মাঝে মাঝে বৃষ্টি দেখে হাত বাড়ানোর ইচ্ছে জাগে... ভেতর ভেতর যাই পুড়ে যাই, কেউ জানেনা আমার আগে... ভোরের হিজল ছুঁয়ে নুপুরের রঙ, দুদ্দার আলো হয়
নেয়ে যায় কিশোরী শরীর। সেই আলো ঝড় তোলে, বান ডাকে
ভাঙে যত এলেবেলে বাঁধ।
বাঁধের ওপর ছিলো হিজলের বন, জারুলের মন
কেয়া আর কদমের অথই জীবন।
আরো ছিলো শেয়ালের দল, থাবার ভেতর নখ
রেশম লোমের কোলে হায়েনার চোখ। দাঁতে দাঁতে কেঁপে ওঠা
মাংসের ঘ্রাণ।
আরো ছিলো, মরে যাওয়া মনের প্রাণ।
একভোরে বরষার ডুবে যাওয়া জলে, এলোমেলো চুলে
সেই মেয়ে ডুবে যায়, ভেসে যায়, কদমের ফুলে।
সময়ের ভুলে।
ক্লান্তি ও কান্নার রাতে, আজো মেয়ে জাগে।
দেয়ালের চুন খসে, ঘুণ খসে, কাঠেদের দেহে
আবছায়া আলো বেয়ে, চুপ করে, বুকের ভেতর থেকে
নিশাচর পাকি ডাকে,- কে-হে?
জবাব কোথাও নেই, তুমি আমি, আমরা সবাই
ভীষণ জড়ায় ডুবি, ডুবে থাকি, রাতেদের রাতে
মরে যাই, মরে যাই বেঁচে থাকা প্রতিটি প্রভাতে
সেই মেয়ে, নাম নেই, ধাম নেই
চিঠি নেই, খাম নেই
তবু দেখো, সে-ই থাকে, আমাদের ঘরে
চেনা আর অচেনা প্রহরে।
কোথায় কেমন যেন, হুট করে, তুমি আমি ডুবে যাই,
সেই ভরা বরষার জলে
সেই কেয়া কদমের ভোর
হিজল আর জারুলে ঘোর
আজও মরে
জেগে ওঠে শেয়ালের ডাক, থাবার ভেতর নখ
সেই মেয়ে, জেগে থাকে, আর হাসে, আড়ালে আড়ালে
পাঁজরে পাঁজরে ঘুণ,
ঘুণপোকা খুট খুট, বুঁদ হয়ে রই।
সেই মেয়ে কই?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।