আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মা তুমি আলো দিয়েছিলে বলেই আমি ফিরে এসেছি

একজন সাধারণ মানুষ যে সব সময় সাধারনই থাকতে চায়
চরটা নিস্তব্ধতা এবং নিঃসঙ্গতায় আলো আধারি। চারপাশে তাকালে চকচকে বালুর কীরণ আর অনাহারী কিছু পাখির থমথম মুখই সদা হাস্যজ্জল। এই নিঃঙ্গতার আলো আধারি শব্দে একে অপরের পরিপূরক হয়ে এখানে ওদের বাস। যেখানে একটি কুড়ে ঘর নিস্তবদ্বার সাথী হয়ে ওদের কে আশ্রয় দেয়। সে ঘরের এই নিছক কালো রাত্রিটি ছেলের মনের অন্ধকারের সাথে মিলে মিশে আজ একাকার।

তার মা অসুস্থ। যে প্রদীপ জালিয়ে ছেলে মাকে পাহাড়ারত তার পরিমান থেকে বুঝা যায় এদিয়ে সারা রাত সাবার হবে না। ছেলে তাই মাকে ডেকে অনুমতি চায় প্রদীপের তেল আনতে চরের ওপারে যেতে। মা তার নারীর বন্ধনকে কিছুতে অন্ধকারের সাথি হতে দিতে চায়না। অজুহাত হিসেবে বলে; বাবাজান এই অন্ধকার তুমি বিলের ভীতর কি করে পথ চিনে নিবে।

আমার কিছুই হবে না তুমি ঘরেই থাকো। ছেলে ভরসা পায় না। বার বার অনুরোধে করে মাকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলো। মাকে বুঝাতে বলে ওপারে যে আলো দেখা যায় মা তাই দিয়ে আমি পথ চিনে নিবো। আর ফেরার পথে তোমার আলোতে পথ চিনে নিবো।

চিন্তা করোনা তুমি লক্ষি মেয়ের মত এই প্রদীপ নিয়ে ঘরের বারান্দায় জলচকিতে শুয়ে থাকো। আমি এই প্রদীপের আলো দেখে তোমার কাছে ফিরে আসব। ছেলে চলে যায় মা শুয়ে থাকে প্রতীক্ষায়। সময় চলে ছেলে ফিরে না। প্রদীপটাও তেল শেষে নিভু নিভু হয়ে যায়।

মা চারপাশ থেকে ঘড় খুটো কুড়িয়ে ছেলের পথ ফেরার আলো জালিয়ে রাখে। তাও শেষ হয়ে যায় ছেলে ফিরে না। মা তার ছেলে ফেরার আলোর উৎস খুজতে থাকে। চোখ যায় কুড়ে ঘরটার দিকে। আবার ফিরিয়েও নেয়।

এ পুড়ে গেলে তার ছেলে থাকবে কিভাবে। খুজে পায় নিজের শাড়ির আচঁল। আগুন জালিয়ে দেয়। এসময় শাড়ি শেষ করে আগুন খুজে নেয় মার শরীর। মা নিশ্চুপ বসে থাকে ছেলের প্রতীক্ষায়।

ছেলে মার শরীরের জলতে থাকে আগুন দেখে ফিরে এসে কয়লা ছাড়া কিছুই খুজে পায় না। এই যে মার শরীরের আগুনের আলো দেখে ছেলের ফিরে আসা। এই আলোকেই আমরা আলেয়া বলে ডাকি। বিঃ দ্রঃ- লেখাটি মৌলিক নয়।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।