আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এটি কিন্তু কবিতা নয়, বিশ্বাস না হয় পড়ে দেখুন, ইন্টারেস্টিং!!

এই ব্লগের কোন লেখা আমার অনুমতি ব্যতীত কোথাও ব্যবহার না করার অনুরোধ করছি

পরিচিত কবেকার সুখস্মৃতিগুলো সব হারিয়েছে শোভা লিপ্ত হয়েছে সর্বনাশা নেশায়, নিভিয়ে জীবনের সব আলো আমিও, কোন এক ফাঁকে, মিশে গেছি দ্রুত, যদিবা মিলে যায় কোন সহজ সরল পথ, হতাশার ক্রুর হাসি তোয়াক্কা না করে যদি বেঁচে থাকা যায়, যদি শূণ্যতা মাঝে পেয়ে যাই বাঁচার অবলম্বন, তবে জীবনের বাকি কেন্দ্রীভূত দুঃস্বপ্নগুলো আর কাঁদাবেনা আমায়, আমার ভীতু কদাকার বীভৎস অথর্বতা বুঝে যাবে, নীচতা কত দামি! তবু, প্রাপ্তি কোন নির্ভাবনার প্রহর নয়, কেবল জন্ম নেয়ার সাজা টানা, একঘেঁয়ে নেশাসক্ততা এখন শুধায়, কোথায় জীবনের অবলম্বন? এই কবিতাটি লিখেছিলাম ২০০৪ সালের কোন এক বিষণ্ন রাত্রিতে, অনেকটাই সুখ মেশানো ছিল সেই সৃষ্টিতে, কিছুটা উল্লাসও আমি অনুভব করেছিলাম, সৃষ্টি সুখের উল্লাস,আমি জানতামও না, তুমি একদিন আমার কাছে এতটাই নিরর্থক হয়ে উঠবে। আমি তখন কম্পিউটার কৌশলের ছাত্র ছিলাম না, প্রকৌশলী হবার স্বপ্নও ছিল না, জানতাম না ক্রিপ্টোগ্রাফি কী, এনক্রিপশন কাকে বলে, কী করে এনকোড করে একটি বার্তা লুকিয়ে রাখা যায়; শুধু জানতাম, এমন কিছু লিখতে হবে, যা তোমাকে চমকে দেবে। তখন আমি মাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি, কবিতা কী করে লিখতে হয় তাও জানতাম না, কী করে বিশুদ্ধ পঙক্তির পর পঙক্তি বসিয়ে তৈরী করতে হয় একটি নিটোল কবিতা, আমি সেগুলো জেনেছি আরও অনেকদিন পর, যখন আমি উচ্চমাধ্যমিকে পড়ি। তবু আমি লিখেছিলাম একটি কবিতা, তোমার জন্য, আমি জানি না, তুমি সেটা কখনও পড়েছিলে কী না। আমি চাই না, এখনও তুমি এটা পড়, কারণ, এটা আর কোন অর্থ বহন করে না, তোমার জীবনে তো নয়ই, আমার জীবনেও নয়। আজ অনেকদিন পর, যখন আমি কম্পিউটার কৌশলের একজন তুখোড় ছাত্র, যখন গভীর রাতে চেষ্টা করছি একটি নতুন ধরণের এনক্রিপটেড বার্তা তৈরী করার, যেটি গতানুগতিক নয়, যেখানে অনায়াসে আমি লুকিয়ে রাখতে পারব আমার অনেক অনেক কথা, খুব সহজ কিছু বাক্যের আড়ালে; তখন, ঠিক তখন, আমার মনে পড়ল এই কবিতাটির কথা, মনে পড়ল, আমি কখনও কবিতা লিখতাম, আমি কখনও বাংলা সাহিত্যে পড়ার স্বপ্ন দেখতাম, আমি কখনও তোমাকে ভালবাসতাম! আমার আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ এই কবিতাটি আমি অনেককেই পড়তে দিয়েছিলাম, মতামত সবাই একটাই দিয়েছিলঃ অবিন্যস্ত ভাষার অপরিণত ব্যবহার! তাদেঁর আমি মনোযোগ দিয়ে পড়তে বলেছিলাম কবিতাটি, তাঁরা কেউই লক্ষ্য করেননি, যাঁরা এতক্ষণ উপরের কবিতাটি পড়লেন, তাঁরাও হয়তো লক্ষ্য করেননি, এখন সেটি দেখাচ্ছি। প্রতিটি লাইনের বাম দিকের প্রথম অক্ষরটি উপর থেকে নিচে পড়ে যান, এরপর পড়ুন প্রতিটি লাইনের ডান দিকের প্রথম অক্ষরগুলো, উপর থেকে নিচে। পরিচিত কবেকার সুখস্মৃতিগুলো সব হারিয়েছে শোভা লিপ্ত হয়েছে সর্বনাশা নেশায়, নিভিয়ে জীবনের সব আলো আমিও, কোন এক ফাঁকে, মিশে গেছি দ্রুত, যদিবা মিলে যায় কোন সহজ সরল পথ, হতাশার ক্রুর হাসি তোয়াক্কা না করে যদি বেঁচে থাকা যায়, যদি শূণ্যতা মাঝে পেয়ে যাই বাঁচার অবলম্বন, তবে জীবনের বাকি কেন্দ্রীভূত দুঃস্বপ্নগুলো আর কাঁদাবেনা আমায়, আমার ভীতু কদাকার বীভৎস অথর্বতা বুঝে যাবে, নীচতা কত দামি! তবু, প্রাপ্তি কোন নির্ভাবনার প্রহর নয়, কেবল জন্ম নেয়ার সাজা টানা, একঘেঁয়ে নেশাসক্ততা এখন শুধায়, কোথায় জীবনের অবলম্বন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।