আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার বসে বসে খাওয়ার দিন ফুরালো



গত চার বছর ধরে শিক্ষা ছুটিতে ছিলাম। সরকারী চাকরীতে এটাকে ডেপুটেশন বলে। যার মানে হল অফিস করা লাগবে না, তবে ঐ সময়টা চাকরী করেছি বলে ধরে নেয়া হবে.......হেন তেন। মূল কথা হল ৯টা ৫টা অফিস না করেও মাস গেলে বেতন পাওয়া যাবে। তবে নয়টা পাঁচটা অফিস না করেও মাঠে মাঠে কাজ করতে হয়েছে.........সে অভিজ্ঞতা বিচিত্র, ভাল-মন্দ-আনন্দ-বেদনা মেলানো।

। আমার যে সব বন্ধুরা বেসরকারী চাকরী করে, তারা হিংসায় মরে যেত..........আমার আরাম দেখে। আমি আগুনে আরেকটু ঘি ঢালতাম, হিহি করে হাসতাম আর বলতাম চাকরী ছাড়া বেতন পাই। শুধু বলতো এত সুখ দেখলে রাগে মরে যাই। কাজের কাজ একটা হয়েছে, জাফনার শৈশবকাল টা মা ছাড়া থাকতে হয় নাই এবং গ্রাম শহর মেলানো একটা পরিবেশে সে বেড়ে উঠতে পেরেছে।

যদি বা ছুটি শেষ হয়ে যাচ্ছে, কাজের কাজটা এখনো শেষ হয় নাই। আইলসা মানুষদের যা হয় আরকি। এই ছুটি কালীন সময়টাতেই নেটে লিটারেচার ঘাটতে ঘাটতে ব্লগের জালে ঢুকে পড়া এবং বলা বাহুল্য অনেক ভাল সময় কাটানো, অনেক ভাল প্রাপ্তির পরও.. যেটা খারাপ তা হল.... অনেক মূল্যবান সময় এর পেছনে চলে গেছে........স্রোতে মতন। তাই আসল কাজটা এখনো শেষ হয়নি। সেজন্যই খরগোশ দৌড় চলছে।

কাল থেকে আবার নটা পাঁচটা অফিস। বড়ই কষ্টের কাজ। প্রথম প্রথম যখন চাকরীতে ঢুকি বড় কষ্ট লাগতো। সব সময় অফিসে কাজের চাপ সমান থাকে না। কাজ না থেকেও একটা নির্দিষ্ট সময় অফিসে থাকতে কেন হবে এটা বুঝতে অনেক সময় লেগেছিল........আসলে এখনো বুঝি না.....মানে মানতে সময় লেগেছিল।

এজন্য অনেক ঝাড়িও খেয়েছি। ছাত্রজীবন আর কর্মজীবন যে কত আলাদা..........ফারহানের পোস্টগুলো দেখলে সেইদিনগুলোর কথা মনে পড়তো। গত একমাস থেকে মানসিক প্রস্তুতি চলছে, আবার নিয়মমাফিক জীবন যাপনের........নিজের এবং কন্যার। তাকে বারবার বলা হচ্ছে........ মা বাড়ী না থাকলে কি কি করতে হবে. কি কি করা যাবে এবং যাবে না। জানা কথা সে কোনটাই শুনবে না।

দু'জনেরই একটা নতুন লাইফস্টাইল শুরু হবে। জাফনা যে কি করবে কে জানে! আমি বাড়ীতে যেমন হম্বি তম্বি করি অফিসেও তাই। মাঝে মাঝে ভাবি অনেক ভাগ্য আসলে আমার। অফিসে গেল সপ্তাহে যেয়ে হৈচে লাগালাম.........চার বছরে চার ইঞ্চিধুলো পড়েছে টেবিল চেয়ার সেলফ গুলোতে। আমার স্টাফরা বলল..... আপনি আসার আগেই ওগুলো ধুয়ে মুছে ঝকঝকে করে দেব।

তাই করেছে তারা। আমাদের অফিসে আমাদের গ্রুপটা একটা মিনি পরিবারের মতন। কাজে কাজেই ব্লগিং টাও কমে যাবে আনুপাতিক হারে। অফিসের যা নেট! আর মূল কাজটা নিয়েও এখন অনেক ব্যস্ততা। সবার প্রতি রইল শুভকামনা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।