আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রতিদান-৮

তুমি যদি কাউকে তোমার আপন করতে চাও, তাহলে প্রথমে তুমি নিজে তার আপন হয়ে যায়। দেখবে একসময় সে নিজেও তোমার আপন হয়ে গেছে
(আগের পর্বের পর থেকে) আরোহীকে বললাম,“ আমার বাবা-মা যদি এখন আমাকে বিয়ের কথা বলে, তাহলে আমি তাদের একটা কথাই বলবো। ” “কি কথা?” জানতে চাইলো আরোহী। “ পৃথিবীর কোন মেয়েই বিয়ে করবে না আমাকে। এমনকি কোন মেয়ের বাবা-মায়েরাও চাইবে না যে, তাদের মেয়ের জীবনটা নষ্ট হোক আমার কারণে।

” “ তার মানে?” জিজ্ঞেস করলো আরোহী। “ আমি বলবো, “ আমার এইডস হয়েছে, যার কোন চিকিৎসা নেই। ” “তুমি মিথ্যে বলবে?” “হ্যা, প্রয়োজনে তা-ই করবো। ” “ এ কথা বললে কিন্তু তুমি তোমার এলাকায় থাকতে পারবে না। ” বলে আরোহী আমাকে সর্তক করে দিলো।

আমি বললাম, “জানি। ” “তারপরও....তুমি নিজের এত বড় ক্ষতি করবে?” ‍"হ্যা" “কিন্তু কেন?” “শুধু তোমাকে বাচানোর জন্য। কারণ, আমি এখন তোমাকে ভালবাসতে শুরু করেছি। ” “ আচ্ছা, তুমিও কি তা করবে, জয় যা করেছে আমার সাথে?” “ না আরোহী, আমি তা কখনো করবো না । আমি শুধু ভালবাসা দেবো তোমাকে।

কোন কষ্ট দেবো না তোমাকে কখনো । ” “তাই। ” পরদিনের ঘটনা আরোহী বললো,“আচ্ছা আরমান, মনে করো, তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। আর আমি তখন তোমাদের বাড়িতে। (আর তখন) হঠাৎ একদিন জয় এসে আমাকে বললো,“ আরোহী, আমার ভুল হয়ে গেছে (তখন), আমাকে মাফ করে দাও এখন।

(তুমি) চল এখন আমার ঘরে। ” আচ্ছা আরমান, তোমাকে এখন একটা প্রশ্ন করি আমি?” আমি বললাম,“ করো?” “ জয়ের এসব কথা শোনে তুমি কি করবে তখন? (তুমি কি তখন) আমাকে যেতে দেবে তার সাথে?” “না, আমার জীবন থাকতেও আমি যেতে দেবো না তোমাকে?” “(আর) আমি নিজেই যদি যেতে চাই? তারপরও কি তুমি যেতে দেবে না আমাকে?” “না। ” “কেন?” “কারণ, আমি সহ্য করতে পারবো না তোমাকে হারানোর ব্যথা। ” আমার কথা শোনে আরোহী অবাক হয়ে বললো,“ তুমি এতো ভালবাসো আমাকে?” “অবশ্যই,” আমি বললাম,“শোন আরোহী, আমি তোমাকে যেতে না দিলেও তুমি ঠিকই যেতে পারবে ওর (জয়ের) কাছে। ” “কিভাবে?” জানতে চাইলো আরোহী।

আমি বুদ্ধি দিলাম তাকে,“ তোমাকে তালাক দেওয়া কখনো সম্ভব নয় আমার পক্ষে। ” “ তুমি তালাক না দিলে আমি কিভাবে যাবো ওর কাছে?” “কেন? তুমি কি তালাক দিতে পারবে না আমাকে?” “ হ্যা, তা অবশ্য পারবো। কিন্তু তালাক তো আর এমনি এমনি হবে না। এর জন্য তো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে তোমার বিরুদ্ধে। ” “এ নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না তোমাকে।

তুমি শুধু আদালতে বলবে যে, আরমান পুরুষত্বহীন। কোনদিন সন্তানের বাবা হতে পারবে না। ” আরোহী আবারো অবাক হয়ে বলে,“ আরমান, এসব কি বলছো তুমি? তোমার মাথা ঠিক আছে তো?” “ হ্যা, ঠিক আছে। ” জবাব দিলাম আমি। “আমার জন্য তুমি কেন নিজের এতো বড়ো ক্ষতি করবে? তুমি কি জানো আমার এই একটা কথায় ধ্বংশ হয়ে যাবে তোমার জীবনটা?” “ জানি, আমি সবই জানি।

তোমার এই একটা কথায় কি হবে আমার পরিণতিটা?” “ তারপরও তুমি কেন আমাকে এমন বুদ্ধি দিচ্ছো?” “কারণ, আমি তোমার মুখে হাসি দেখতে চাই। ” “ঠিক আছে। এখন বাদ দাও এসব কথা। যখন সময় হবে, তখন দেখা যাবে। কারণ, তখন আমার পাশে শুধু আমার প্রেমিক(জয়) থাকবে না, স্বামীও (আরমান) থাকবে।

আমাকে তখন শুধু প্রেমিকের কথা ভাবলে চলবে না, স্বামীর কথাও ভাবতে হবে। ” “তোমার স্বামীর কথা না ভাবলেও চলবে। ” আমি বললাম। আরোহী বললো,“জ্বী না। আমি যদি তখন তাকে ছেড়ে চলে যাই, তখন তার জীবনটাও যে, ধ্বংশ হয়ে যাবে।

” “তাই। ” (চলবে)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।