আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘উপজেলার মালিক আমি, না তুই?’(কপি-পেষ্ট প্রথম আলো থেকে)



‘উপজেলার মালিক আমি, না তুই?’ দিনাজপুরের বিরল উপজেলার চেয়ারম্যান মো. মোকাররম হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে গিয়ে ইউএনও এ কে এম আজাদুর রহমানের সঙ্গে এভাবেই কথা বলে তাঁর কক্ষে ভাঙচুর চালিয়েছেন। ইউএনও চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দেওয়ায় তিনি অপমানিত বোধ করে এমন আচরণ করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিরলের বাসিন্দা দিনাজপুরের এক কলেজছাত্র জানান, বাবার চিকিত্সার জন্য সাহায্যের আবেদন নিয়ে তিনি ঘটনার সময় ইউএনওর কক্ষে বসা ছিলেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত অবস্থায় ইউএনওর কক্ষে ঢোকেন এবং ইউএনও আজাদুর রহমানের দিকে একটি কাগজ ছুড়ে মারেন। তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘উপজেলার মালিক আমি, না তুই? আমার কথায় উপজেলা চলবে, না তোর কথায় চলবে?’ তিনি ইউএনওকে বকাঝকা করেন।

একপর্যায়ে পেপারওয়েট দিয়ে ইউএনওর টেবিলের কাচ ভেঙে ফেলেন। টেবিলের ওপরে থাকা একটি ল্যাপটপ মেঝেতে ছুড়ে মেরে ভেঙে ফেলেন এবং টেবিলের সামনের চেয়ারগুলো উল্টে ফেলেন। এ সময় ইউএনও চেয়ারম্যানকে জানান, উপজেলা পরিচালনার বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন। তিনি উপজেলার চেয়ারম্যানকেও সে অনুযায়ী কাজ করতে বলেন। এতে চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কথায় নয়, আমার কথায় বিরল উপজেলা চলবে।

’ এরপর তিনি ইউএনওর কক্ষে টাঙানো প্রধানমন্ত্রীর ছবি লক্ষ্য করে একটি পেপারওয়েট ছোড়েন। এতে প্রধানমন্ত্রীর বাঁধানো ছবিটি দেয়াল থেকে মেঝেতে পড়ে এর কাঠামো ভেঙে যায়। এ ঘটনার পর উপজেলা চেয়ারম্যান ইউএনওর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। এ ব্যাপারে ইউএনও এ কে এম আজাদুর রহমান বলেন, তাঁর ব্যবহূত গাড়িটি কয়েক মাস ধরে অকেজো হয়ে আছে। সম্প্রতি তাঁর (ইউএনও) জন্য নতুন গাড়ি এসেছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান পুরোনো গাড়িটি চেয়েছেন। তিনি লিখিতভাবে গাড়িটি নেওয়ার জন্য উপজেলার চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দেন। এতে উপজেলার চেয়ারম্যান অপমানিত বোধ করে ওই ঘটনা ঘটান। এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানান ইউএনও। উপজেলার চেয়ারম্যান মো. মোকাররম হোসেন ইউএনওকে লাঞ্ছিত করার কথা স্বীকার করলেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করেন।

মোকাররম হোসেন বলেন, ইউএনওর নতুন গাড়ি এসেছে। পুরোনো গাড়িটি বারবার চাওয়ার পরও তিনি তা দিতে টালবাহানা করছেন। শেষ পর্যন্ত চিঠি দিয়ে তিনি গাড়ি নিতে বলায় তিনি এটিকে ইউএনওর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ হিসেবে গণ্য করে তাঁকে বকাঝকা করেছেন। এর বেশি কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন। এদিকে বিরল উপজেলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত উপজেলার সব কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইউপি চেয়ারম্যানেরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন শুরু করেছেন।

মূল পত্রিকা এখানে.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।