আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেদ কমানোর চিকিৎসা

আমি এক জন পথ ভ্রষ্ঠ মানুষ,,,,

বাড়তি মেদ বা মোটা হওয়ার সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুগে থাকি। মোটা বলতে আমরা বুঝি দেহে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেদ জমা। এক্ষেত্রে খাদ্যের চর্বিই মেদ জমার মূল কারণ। আবার মূল খাদ্য শর্করা, আমিষ ও চর্বির মধ্য থেকে ওই চর্বিই আমাদের দেহে প্রথম জমে এবং সর্বশেষে ভাঙে। কাজেই খাদ্যের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হওয়া খুবই প্রয়োজন।

আমাদের খাদ্য এমন হওয়া উচিত যেন তার তেকে আসা মোট ক্যালরির এক-তৃতীয়াংশের বেশি যেন কোনো অবস্থাতেই চর্বি তেকে না আসে। কাজেই চর্বি গ্রহণের ব্যাপারে আমাদের, বিশেষ করে যারা মোটার সমস্যায় ভোগেন তাদের সতর্ক হতেই হবে। আবার অনেকেই ভাবেন, মোটা হওয়ার আসলেই কি কোনো চিকিৎসা আছে? উত্তর একটিই, হ্যাঁ আছে। বাজারে এখন একটি নতুন ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে, যা অরলিস্টেট উপাদানে তৈরি। এটি চর্বি পরিপাক ও শোষণে বাধা দেয় এবং শুধু পরিপাকতন্ত্রেই সক্রিয়।

এটি মাংস নয়, বরং চর্বি কমিয়েই আপনার শরীরের ওজন কমাতে সক্ষম। এটি রক্তে উচ্চমাত্রার চর্বি ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে, যা আপনার মস্তিষ্কে কোনো প্রভাব ফেলে না। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্যও নিরাপদ। ওষুধটি খাওয়ার ফলে চর্বিজাতীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পদার্থে পরিণত হতে না পারার কারণে তা রক্তে শোষিত হতে পারে না। ফলে তা ক্ষুদ্রান্তেই তেকে যায় এবং তা পরে মলের সঙ্গে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।

যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কিংবা যারা অস্বাভাবিক মোটা, যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি তারা ওই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ ধরনের ওষুধ আপনি নিজে ব্যবহার করবেন না। কারণ অতি দ্রুত ওঝন হ্রাস বা বৃদ্ধি কোনোটিই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কাম্য নয়। আপনি অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করবেন। তবে মনে রাখবেন, এর পাশাপাশি দৈহিক শ্রম ও ব্যায়াম আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো সাহায্য করবে।

আপনি প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে যে চর্বি খাচ্ছেন, ওই ওষুধ এর এক-তৃতীয়াংশকে হজমে বাধা দেয়। এছাড়া রক্তের মোট কোলেস্টেরল ও এলডিএল কমায়। কোলেস্টেরল ছাড়াও রক্তের ট্রাইগ্লোসারাইড, ডায়াবেটিসও ওই ওষুদের সাহায্যে কমে থাকে। ওই ওষুধ ব্যবহার করতে হলে আপনি চিকিৎসককে নিয়ে একত্রে সিদ্ধান্ত নেবেন, আপনার ওজন কতটুকু কমাতে হবে। মনে রাখবেন, শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগ ওজন কমলেই অনেক রোগের ঝুঁকি কমে যায়।

ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও যে নেই, তা নয়। ওষুধ খেলে পায়ুপথে অতিরিক্ত বায়ু নির্গমণ হতে পারে। চর্বি মল ও তন্ত্রে পরিচলন বৃদ্ধি ঘটতে পারে। স্বাভাবিকভাবে আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন আসবে, ওই ওষুধ কত দ্রুত ওজন কমাতে সক্ষম।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।