পরজীবীর মত বেঁচে আছি। সবার শ্রম আর ঘামের উপর দখলদারিত্ব করে। আমার মত অসৎ সকলে, যারা উৎপাদন ও শ্রমের সাথে যুক্ত না হয়ে বেঁচে থাকে।
খালেদা-হাসিনার মতো নির্বোধ প্রধানমন্ত্রী এই পৃথিবী একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না কারণ_এরা দুজনই আমেরিকার ১০০% দালাল। তাদের কথায় এরা জীবনও দিতে প্রস্তুত।
আর এরা খালি বলে আমি এই করছি--সেই করেছি। আসলে এরা কিছুই করেনি। বরং জনগণের টাকা নিয়ে নিজেরা চলে। ১ টাকাও শ্রম দিয়ে অর্জন করেনি।
http://www.biplobiderkotha.com
সাম্রাজ্যবাদীদের নগ্ন থাবা মুক্তিকামী মানুষের স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করে দিতে আজও তৎপর।
এই জন্য তারা তথাকথিত ‘মুক্তবাজারের’ জালে আবদ্ধ করে, বহুজাতিক কোম্পানীর মাধ্যমে, বিশ্বব্যাংক-আই.এম.এফ-ডব্লিউ টি ও প্রভৃতি সংস্থাকে ব্যবহার করে অর্থনৈতিক শোষণ পরিচালনা করে। বৈষম্য ও নির্ভরতা বাড়িয়ে তোলে। মার্কিন নেতৃত্বে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আমাদের মত দেশকে পদানত রাখতে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়, দেশে দেশে যুদ্ধ বাধায়। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্রষ্টা ছিলো এই সাম্রাজ্যবাদ যেখানে কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করা হয় ।
আর সেই প্রতিক্রিয়াশীল আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকে লালন-পালন করে চলেছে দেশের বর্তমান শাসক-শোষক শ্রেণী।
সামপ্রদায়িকতা, স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা, মুক্তবাজারের নামে লুটপাটতন্ত্র, বিশ্বায়নের নামে সাম্রাজ্যবাদী শোষণ-আগ্রাসন ইত্যাদির ফলে ছাত্রসমাজের প্রত্যাশা ও সুন্দর স্বপ্নগুলো প্রতিনিয়ত নানাভাবে বিনষ্ট হচ্ছে
সাম্রাজ্যবাদী, পুঁজিবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলো তাদের হীনস্বার্থ উদ্ধারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতির স্বাধীনতা, জাতীয় অধিকার, প্রগতি ও আত্মবিকাশের পথে বাধার সৃষ্টি করে। বিভিন্ন স'ানে তারা মানব সভ্যতা বিরোধী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের আশ্রয় নেয়। কোথাও ঘৃণ্য গণহত্যার মাধ্যমে বিভিন্ন জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করে। এরা বর্ণবৈষম্য, ধর্মীয় বিভেদ, জাতিগত বিরোধ সৃষ্টি করে। নানা প্রতিকূল অর্থনৈতিক শর্ত চাপিয়ে দিয়ে, পুঁজিবাদী বাজার অর্থনীতির জালে আবদ্ধ করে ও বিভিন্ন কলাকৌশলে তারা নয়া ঔপনিবেশিক শোষণ ও লুণ্ঠন চালায়।
বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ও তাদের জনপ্রিয় নেতা-নেত্রীদেরকে হত্যা করার চক্রানে- এরা সক্রিয়ভাবে সামিল রয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ, বিশেষ করে তার মোড়ল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, দেশে দেশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে তুলে অস্ত্র ব্যবসায় বিপুল মুনাফা লুটে নেয়। এভাবে তারা বিশ্বকে একটি পারমানবিক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ গোটা বিশ্বকে তার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে
দেশের শতকরা ৮০ ভাগ লোক তিন বেলা খেতে পায় না, শতকরা ৫৫ ভাগ লোক ২ বেলা খেতে পায়না। উত্তরবঙ্গে মঙ্গা, তাছাড়া সারাদেশব্যাপী নীরব দুর্ভিক্ষ লেগেই আছে।
প্রায় তিন কোটি কর্মক্ষম মানুষ বেকার। বি.এন.পি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামের মত প্রতিক্রিয়াশীল বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলো দেশের মানুষের সমস্যাকে গুরুত্ব দেয় না। বরং ক্ষমতার জন্য সন্ত্রাস, খুন-ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, টেণ্ডারবাজি, দুর্নীতি, লুটপাট, শোষণ লুন্ঠনের রাজনৈতিক কূটচাল ও ষড়যন্ত্রের খেলা পরিচালনা করে। ক্ষমতায় থাকার জন্যে এরা সাম্রাজ্যবাদের কাছে নতজানু থাকে। ফলে আমাদের অভ্যন-রীণ রাজনীতিতে সাম্রাজ্যবাদীরা হস-ক্ষেপ করার সুযোগ পাচ্ছে।
এরা আমাদের অর্থনীতিকে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দোসর বিশ্ব ব্যাংক, আই.এম.এফ ও ডব্লিউ.টি.ও’র হাতে তুলে দিয়েছে। যার ফলে আমাদের শিল্প-কৃষি ধ্বংস হচ্ছে। দিন দিন দরিদ্র হচ্ছি আমরা, দরিদ্র হচ্ছে আমাদের দেশ।
লুটপাটকারী বিত্তবানদের নেতৃত্বে পরিচালিত রাজনৈতিক দলগুলো তাই নিজেদের শ্রেণী স্বার্থের রাজনীতিকে স'ুল একটি গণ্ডির মধ্যে আটকে রাখে, রাখতে চায়। যাতে কখনো সাধারণ মানুষের ভাগ্য বদলের লড়াই তীব্র ও শানিত না হয়।
সব সময়ই যেন জনগণ এদের সৃষ্ট রাজনৈতিক চক্রে ঘুরপাক খেতে থাকে, সেটাই তারা নিশ্চিত করতে চায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।