আগে আমরা পেপার, পত্রিকা ও টিভিতে দেখতাম ঢাকার গৃহিনীরা খুব আরাম করে রান্না করছেন । তাদের নাই কোন ধোয়ার যন্ত্রনা, বৃষ্টি-বাদল কোন সমস্যাই না ।
তারা খুব আরামেই রান্না বান্না করছেন । এমন কি তাদের ভিজা কাপড় র্পযন্ত সেখানে খুব আরামে শুকান । বৌ দের এমন বেহিসেবি কাজ দেখেও র্কতা চুপ ।
কারন এতে তার মানি ব্যাগের ওজন কমেনা ।
আর আমাদের রাজশাহীবাসীর মা- বৌরা এসব দৃশ্য দেখে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলতেন । আর তাদের স্বামী দেবকে উঠতে বসতে খোটা দিতেন । স্বামী বেচারা কি আর করবেন, বৌ কে বোঝাতেন- "দেখো দেশের প্রধানমন্ত্রীতো আমি না ।
আমার হাতে তো আর দেশ চলেনা তাদের (সরকার) যখন ইচ্ছা হবে তখন আমরা গ্যাস অবশ্যই পাব ।
এভাবেই দিনযায় রাত যায় ।
অব শেষে একদিন খবর আসে রাজশাহীতে গ্যাস আসবে, আমাদের তো মাহা আনন্দ । গ্যাস লাইনের খোড়াখুড়ি বাসের জানালা দিয়ে দেখতে ভালই লাগতো । মাঝেমাঝে দুএকবার গিয়ে দেখেও এসেছি
কতো রকমের যন্ত্রপাতি তার কত রকম কাজ । আমার জানাই ছিলনা আমাদের দেশে এতো পরিমান বুলড্রেজার আছে ।
তারা চোখের পলকে আবাদী জমির বুক চিরে রাস্তা করে ফেললো । একই সাথে প্রায় এক
মানুষ সমান র্গতোও করে ফেলছে সাথসাথেই । এভাবেই খুব দ্রুতোই গ্যাস পাইপ রাজশাহী শহরে ঢুকে পড়লো । এর পরেই শুরু হলো শান্তির শহর রাজশাহী বাসির চরম দুর্ভোগ । শহরে মাঝে মাঝে
খোড়া খুড়ি হতো তবে গ্যাস লাইনের জন্যে যেভাবে খোড়া হচ্ছে তার কাছে ওসব কিছুই না ।
নগরীর লক্ষিপুর কাচাবাজার এলাকায় গিয়ে আমার তো চক্ষু চড়ক গাছ । রাস্তার মাঝ বরাবর খোড়া খুড়ি
হচ্ছে । রিক্সা তো দুরের কথা মানুষ যাতায়াতেরই কোন জায়গা নাই । এলাকা বাসির দুর্ভোগ চরমে তার পরেও তারা চুপচাপ, গ্যাসটা অন্তত আসুক । এখন আমার মনে প্রশ্ন জাগছে এই গ্যাস না আসতেই
এমন দুর্ভোগ আসলে নাজানি কি হবে ।
আপনারা কি মনে করেন ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।