প্রতি বছর মে দিবস আসে। নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিবসটি উদযাপন করা হয়ে থাকে। আলোচনা, সভা, মিছিল মিটিং এ সরগরম থাকে দিনটি। কিন্তু যে কারনে এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে তা কি বাস্তবে প্রতিফলিত হয়? শ্রমিকরা কি তাদের নূন্যতম মুজরি পায়? মাস শেষে নির্ধারিত তারিখে শ্রমিকেরা তাদের বেতন ভাতা পায়? এমনকি ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ পায়? আজও এদেশে নূন্যতম বেতন ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ হয়। কিন্তু মালিক পক্ষ তাদের দাবির প্রতি কোন কর্ণপাত করে না।
অধিক জনসংখ্যা আর দারিদ্রতাকে পুঁজি করে এদেশের মালিক পক্ষ দিন দিন টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে। অথচ শ্রমিকেরা তাদের কাজের নূন্যতম মুজুরি ঠিকমত পাচ্ছে কিনা সেদিকে তাদের কোন দৃষ্টি নেই। দৈনিক আট ঘন্টা কাজ করার বিষয়টি কি আজও নিশ্চিত হয়েছে? শ্রমিকদের চাকুরির নিশ্চয়তা নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা খেঁটে যাচ্ছে শ্রমিকেরা কিন্তু আট ঘন্টা আর পূরণ হচ্ছে না। তাই স্বাভাবিকভাবে মনে প্রশ্ন জাগে কত ঘন্টা সমান আট ঘন্টা?
বিগত কয়েকদিন ধরে পোশাক শিল্প কারখানার শ্রমিকেরা তাদের নূন্যতম মুজুরির দাবিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
ভাংচুর সহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এই ক্ষয়ক্ষতি কারো একার নয়। এই ক্ষতি দেশের। কোন একটি জাতি বা গোষ্ঠি যখন পিছু হটতে হটতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে প্রতিবাদী হয়ে উঠে। যেমনটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে আমাদের পোশাক শিল্প কারখানার শ্রমিকদের ক্ষেত্রে।
আমাদের মাঝে যদি নৈতিকতার কোন পরিবর্তন না আসে তবে বিশেষ বিশেষ দিবস পালন করে কি হবে?
শ্রমিকদের প্রাপ্য শ্রমের মর্যাদা যদি আমরা দিতে না পারি তবে দিবস পালন করে কি হবে। বরং প্রতি মাসের এক তারিখে যারা বেতন ভাতা পান তাদের জন্য একটু ভোগান্তি হবে যে মে মাসের এক তারিখ বন্ধ থাকার কারনে তারা তাদের বেতন ভাতা এর পরের দিন পাবেন। তবে এই ভোগান্তির যদি একটি ভাল ফল পাওয়া যেত তবে মেনে নিতে কোন অসুবিধা ছিল না। কিন্তু বাস্তবে লক্ষ্য করা যায় যে দিবস পালিত হয় অথচ শ্রমিকদের দৈনিক আট ঘন্টা কাজের নিশ্চয়তাটুকু হয় না। ঘন্টার পর ঘন্টা শ্রমিকেরা খেঁটে যান অথচ আট ঘন্টা আর পূরণ হয় না।
মে দিবসের মধ্য দিয়ে সকলের নূন্যতম মুজুরি এবং যে কারনে মে দিবস পালিত হয় তা বাস্তবায়ন হোক এটাই প্রত্যাশা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।