আমিতো মরে যাব চলে যাব রেখে যাব স্মৃতি....................
আজকে ব্লগে প্রথমে ঢুকেই চোখ পড়ল মাসুদ আহমদ নামের এক ব্লগারেরএ জয় বাঙালির: রুশনারা পোষ্টটি। পোষ্টে ঢুকার পর দেখলাম পোষ্টে ৩টি মাইনাস ২টি প্লাস। পোষ্ট পড়ে আমি মাইনাস দেওয়ার মত কোন কারণ দেখতে পেলামনা। একজন বাঙ্গালী হিসাবে লেখক স্বাভাবিকভাবেই খুশি হতে পারেন আরেকজন বাঙ্গালীর সাফল্যে। উনার লেখায় কোন বিতর্কিত কিছু চোখে পড়লনা।
সত্যিই অবাক হলাম। পরক্ষণেই আমার একটা সন্দেহ মনে উকি দিল। জাতি হিসাবে আমরা আমাদের রক্তের মধ্যে মিশিয়ে ফেলেছি রাজনীতি। আমাদের দেশে বলেন আর বিদেশ বলেন আমরা যেখানেই যাই সেখানে আমরা সাথে করে আমাদের রাজনীতিক দলের সাপোর্ট আমাদের মনের গহীনে যত্ন করে রাখি। অনলাইন পত্রিকা খুজে দেখলাম আমার সন্দেহ অমুলক নয়।
কারণ সমকাল এর রিপোর্টে রুশনারা আলীর বিস্তারিত প্রোপাইলের সাথে উনার আমাদের দেশের রাজনীতিক দৃষ্টভঙ্গিরও কথা লেখা আছে। সমকালের রিপোর্টে থেকে মাইনাসের কারণ সম্পর্কিয় কিছু অংশ দিলাম :
জামায়াত সমর্থিত আবজল মিয়া তৃতীয়
বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ব্রিটেনের বিভিন্ন আসন থেকে মোট ১২ জন বাঙালি পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে মোট ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন ছিলেন বাঙালি। ওই আসনে শীর্ষ তিনটি রাজনৈতিক দল তিনজন বাঙালিকে মনোনয়ন দেওয়ায় একজন বাঙালি এমপি নির্বাচিত হওয়াটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
নির্বাচনের আগে ধারণা করা হয়েছিল জামায়াত সমর্থিত রেসপেক্ট দলীয় প্রার্থী সিলেটের আবজল মিয়ার সঙ্গে হয়তো রুশনারার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
এর আগে বিতর্কিত বামঘেঁষা রাজনীতিক জর্জ গ্যালাওয়ে ছিলেন এ আসনের এমপি। তার দল রেসপেক্ট পার্টির মনোনয়ন নিয়েও সুবিধা করতে পারেননি আবজল মিয়া। রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। একই ঘরানার লিবডেম প্রার্থী আজমল মশরুর হয়েছেন রুশনারার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী। বিলেতের বাঙালি কমিউনিটির প্রগতিশীল অংশসহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকরা রুশনারার পক্ষেই কাজ করেছেন।
জামায়াত, হিযবুত তাহ্রীরসহ মৌলবাদীরা নির্বাচনী প্রচারে অনৈতিকভাবে রুশনারার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালেও ভোটাররা তাতে বিভ্রান্ত হননি নির্বাচনী ফলে তারই প্রমাণ মিলেছে। জাতীয় পর্যায়ে ভোট জরিপে দলগতভাবে বিভিন্ন দলের অবস্থান ওঠানামা করলেও এ আসনে তা লক্ষ্য করা যায়নি। এখানে বাংলাদেশি ভোটারদের কাছে কাজ করেছে বাংলাদেশি রাজনীতি, আঞ্চলিকতা, আত্মীয়তা ও প্রার্থীর ব্যক্তিগত অবস্থান। নির্বাচনে এ আসনে বাংলাদেশি কমিউনিটি বিভক্ত ছিল দু'ভাগে। একটি জামায়াত সমর্থিত উগ্রপন্থিদের, অন্যটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।
স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে পরিচিতরা অবস্থান নেন লেবার দলীয় প্রার্থী রুশনারা আলীর পক্ষে। জামায়াত ও মৌলাবাদী গোষ্ঠীর একটি অংশ সমর্থন করে রেসপেক্ট প্রার্থী আবজল মিয়াকে। অন্য অংশ চলে যায় লিবারেল ডেমোক্রেটের আজমল মশরুরের পক্ষে। এই আসনে মোট ১ লাখ ২০ হাজার ৩১৮ জন ভোটারের মধ্যে ৫৫ হাজার মুসলিম ভোটার, বাংলাদেশি ভোটারের সংখ্যা ৩৫ শতাংশ। পুরো রিপোর্ট পড়তে ক্লিক করুন সমকাল
মাইনাসের কারণ মোটামুটি ভাবে স্পষ্ট হল ।
এই নাহলে আমাদের রাজনীতি। তাইতো বলি ব্লগার হা-হা-হা বেল পাকিলে তাতে কাকের কি? পোষ্টের লিংক দিয়া বেরান কেন? আর উনাকেও এরা এত সমর্থন দেন কেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।