আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ই-মেইলে চাকুরির আবেদনের নয়টি টিপস

লেখক/কবি

ইন্টারনট সুবিধার কারনে আজকাল ই-মেইলে চাকুরির আবেদন পাঠাবার সুযোগ রয়েছে। ইন্টানেটের মাধ্যমে ইমেইলে খুব তাড়াতাড়ি কাজটি সারা যায়। এর মানে এই নয় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নিজের পেষাদারিত্ব আর পরিচ্ছন্নতার কথা ভুলে গেলে ফল ভাল হবে। এ ধরনের কাজে সাধারন কয়েকটি ধাপ সবসময়ই অনুসরন করা উচিত। এখনকার অনেক ইমেল আবেদনপত্র ঘেটে দেখা গেছে অনেকেই এমন গাছাড়া গোছের ইমেইল পাঠান যা ঐ লোক সমন্ধে সঠিক ধারনা পেতে মোটেই কাজে আসেনা।

তাই আবেদন পাঠাবার আগে জেনে নিন কোন কাজ গুলো মোটেই করা উচিত নয়। ক্স এক লোক সরাসরি তার বর্তমান কাজের ফিরিসি- পাঠিয়ে দিল , সাথে না নাম না আর কোন কিছু। কেন কাজটি চাই এ ধরনের ব্যাখ্যা দিয়ে আলাদা কোন চিঠিও নেই। কেবল একটি ই-মেইল ঠিকানা। যে লোক এটুকুন করতে পারেন না তাকে কোন কোম্পনি নিজেদের কাজের দ্বায়িত্ব দিতে চাইবে? ক্স কেউ আবার চাকুরি দাতার নামটি পর্যন- ভুল করেছেন, অনেকের বানানেও ভুল আছে, আবার কেউবা অন্যকোন প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেছেন।

ক্স বানান, ব্যাকরনগত ভুল ,কম্পোজ এবং ফরমেটের সমস্যা অনেকেই তেমন একটা গুরুত্ব দেননা। চাকুরি দাতার হাতে তাই এধরনের মেইল আসে ভুরিভুরি। এরকম সমস্যা এড়াতে সবসময় আবেদনের নির্দেশনা গুলো ভালকরে নজর বুলিয়ে নেয়া উচিত। মনে রাখবেন অন লাইন বা সরাসরি চাকুরি আবেদনের ক্ষেত্রে একই ধরনের কতগুলি নিয়ম অনুসরন করতে হয়। আবেদনের এধরনের কিছু সাধারন নিয়ম নিচে তুলে ধরা হলো : ১.সম্মোধন করুন:সরাসরি লিখতে শুরু করে দিবেন না।

লেখার শুরুতে সুন্দর একটি সম্মোধন সূচক শব্দ লিখুন। ‘জনাব’ বাংলাভাষার সাধারন একটি সম্মোধন। সময়ে এটিও অনেক বড় কাজে আসতে পারে। ২.কোম্পানির নাম সঠিক বানানে লিখুন: বানান জানা না থাকলে একটু সময়নিয়ে নেটসার্চ বা অন্য কোন উপায়ে যেনে নিন। নিয়োগকারি কর্মকর্তা ও তার পাদবিও যেন ভুল না হয়।

৩.যে পদের জন্য আবেদন করেছেন তা উল্লেখ করুন: নিয়োগকারি প্রতিষ্ঠান একের অধিক পদে লোক নয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কাঙ্খিত পদের নাম উল্লেখ করে দেয়া উচিত। ৪.সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে তুলে ধরুন:এটি খুব সংক্ষেপ এবং সোজাসাপ্টা করতে চেষ্টা করবেন। ৫.বানান ও ব্যাকরনে ভুল সুধরে নিন:মাত্র কয়েক মিনিট সময়ইতো লাগবে। নিজের উপর ভরসা করতে না পারলে কাছের কোন বন্ধু অথবা পরিবারের কাউকে দিয়ে কাজটি করিয়ে নিতে পারেন।

৬.ভদ্রতা প্রকাশ করুন:অযথা কিছু লিখবেন না। মনে রাখবেন আপনার মুখের ভাব ভঙ্গী মেইল পাঠক দেখতে পাবেন না। কাজেই শব্দ চয়নে অতিরিক্ত যত্নবান হোন। ৭.প্রতি লাইনে ৬০ ক্যারেক্টার দিয়ে মেইল ফরমেট করুন: অনেক ই-মেইল প্রোগ্রামের সাহায্য নিয়ে আপনা থেকে প্রতি লাইনে ৬০ অথবা সত্তর ক্যারেক্টারের চিঠি ফরমেট করে নেয়া যায়। ৮.যোগাযোগের ঠিকানা:অন-ত ইমেইল ও টেলিফোন নাম্বর দিতে ভুলবেন না।

হয়তো এদুটো মাধ্যমেই তারা আপনার সাথে যোগাযোগকরবে। ৯.নিজের নাম উল্লেখ করুন:এমন অনেক আবেদন পত্র চোখে পরে যাতে আবেদন কারি নিজের নামটি পর্যন- উল্লেখ করেন না। বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। আবেদন পত্রের শেষে ‘নিবেদক’ ‘আপনার একান-...’ এভাবে ইতিটেনে স্বাক্ষর করুন চাকুরি বাজার এখন খুবই প্রতিযোগীতার। একই সাথে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পছন্দতো রয়েছেই।

তাই নিজের পেষাদারি মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়ে নিজেকে আকর্ষনীয় করে তুলুন। যাতে তারা আপনার বিকল্প চিন-া করতে না পারে। ওয়েবেও সেভাবেই নিজেকে বাস-বের মত তুলে ধরুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।