কিছু পাঠক ভাল কনটেন্ট দেখলেই ই-মেইল সাবক্রাইব করেন। তাই ফিড লিংকটি শেয়ার করুন,সুবিধা মতো উপায়ে। ভাল কনটেন্ট অবশ্যই রাখতে হবে। ই-মেইলে লেখা পেতে চাইলে তাদেরকে স্বাগতম জানান ই-মেইল করে।
৫. কিছু পাঠক কখনোই ফিড সাবক্রাইব করে না
কিছু পাঠক আছে যারা কখনোই ফিড সাবক্রাইব করবে না। ( তাদেরকে বিরক্ত না করাই ভাল। ) আর ফিড সাবক্রাইবের বেপারে খুব বেশি চিন্তিত হতে নেই।
৬. সাবক্রাইব করতে বাধ্য করার প্রচেস্টা না করাই ভাল
অনেকে (স্ক্রিপ্ট এর মাধ্যমে) একটি নির্দিস্ট সময় পর পর ফিড সাবক্রাইব করতে অনুরোধ করে। যদিও তারা বেশ কিছু পাঠকও পায়।
অবশ্য আমি এর বিরোধী। এটা না করাই ভাল।
৭. সাবক্রাইব লিঙ্ক লুকিয়ে রাখা
মনের ভুলে বা প্রয়োজন না মনে করে অনেকে সাইটের সাবক্রাইব লিঙ্ক শেয়ার করে না। অথচ অনেক পাঠক খুজতে থাকে সাবক্রাইব লিংক। তাই আমার মনে হয় এটি প্রকাশ করাই ভাল।
এতে করে আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তা বাড়বে, কমবে না।
৮. অপ্রাসঙ্গিক পোস্টের কারনে সাবক্রাইবার হারাতে পারেন
পাঠকদের সাথে প্রতারণা করে লাভ নেই। আপনার সাবক্রাইবারদের অপ্রাসঙ্গিক পোস্ট প্রদান করলে তারা আনসাবক্রাইব করতেই পারে।
৯. সাবক্রাইবারদের সুবিধা দেওয়া
অনেকে সাবক্রাইবারদের বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে থাকে যেমন: সব করটেন্টে প্রবেশাধিকার, ই-বুক প্রদান ইত্যাদি।
সাবক্রাইবার বাড়ানোর উপায়
১০. প্রতি দিন পোস্ট করুন
১১. আরএসএস বাটন যুক্ত করুন
১২. সহজে যাতে সাবক্রাইব করতে পারে সেই ব্যবস্থা করুন
১৩. আরএসএস কি এবং এটি কিভাবে ব্যাহার করতে পারবেন সেই বিষয়টি লিখে তার লিংক সাবক্রাইব লিংকের নিচে দিয়ে দিন।
১৪. প্রতিটি পোস্টের নিচে পাঠককে আরএসএস ফিড সাবক্রাইব করতে বলুন।
১৫.যারা মতামত দেয় ও সাবক্রাইব করে তাদের ই-মেইল করুন।
১৬.মতামতের শেষেও সাবক্রাইবের লিংকটি দিতে পারেন।
১৭. অন্যান্য ব্লগেও আপনার ব্লগে সাবক্রাইব করতে বলুন।
১৮.সাবক্রাইবারের সংখ্যা প্রকাশ করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।