যখন আমি লিখছি
পৃথিবীর মানুষ গুলো আমাকে খারাপ ভাবুক আর নাই ভাবুক আমি আমার চিত্ত্বের গান গেয়ে যাবো। গেয়ে যাবো সে গান যে গান মানুষের , যে গান সমাজের , যে গান দেশের এবং দশের। জানিনা নগ্নতা আজ কিভাবে শৈল্পিকতায় রুপ নিল , আর কিভাবে তা সভ্যতার আবরণ হিসেবে সভ্য মানুষ গুলোর কাছে আপন সংস্কৃতিতে পরিণত হল । সংস্কৃতি প্রত্যেক জাতির একান্ত জাতীয় ব্যাপার যা আমাদের বুঝতে শেখায় আমরা কে বা কারা । আর তাই এই সংস্কৃতির ভিত্তিতে পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্র জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করেছে ।
এশিয়া , আফরিকা , ও ল্যাটিন আমেরিকার অধিকাংশ দেশ তাদের জাতীয় স্বাতন্ত্র্যবোধ থেকে আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করেছে। আজ আমাদের সন্তারেরা পশ্চিমা সংস্কৃতিকে আপন সংস্কৃতি হিসেবে গ্রহন করে , নগ্ন সভ্যতার দ্বার উন্মুক্ত করে , জীবনের এই মূল্যবান কৃষ্টিকে পশ্চিমা সংস্কৃতির মাঝে বিলিয়ে দিয়ে শুধু সমাজকে নয় , বরং আগামি দিনের আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম অবোধ শিশুদের মনে জাগিয়ে তুলছে নগ্ন সভ্যতার রং তুলি দিয়ে আঁকা দেয়াল ও খাম্বায় টাঙান পশ্চিমা সভ্যতার অশ্লীল পোষ্টার গুলো। যা তারা স্কুলে যাবার পথে দেখছে এবং মনের মধ্যে লালন করছে অনেক অজানা অব্যক্ত প্রশ্ন। আর এই অজানা , অব্যক্ত প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে এই অবোধ শিশু গুলো নানা অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়ছে এবং স্বাভাবিক জীবন থেকে তারা ছিটকে পড়ছে যার দায়ভার আমাদেরই। প্রকৃত পক্ষে আমরা নিজেদের নিয়ে এত ব্যস্ত যে আমাদের পরিবারের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুোলো সমাজে চলার গতির ভিরে আপনি হারিয়ে যাচ্ছে।
কখনো কখনো এমন হয় যে, এই শিশু গুলো পরিবারের বড়দের কাছে এসব বিষয়ে মনের অজান্তেই প্রশ্ন করে বসে। অনেকে হতভম্ব হয়ে এগুলোকে এড়িয়ে যান আবার অনেকে উত্তর দেবার পরিবর্তে ছোট্ট্ শিশুদেরকে শারিরীক মানুষিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। আর এভাবেই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম সুস্থ সামাজিকীকরণ থেকে অসুস্থ সমাজ ,পরিবার, ও দেশে হিনমনতা নিয়ে বেড়ে উঠছে। জাতির সুপ্ত বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন ,তাদের প্রশ্ন কি অবান্তর ছিল ,নাকি এটা ছিল সংস্কৃত মোনা কর্ণধারদের ভুল ? আবার আমাদের মাঝ বয়সি প্রজন্মের কাছে যখন আপন সংস্কৃতি থেকে আজকের সমাজের বিরুপ প্রভাব নিয়ে আমরা এগুলোকে খারাপ বলছি ,তখন মুখে বুলি ফোটা ছেলেমেয়ে গুলো সমশ্বরে বলে উঠছে , আমরা বড় হয়েছি, আমাদের বাক স্বাধীনতা আছে , এটা তোমরা হরণ করছ। এক্ষেত্রে তাহলে কি আমরা এই উলঙ্গ সভ্যতাকে খারাপ বলতে পারব না , নাকি এটা আমাদের অজ্ঞতা।
আজ সংস্কৃতির নামে আমাদের সমাজে যে বেলেল্লাপনা , বিনোদনের নামে চরিত্ত্র বিসর্জন ,স্কুল , কলেজ, কিংবা ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে কিংবা মেয়ে স্কুল,কলেজ,ভার্সিটির নাম করে বাসা থেকে বের হয়ে বাংলাদেশের বিশেষ করে ঢাকা রমনা পার্কে, ধানমন্ডি লেকে আরো অনেক স্থানে বাড়ির বেডরুম মনে করে নিজেদের লজ্জাকে গুলিয়ে খেয়ে একে অপরকে যে ভাবে বাহু বন্ধনে আবদ্ধ করে বসে গল্পের নামে শরিরীক ক্রিয়াকলাপ প্রদর্শন করে তাতে স্বামী-স্ত্ত্রীর মধ্যে এত সুগভীর সমপর্ক আছে কিনা তা আজ প্রশ্ন বিদ্ধ। কারন সমপর্কের নামে যে হোলি খেলা সমাজে ক্যান্সারের ন্যায় ছড়িয়ে পড়েছে তার বিহিত না করতে পাড়লে অনতি বিলম্বে আরো অনেক রকম সংস্কৃতির খেলা আমরা দেখতে পারব যা পারিবারিক কাঠামো বলে কিছু আর রাখবে না। আমি কাক , আমি কোকিল নয় , তাই হয়তো কোকিলের মত সুমিষ্ট সুরে গান গায়তে পারি না , কাকের মত কা ,কা করে গান গায়। জানি সে গান post modernization যুগের প্রগতিশীল মানুষদের ভাল লাগবে না, তারা আমায় প্রগতিবাদী বলে অভিহিত করবে , হয়তো বলেই বসবে উনি মেৌলবাদী। কোকিলের সুমিষ্ট সুরে সভ্যতার নগ্ন সমাজকে যদি বদলান যেত তাহলে আমার মত কাকের কা ,কা না করলেও চলতো।
বড় আফসোসের বিষয় যে , আজকে সমাজের কর্ণধাররা সভ্যতার বড়াই করে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে আপন সংস্কৃতির সেই মুল্যবান কৃষ্টি , আর তারই ভাব ধারাই তারা বলছে, “ নগ্নতা অশ্লীলতা নয় ” এটা একটা শিল্প। আমার প্রশ্ন সমাজের সুস্থ মানুষ গুলোর কাছে মানুষের জৈবিক প্রক্রিয়াকে তাদের মা , বাবা , ভাই , বোনদের সামনে উপস্থাপন করে এটা কিভাবে রাতারাতি শৈল্পিকতায় রুপ পেল ? এখনো কি আমরা সুস্থ মানুষ হয়ে বলতে পারিনা যে, তারা সমাজকে উলঙ্গ করে আমাদের আগামি দিনের প্রজন্মকে সুস্থ মনোভাব বিকাশের পরিবর্তে অশ্লীলতার একটি শৈল্পিক সমাজ তৈরিতে সর্বদা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা শুধু মুখেই বলে চলেছি সুস্থ সমাজ ও সুস্থ বিনোদনের কথা এটাকে কাজে পরিনত করার কোন জোরাল প্রয়াস এখনো গ্রহন করিনি । তাহলে কি আমরা চায়ছি আমাদের সন্তানেরা আমাদের সামনে বেলেল্লাপনা প্রদর্শন করুক। না আমরা তা কখনোই চায়না।
এজন্য একদিকে যেমন আপনাকে আমাকে কাজ করতে হবে তেমনি সরকারকে হাতে নিতে হবে সুস্থ সমাজ গড়ার প্রয়োজনীয় কর্মসুচী এবং তা কার্যকর করার যথাযথো ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। আমার কথা গুলো যদি খারাপ হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের সভ্যতার অবদান আপনাদের পায়ের ছেন্ডেল কষ্ট করে খুলে আমার কাকের মত কুৎসিত গালে একটি ঘা বসিয়ে দিয়ে যান, তাহলে ভাববো সভ্যতা আজ মাতৃগর্ভের বাইরে চূড়ান্ত রুপ লাভ করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।