আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডঃ মারূফী খান যেন বংলাদেশের ডঃ মোঃ জাকির নায়েক...!!!!



ডঃ মোঃ জাকির নায়েক, জন্ম ভারতে। এই পৃথিবীতে তিনি একজন অন্যতম জনপ্রিয় বক্তা। আমি তার একজন প্রিয় শ্রোতা। বেশ কিছুদিন আগে টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেল ঘুরতে ঘুরতে এক সময় চোখে পড়ল বাংলাদেশের ইসলামিক চ্যানেলটি। তখন দেখলাম একজন বক্তা সুন্দর করে ধর্ম নিয়ে বক্তব্য রাখছেন, যদিো তাঁর কথার সংঙ্গে ঠোঁট মিলছে না।

পরে বুজতে পারলাম এটা ডাবিং করা। তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন আর এর সংঙ্গে ভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে কত পৃষ্ঠায় কত তম লাইনে আছে সে কথা তা বলে যাচ্ছেন অনর্গল ভাবে! আমি দেখে ো শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কিভাবে একটি লোকের কাছে পৃথিবীর সকল ধর্ম গ্রন্থের সকল তথ্য মনে রাখা সম্ভব। যাই হোক লিখতে বসেছি গতকালের একটি সন্ধ্যা নিয়ে। একটি সুন্দর সন্ধ্যা আমার জীবনে।

আমার উপলব্ধি ধর্ম নিয়ে কেনোই বা আমাদের এত বিভেদ, কেনোই বা এত মারামারি, অশান্তি সৃষ্টি। গতকাল ছিল শ্রী শ্রী আনন্দময়ীর ১১৫তম আবির্ভাব উৎসব। প্রতিবারের ন্যায় এবারো সিদ্ধেশ্বরী কালি মাতার মন্দিরে এ উপলক্ষে একটি আলোচনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এখানে চিফ গেষ্ট হিসেবে ধর্ম মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোঃ শাহজাহান মিয়া-কে আমন্ত্রন জানানো হয়। কিন্তু তিনি কোন কারন বশত: আসতে পারেননি।

এছাড়া অন্যতম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় বিচারপতি গৌর গোপাল সাহা। এছাড়া আমি দেখলাম প্রধান আলোচকবৃন্দের মধ্যে আছেন একজন বুদ্ধিদীপ্ত মহিলা যার নাম ডঃ মোঃ মারূফী খান। উনার পরিচয়- সন্মানিত অধ্যক্ষ, শহীদ নজরূল ইসলাম কলেজ, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। উনার বক্তব্যের শুরুতে জানতে পারলাম, উনাকে বক্তব্য দানের জন্য পৃথিবীর অনেক দেশে যেতে হয়, বিশেষ করে ভারতে বিভিন্ন হিন্দু সন্মেলনে অনেক বার গিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি গিয়েছিলেন ভারতের আসামে।

উনি একজন অন্যধর্মের হলেো উনাকে কেন-ই বা ডাকা হয় তার প্রমান গতকাল পেলাম। উনার প্রায় ৪৫ মিনিটের বক্তব্যে উপস্থিত সকলে যেন পিন-পতন নীরবতা নিয়ে উপভোগ করলেন। কি দারুন তার কথা, কি দারুন তাঁর যুক্তি খন্ডন। তিনি যেন হিন্দু-মুসলিম ধর্মকে এক করে দিলেন তার যুক্তি দিয়ে। তিনি বলেছেন ইসলাম ধর্মের কথা , সেখানে বলেছেন- বিবি আয়েশা, বিবি খাদিজা; তেমনি বলেছেন হিন্দু ধর্মের মা শ্রী শ্রী আনন্দময়ীর কথা, বলেছেন মা সারদা দেবীর কথা।

তিনি হজ্ব করে আসা তাঁর এক বন্ধুর কথা উল্লেখ করেছেন, তেমনি উল্লেখ করেছেন ভারতে তার বিভিন্ন হিন্দু তীর্থ স্থান ভ্রমনের কথা। তিনি যেন এক মহান ঞ্জানের ভান্ডার। আমরা জনাব জাকির নায়েকের কথা শুনতে যেমন পছন্দ করি, তেমনি গর্ব করি আমাদের এই মহান ব্যাক্তিটিকে নিয়ে আর তিনি হলেন আমার পরম শ্রদ্ধেয় ডঃ মারূফী খান। তার বক্ত্যবের কিছু সারাংশ উল্লেখ করলাম: তিনি বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে, "জীবনকে উপভোগ করো, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত নয়। " তিনি বলেন "ধর্ম কখনো মহান সৃষ্টকর্তাকে খন্ডিত করে না, অধর্ম মহান সৃষ্টকর্তাকে খন্ডিত করে" তিনি বলেছেন, আমাদের পাথরের বা মাটির মুর্তিকে পূজো করার কথা, আমরা কেনোই বা একে এত শ্রদ্ধা ভক্তি করি, তিনি এক্ষেত্রে বলে বুঝিয়েছেন বিশ্বাস এর কথা।

আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ্ বা ইশ্বর সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান। তাই আমরা বিশ্বাস করে পাথরের বা মাটির মুর্তিকে জীবন্ত মনে করে পূজো দেই। তাঁর এ কথাগুলো আমাদের ভাবিয়ে তোলে, মন-প‌্রাণ যেন ভক্তিতে ভরে যায়। মনে হচ্ছিল্ল তার কাছে গিয়ে তার শিষ্যত্য গ্রহন করি। জানিনা, আবার কবে তার কথা শোনার সৌভাগ্য হবে।

পরিশেষে, আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, প্রার্থনা করি তিনি দীর্ঘজীবি হউন, তিনি আমাদের মাঝে ঞ্জানের আলো ছড়িয়ে দিয়ে সারা জীবন বেঁচে থাকবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।