বছর ঘুরে ফি বছর আসে মহান মে। মে দিবস এলেই বাংলাদেশের সংবাদপত্রে একটা শোরগোল পড়ে যায়। পড়াটাই স্বাভাবিক। গদ বাধা রিপোর্ট, কলাম। একই রুপ, গন্ধ আর রসে ভরা।
কিন্তু যাদের জন্য এই দিন। সেই মহান শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের বদল ঘটে কী?
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প। এই শিল্পে কাজ করেন লাখো নারী। যাদের রক্ত-ঘাম ঝড়ানো শ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ অর্জন করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। শিল্পমালিক ব্যবসায়িদের আরাম-আয়াস বাড়ে।
বাড়ে রাষ্ট্র নায়ক-পরিচালকদের ঠাটবাট। কিন্তু যে তিমিরে শুরু সেই তিমিরেই রয়ে যায় শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট আর হাহাকার।
মাত্র তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকার মাসিক বেতন বা মজুরি। আজকের দুর্মূল্যের বাজারে কী হয় এই সামান্য ক'টা টাকায়? ভুক্তগোগী ছাড়া কারও সাধ্য নেই এই অভাবনীয় জালা যন্ত্রণার বর্ণন করা।
আমাদের অনেক এনজিও প্রধান মানব-মানবী আছেন।
যাদের কথা ও লেখায় যেন মানবতার সুবাতাস ঝড়ে সর্বক্ষণ। কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টো ছবিটা দেখা যায় সমাজের সর্বত্র। নামী-দামী নারী নেত্রী বা এনজিও নেতার ঘরের কাজের বোনটি বা মা'টির কি নিদারুণ কষ্ট? তা কি ভাবে এই সমাজ-রাষ্ট্র? কিংবা মহান মে দিবসের আলোচনায় যা স্থান পায় বাস্তবে কী আমরা সেটা দেখতে পাই?
এক বিরাট বৈষম্যপূর্ণ একটা সমাজ-রাষ্ট্র বা বিশ্ব। কী করে সমাজ-রাষ্ট্র ও বিশ্ব পরিসরে একটা সুন্দর বৈষম্যহীন ব্যবস্থা চালু করা যায়? এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে? আমরা যারা সাধারণ মানুষ তাদের পক্ষে এই উত্তর দেয়াটা খুব দুরুহ।
http://youtube.com/user/jaakashbd
http://jaakash.wordpress.com/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।