সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিল মানে কারো শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেয়া
উদ্বোধন ঃ Click This Link
পুরো আশিক ঃ Click This Link
ক্রমশ ঃ
সৌর জগতে ঢুকে সে একটু থমকে দাঁড়ালো। অভ্যাস বশতঃ বেয়ারা সূর্যের দিকে তাকিয়ে সানগার্ডদেরকে শুভাশিস জানাল। বুধ, শুক্র ঘুরে ছোট্ট সবুজ গ্রহটাতে তার চোখ আটকে গেল। তার অন্য কোথাও যাবার কথা ছিল কি না-আমি জানি না। কিন্তু সে ধীরে মোহাবিস্টের মত সবুজ গ্রহের দিকে অগ্রসর হতে আর স্মৃতিতে, মনে, আবেগে, খুঁজতে অথবা মিলাতে প্রাণপন চেষ্টা করছিল।
সে কিছু পেল কি না সে জানে কিন্তু সবুজের পরশ, অশ্রুর গন্ধ, আবেগ জানায়ে দিল সবুজ এক স্বজন পেয়েছে আজ। তাই সবুজ তারে দিলো সজল সম্ভাষণ। আর বহুকালের তৃষ্ণার্ত সে নরম বৃক্ষপত্রের, এই ফুল, সেই ফুল, ঘাসফুলের পেলব পরশ, ঘাসের সুড়সুড়ি, বৃক্ষের নরম আঘাত, কাঁটার খোঁচা, জলের কলকল, বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ, বৃক্ষপত্রের পতপত, ঝরাপাতার ফরফর, বিচরণশীলদের বিবিধ মুখরিত রবে আমুল ডুবে যেতে যেতে বহুকাল পরে নিজেকে হারায়। হাসি মুখে। হৃস্টচিত্তে।
হৃদয় শান্ত হলে পর, সে গানের পাখি, এসেছিল- কথা, নাথগীতি অথবা শ্যামা সঙ্গীতে, কীর্তনে প্রিয়তম প্রভুর শংসাগীতের সূর ইতস্তত ছড়িয়ে দেবার জগতকে গানের সূরে ভরে দেবার ব্রত সম্পন্ন করবার কাজে। আর এখন আপ্লুত, আকুল সে মহার্ঘ্য স্বহৃদ নিজেরে নৈবেদ্য সাজাল। বৃক্ষপত্র, শাখা, কান্ড, প্রতি ইঞ্চি ভুমি, স্পেসকে বেদী করে জল ও ভুমিস্থিত স্নেহশীল সকলেরে ঈশ্বরের অংশ জ্ঞানে ঈশ্বররুপে সাধন ও ভজনে নিরত হলো। ভজনে ভজনে কেটে গেল বহুকাল। ইত্যবসরে নবীন সবুজে কেউ কেউ ফলবতী, কোন কোন প্রবাহ শীতল, সুমিষ্ট।
প্রাণের হরষে, ধুয়ার ফাঁকে সে হলো তুষ্ট, তৃপ্ত আর ধুয়ায় ধুয়ায়, সুরে সুরে গলা মিলাতে স্থির ও অস্থির, কুঁড়ি ও পূর্ণ বৃক্ষপত্র, জল ও হাওয়ার অভিভূত প্রবাহদের হলো সুর সাধা ধরণীর বিণায়। তাইতো নিরবধী তারা গেয়ে চলে ভজনগীত।
আর সে ? সে কি সবুজ গ্রহের অবুঝ, নবীন, কাঁচাদের ভক্তিরসে নাইয়ে গেল ? না বিস্মৃতপ্রায় ইত্যাদি ইত্যাদি স্বাদ ও গন্ধের সাথে হলো তার পুনঃ পরিচয় কিংবা ভোজন কিংবা জিহ্বা ও উদরের ভজনে কিঞ্চিত পার্থিব বিষয়াদি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল? জানি না। কিন্তু শীঘ্রই সে বর্জ্যরুপে কঠিন তরল ও বায়বীয় কিছুর নিকাশে হালকা হলো।
হয়তো বা সবুজ স্বজনের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন আর গাঁজন সাপেক্ষে কিছু মিথেনের সম্ভাবনা তৈরী করে প্রভুর অপার করুণায় সিক্ত, পরিশ্রুত, পবিত্র হয়ে আকাশে উড়াল দিল সোনালী ডানার চিল।
চলবে........................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।