আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। মনে হয় না এর থেকে বেশী কিছু চাওয়ার আছে।
রহস্যময় জিনিষের প্রতি সবারই কিছু না কিছু আগ্রহ আছে। পৃথিবীতে রহস্য বলতে বা ব্যাখ্যা এর অতীত কিছুই নেই, মুখে সবাই একথা বললেও রহস্যময় কিছু নিয়ে আলাপ শুরু করে দেখুন, দেখবেন সবাই সেই আলাপে যোগ দিয়েছে। পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন পৃথিবীতে রহস্য থাকবে।
আমাদের চারিপাশে এমন অনেক ঘটনা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে কিন্তু আমরা এর রহস্য উদঘাটন করতে পারছি না। আমি এখানে আমার শোনা কিছু ঘটনা তুলে ধরলাম............................
১. শোনা যায় লালবাগ কেল্লায় মাটির নিচে সুরঙ্গ চলে গেছে। এই সুরঙ্গ পথ কোথায় শেষ হয়েছে বর্তমানে কেউ তা বলতে পারে না। এই রহস্য উদঘাটনে অনেকবারই নাকি অনেকে সুরঙ্গ দিয়ে নেমেছেন কিন্তু আর ফিরে আসেন নি। আবশেষে পরীক্ষা করার জন্য নাকি দড়ি দিয়ে বেঁধে মানুষ এবং শিকল দিয়ে বেঁধে ঘোড়া পাঠানো হয়েছে ঘন্টার পার ঘন্টা ফিরে না আসায় দড়ি এবং শিকল টেনে এনে নাকি দেখা গেছে শুধু হাড়-গোড়।
তারপর থেকে নাকি এই সুরঙ্গ পথের দরজা সিল-গালা করে দেয়া হয়েছে। রহস্য উদঘাটন হয়নি।
২. এই ঘটনাটি আমার নিজের ফুফুর গ্রামের বাড়িতে এবং নিজে এর চাক্ষুস সাক্ষী। ঘটনাগুলো আজ থেকে প্রায় ৫বছর আগের ঘটনা। আমার ফুফুর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে।
আমি একবার বেড়াতে গেলাম। সেই গ্রামের সকল মানুষ তখন সন্ধ্যা হবার আগেই যে যার বাসাই চলে যেত। কারণটা টের পেলাম রাতে। গ্রামের প্রায় সব বাসার চালে প্রচন্ডভাবে ঢিল মারা শুরু হলো এবং সেই সাথে প্রচন্ড জোরে মেয়ে মানুষের গলায় কান্নার শব্দ। সেই সময়ে প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা ছিলো এটি।
গ্রামের প্রায় ২০০০ জন মানুষসহ আমি নিজে এই ঘটনার সাক্ষী।
৩. এই ঘটনাটি আমি আমার পুরনো ঢাকার এক বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছিলাম। আমরা সবাই বাহাদুর শাহ্ পার্ক এর নাম শুনেছি। এও জানি যে সেখানে সিপাহী বিদ্রোহ অংশগ্রহনকারী সকল সিপাহীদের ফাসিঁ দেয়া হয়েছিলো। এরপর থেকেই নাকি রাতের বেলা বাহাদুর শাহ্ পার্ক এ রাতের বেলা মৃত সিপাহীদের আত্মা দেখা যায়।
বাংলাবাজার এলাকার পুরনো বই ব্যাবসায়ী বা সেখানকার বয়স্ক লোকদের জিজ্ঞাসা করলে, তারাও এর সত্যতা স্বীকার করবে।
ব্লগার বন্ধুরাও আমাদের দেশের অনেক ব্যাখ্যাতীত ঘটনা সম্পর্কে জানেন। চলুন না আমরা সবাই নিজেদের জানা বাংলাদেশের রহস্যময় ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা করি।
ভালো থাকবেন। আপনার কোন মতামত থাকলে জানাবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।