আমি সর্বসান্ত বড় ক্লান্ত আমার পথের তবুও নেই কোন শেষ; এ পথ ঘুরে ও পথে_ আমার অস্তিত্বের ছদ্দবেশ। বয়ে চলা নদীর মতই আমার আবেশ.. খুঁজি তোমায় সেই ক্ষিণ আলোর মাঝে, রংধনু বাঁকে ঘেরা এক সাঁঝে, আমার প্রার্থনায়। । অধরা সেই সুখের অন্বেষণে...
bijoyekushe.net এ দেখলাম, জনকন্ঠ-র জন্য মি. মুস্তফা জব্বার একটা আর্টিকল লিখেছেন। পড়ে দেখতে পারেন।
কিছু অংশ শেয়ার করলাম:
"অভ্র নামক একটি বাংলা সফটওয়্যার এখনকার দিনের অনেকেই ব্যবহার করেন। ধারণা করা হয়, প্রধানত কম বয়সি মানুষেরা ইন্টারনেটে ইউনিকোড পদ্ধতিতে লেখার জন্য এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকেন। যিনি এই সফটওয়্যারটি উদ্ভাবন করেছেন তিনি দাবী করেন যে, এটি একটি ওপেনসোর্স সফটওয়্যার। তবে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক একে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার মনে করেনা (ওমর শিহাবের ব্লগ দেখুন) অভ্র বাজারজাতের অর্থ হচ্ছে, এটি বিণামূল্যে বিতরণ করা হয় এবং এটি ব্যবহার করার জন্য উদ্ভাবনকারীর কাছ থেকে কোন লাইসেন্স কেনার প্রয়োজন নেই। আমি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
আমি নিজেও বাংলা সফটওয়্যার তৈরী করেছি। কিন্তু নিজের পেট চলা ও যারা এই সফটওয়্যার বানাতে আমার অধীনে চাকুরী করে তাদের বেতন দেওয়াসহ অন্যান্য খরচের জন্য আমি বিণামূল্যে এই সফটওয়্যার দিতে পারিনা। ১৯৮৭-৮৮ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত মেকিন্টোস কম্পিউটারে এটি আমি বিণামূল্যে প্রদান করতাম। সাথে দুজনের প্রশিক্ষণও বিণামূল্যে দিতাম। তখন কম্পিউটারের কার্ডওয়্যার বিক্রি করে এর উন্নয়নের ব্যয় বহন করতাম।
কিন্তু পরে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা ছেড়ে দেবার পর আমি বিজয়-এর লাইসেন্স বিক্রি করি। এটি নিশ্চয়ই আমার অক্ষমতা। অভ্র তৈরী করে মেহেদী সাহেব অবশ্যই একটি ভালো কাজ করেছেন এবং নিশ্চয়ই জনগণ তাতে উপকৃত হচ্ছে। আমি তাকে পূজনীয় দেবতা মনে করি। এমন মানুষ কয়জন দুনিয়াতে আাছে, যিনি নিজের শ্রমকে অন্যের জন্য দিতে পারেন! আমি হতভাগাও যদি খাওয়া পরার নিশ্চয়তা পেতাম-ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ, মায়ের চিকিৎসার টাকা, সন্তানের পড়ার খরচ, বৌ-এর ইনজেকশনের টাকা বা নিজেদের ইনসুলিন কেনার অর্থ পেতাম কিংবা রাষ্ট্র বা সমাজ যদি আমার নিরাপত্তা দিতে পারতো তবে নিজের শ্রমটাও এভাবেই দিতে পারতাম।
অন্য কোন চাকরী বাকরী বা ব্যবসা করতে পারলে নিজের মেধাটা ওভাবে কাজে লাগাতে পারতাম। কিন্তু সেটি হবার নয়। হয়নি। সবার দ্বারা সবকিছু হয়না। আমার দ্বারাও এখন আর বিণামূল্যে সফটওয়্যার দেয়া হয়তো হবেনা।
তাই আমি কোনভাবেই চাইনা যে, মেহদি সাহেবরা তাদের এমন নিঃস্বার্থ কাজ থেকে বিরত থাকুন। কিন্তু আমার অনুরোধটি হচ্ছে- এমন একটি ভালো কাজের মাঝে পাইরেসির বিষয়টা যুক্ত না করলে কি হয়? অভ্র নামক বাংলা লেখার সফটওয়্যারটিতে বিজয় কীবোর্ডকে আমার অনুমিত ব্যতীত ইউনিবিজয় নামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মেহেদি সাহেব লিখেছেন যে, তিনি বিজয় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমার কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন এবং আমি টাকা চেয়েছি। এটি একদম সত্য কথা। আমি টাকা কামাই করার জন্যই বিজয় আবিষ্কার করেছি।
আমার মাঝে কোন মহত্ত্ব নেই। আমি দেবতা হতে চাইনি। আমি জানি সেটি আমি হতে পারবোনা। আমি একজন সফটওয়্যার ব্যবসায়ী এবং সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশের জন্য আমি নিজে প্রানপন চেষ্টা করি। যতো বেশি দামে পারি সেই দাম দিয়ে সফটওয়্যার বেচার চেষ্টা করি।
সরকার এই ব্যবসাকে উৎসাহিত করার জন্য অনেক প্রনোদনাসহ কর অবকাশ দিয়েছে। আমি সেই সুযোগও গ্রহণ করি। বিণামূল্যে কোন সফটওয়্যার বা সেবা দেয়া হবে সেটি আমি কখনও ভাবিনা। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আমি তেমন কাজ করার কথা স্বপ্নেও দেখিনা। যদি তাই করতাম তবে কপিরাইট বা প্যাটেন্ট করতাম না।
কিন্তু মেহেদি সাহেব আমার অনুমতি না পেয়ে যে কাজটি করেছেন সেটি আমার পছন্দ হয়নি। মেহেদী হাসান খানের মতে, বিজয় থেকে ইউনিবিজয় করার সময় তিনি এতে ৮টি পরিবর্তন করেছেন। আমিও সেই পরিবর্তনগুলো দেখেছি। কিন্তু তাতেও আমার মেধাস্বত্ত্বের লঙ্ঘন হয়েছে। কারণ মূল কীবোর্ডে কোন পরিবর্তন নেই।
তাছাড়া এর ফলে আমার প্যাটেন্ট অধিকারও লঙ্ঘন করা হয়েছে। অভ্র সফটওয়্যারের অন্য কোন বিষয় বা প্রেক্ষিত নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।