আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এতো দাপট পিসিএল কর্তাদের!



পোর্টসিটি ক্রিকেট লিগ (পিসিএল) আয়োজন করতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন অনুমোদনহীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন, কো-চেয়ারম্যান আলী আব্বাস ও সাধারণ-সম্পাদক সিরাজউদ্দিন মোঃ আলমগীররা। প্রধানমন্ত্রীর দফতর পর্যন্ত তোলপাড় হলেও শারজায় পিসিএল আয়োজন করতে গিয়ে অজ্ঞাত কারণে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখার উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না কারো মধ্যেই। আয়োজকদের জোরটা এতো বেশি যে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ পর্যন্ত মানেনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও স্থানীয় আবাহনীর সহসভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী শারজায় টুর্নামেন্ট আয়োজনের নামে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর ড. আতিউর রহমানের কাছে শারজায় পিসিএল আয়োজনের নামে হুন্ডি ও কালোবাজারির মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা পাচারের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পিসিএলের অনিয়ম সম্পর্কে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা জানেন।

জানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানও। কিন্তু তারপরও কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না! বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর বরাবর দেয়া দিদারুল আলম অভিযোগে বলেছেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) অনুমোদিত বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রথম আসরের আর্থিক হিসাব না দিয়েই দ্বিতীয় আসর করা হচ্ছে। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ কোটি টাকা তুলে ব্যক্তি মালিকানার পিসিএল ফাউন্ডেশনের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হয়েছে। শুরুতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ও.আর. নিজাম রোড শাখা থেকে টাকা তুলতেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন ও সাধারণ-সম্পাদক সিরাজউদ্দিন মোঃ আলমগীর যৌথ স্বাক্ষরে। বাজেট ৭ কোটি টাকা দেখানো হলেও খরচ হচ্ছে ১২ কোটি টাকা।

পুরোটাই হুন্ডি ও কালোবাজারিদের মাধ্যমে শারজায় পাঠানো হয়েছে টুর্নামেন্ট আয়োজনে। অথচ দুজনের কেউই জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর নন। অথচ টুর্নামেন্টের যৌথস্বত্ত্বাধিকারী চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা। কিন্তু তাদের অনুমোদন ছাড়াই ব্যক্তিমালিকায় ফাউন্ডেশন ঘোষণা করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করছেন আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন, আলী আব্বাস ও সিরাজউদ্দিন মোঃ আলমগীররা। দিদারুল আলম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতিকে জানালেও সেখান থেকেও কোন সরব সমালোচনা দেখা যায়নি।

কারণটা অবশ্য পিসিএল ফাউন্ডেশনের নামে আদম পাচার, চাঁদাবাজি, হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ পাচারের নেপথ্য নায়কদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাংসদ। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো কোন পদক্ষেপ না নিলেও অর্থ পাচারের বিষয়টি খতিয়ে রিপোর্ট দিতে ২৩ মার্চ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে। ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। বরং টুর্নামেন্টের শুরু দেখতে শারজা ঘুরে এসেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জাহিদ আহসান রাসেল! সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি আহম মোস্তফা কামাল পিসিএল নিয়ে মন্তব্য করায় ২২ মার্চ ট্রফি উন্মোচনের পর নাছির ও আলমগীর জানিয়ে দিয়েছেন, বিসিবি চাইলেই পিসিএল বন্ধ করতে পারবে না। তারা তাদের ক্রিকেটারদের খেলতে না দিলে আমরা অন্যদের নিয়ে করবো।

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা বিসিবি নয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের গঠনতন্ত্রে চলে। তাই বিসিবি ইচ্ছে করলেই বন্ধ করতে পারে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।