আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেষ হাসি হাসতে চলছেন ডেভিড ক্যামেরন।



শেষ হাসি হাসতে চলছেন ডেভিড ক্যামেরন। তিনি সম্ভবত ব্রিটেনের আগামী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। সরকার গঠনে লিবারেল ডেমোক্রেটদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে কনজারভেটিভরা। ৩৬ বছর পর ব্রিটেনে আবার ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হতে যাচ্ছে। ১৯৭৪ সালের পর ব্রিটেন এই প্রথম জোট সরকার গঠনের পথে রয়েছে।

তাও আবার এমন দুটি দল যারা মতাদর্শগতভাবে বিপরীত। এদিকে লেবার পার্টির এমনই অবস্থা যে, লিবারেল ডেমোক্রেটরা সমর্থন দিলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৩২৬টি আসন হচ্ছে না। তার জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ছোট দলগুলোর দিকে। তবে আশা ছেড়ে দেননি গর্ডন ব্রাউনও। তিনি তাকিয়ে আছেন ক্যামেরনের সঙ্গে ক্রেগের আলোচনার ফলাফলের দিকে।

৬ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি ৩০৬টি আসনে জয়ী হলেও ২১টি আসনের জন্য সংখ্যগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। সরকার গঠন করতে হলে তাদের অন্য দলের সমর্থন প্রয়োজন। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি ২৫৮ ও লিবারেল ডেমোক্রেটরা ৫৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ২৮টি আসন পেয়েছে। একটি আসনে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে।

সরকার গঠনে কনজারভেটিভদের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে গতকাল দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সমর্থন চেয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রাট নেতা নিক ক্লেগ। সমঝোতা হলে কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো সরকার গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে লিবারেল ডেমোক্রাটরা। দলীয় নেতাদের সমর্থন পেলেও কনজারভেটিভদের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের অনেক নীতিই ত্যাগ করতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওদিকে গ্রিসের অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রভাব ব্রিটিশ বাজারেও পড়েছে। নীতি নির্ধারকরা দ্রুত নতুন সরকার গঠন করে এ মন্দা মোকাবেলা করতে চাইছেন।

শুক্রবার কনজারভেটিভ নেতা ডেভিড ক্যামেরন লিবারেল ডেমোক্রাটের সঙ্গে কিছু বিষয়ে সমঝোতায় যেতে চান বলে জানিয়েছেন। তবে এ দু'দলের সমঝোতায় প্রধান বাধা হিসেবে 'বাজেট ঘাটতি' কমানোর পদক্ষেপকে দেখা হচ্ছে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কনজারভেটিভরা এখনই কাটছাঁট করতে চায়। তবে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক মহামন্দা কাটাতে এ ধরনের পদক্ষেপ ক্ষতিকর হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা। এছাড়া, ভোটদান পদ্ধতি, অভিবাসন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ব্রিটেনের ভূমিকাসহ বেশ কয়েকটি ইস্যু দু'দলের সমঝোতায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে।

কেননা লিবারেল ডেমোক্রাট অনেকদিন ধরেই ভোটদান পদ্ধতির সংস্কার দাবি করে আসছে। সরকার গঠনে কনজারভেটিভদের সঙ্গে সমঝোতায় ক্লেগ দলের পার্লামেন্ট সদস্যদের সম্মতি আদায় করতে পারলেও বিষয়টি নিয়ে অনেকের মধ্যে এখনও দ্বিধা রয়ে গেছে। দলীয় কর্মীদের ওয়েবসাইটে কিছু সমর্থক জানান, 'কনজারভেটিভ ও লিবারেল ডেমোক্রাটদের মধ্যে জোট গঠনই যদি এ নির্বাচনের ফলাফল হয়, তবে আমি আর কখনোই লিবারেলকে ভোট দেব না। ' লিবারেল ও কনজারভেটিভদের মধ্যে আলোচনা ব্যর্থ হলে লেবার পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে। তবে লেবার-লিবারেল সমঝোতা হলেও সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় আসন এ দু'দলের নেই।

লেবার পার্টির নেতা প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন জানান, সরকার গঠনের অধিকার কনজারভেটিভ ও লিবারেলদেরই। তবে তিনিও আশা ছেড়ে দেননি। তিনি জানিয়েছেন, ক্লেগ ও ক্যামেরনের আলোচনা যদি ব্যর্থ হয় তবে তিনি ক্লেগের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করবেন। পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কী তাহলে ডেভিড ক্যামেরন? আর সংসদে দ্বিতীয় শক্তিশালী পদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে কী নিক ক্লেগ? মানে, যদি কনজারভেটিভ এবং ডেমোক্রাটিভ জোট হয়ে যায় সেক্ষেত্রেই। এমন অনেক কিছু নিয়েই এখন জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।