আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১টি হারানো বিজ্ঞপ্তি

মুহসিন আব্দুল্লাহ

১টি হারানো বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশের সুশীল সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো হারানো গিয়েছে। ১. দেশে র‌্যাব /পুলিশ, ক্রসফায়ারের নতুন সংস্করণ ‘গুপ্তহত্যা’ শুরু করেছে, কিন্তু ওনাদের কোনো টু শব্দও নাই। ২. ভোলাতে বি এন পি নেত্রীকে ধর্ষণ করেছে এক যুবলীগ নেতা। অথচ ওনারা দেখেন নাই। কারণ ওনারা ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী’র তালিকা করতে ব্যস্ত।

৩. ভোলার নির্বাচন (আসলে ফাইজলামি !!) অত্যন্ত অবাধ , সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ হয়েছে-এটা বলতে না পারায় তারা ‘বোবার কোনো শত্র“ নাই’ নীতি অবলম্বন করছেন । ৪. পুলিশ ‘গৌতম’ কে সন্ত্রাসীরা গুলি করে মারলো আর মাননীয় সাহারা খাতুন বললেন-আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে আছে। সম্ভবত তার এই সুমধুর সান্তনাবাণী তাদের সব টেনশন দূর করে দিয়েছে। ৫. ছুতা একটা বের করে সরকার চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে দিল । এটা মনে হয় তাদের খুব ভালো লেগেছে ।

তাই তারা চুপ । তবে মনে মনে বলেন one more…………one more…………!!!!(এনটিভি/দিগন্ত টিভি)। কিন্তু ইটিভি বন্ধের সময় হাইকোর্টের দেয়া রায়ও তাদের পছন্দ হয়নি। ৬. আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা মামলা দিলে তাদের খুব ভালো লাগে। তাই তারা বাসায় বসে টিভি দেখেন ।

আর প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে একটা ধাওয়া দিয়ে দেখেন ! সব রাস্তায় নেমে বলবে : দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরন করেছে ইসলামী জঙ্গীরা । ৭. পহেলা বৈশাখে ঢাবিতে ছাত্রলীগ নেতাদের আয়োজিত কনসার্টে শুধু নাচানাচিতে মন না ভরাতে ছেলেরা যখন মেয়েদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে, তখন তাদের এই আধুনিকতা খুব ভালো লাগে । তাই তারা মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন । ৮. রাবিতে শিবিরের সাথে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ফারুক মারা যাওয়ার পর তারা জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারকে হাজার টা উপদেশ দিয়েছিলেন । তার কয়েকদিন পরেই যখন যুবলীগ ছাত্রলীগ সংঘর্ষে ছাত্রলীগের আরেক ফারুক মারা গেল, তখন যুবলীগকে নিষিদ্ধ করতে তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না ! ৯. ইডেন কলেজে ছাত্রীদেরকে দিয়ে জোর করে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে ছাত্রলীগ।

আর নারীনেত্রীরা এসময় কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন ! তবে কোন সহৃদয় বা হৃদয়হীণ ব্যক্তি তাদের খোঁজ করার দরকার নেই । কারণ ??? আমাদের হোস্টেলের পাশের পাহাড়গুলোতে অনেকগুলো শিয়াল আছে । আপনি যদি দিনের বেলায় তাদেরকে খোঁজেন , তখন পাবেন না। কারণ, তারা তখন গর্তে লুকিয়ে থাকে । রাতের বেলায় ওদের একজন বেরিয়ে যখন হুক্কা হুয়া বলে ডাক দেয় , তখন সবগুলো বের হয়ে হুয়া হুয়া করতে থাকে ।

অনেক সময় ওদের চিৎকারে ঘুমানো মুশকিল হয়ে যায় । তেমনি সময়মত ওনারাও মাঠে নেমে চিৎকার শুরু করে দেবেন। তাই তাদের খোঁজ করার দরকার নেই । সময় কখন হবে???? যখন তাদের প্রিয় বাকশাল সরকার মতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।