যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
এবার পহেলা বৈশাখে ইলিশের বদলে রুই মাছের ছড়াছড়ি দেখে কিঞ্চিত উল্লসিত। এতকাল ইলিশের যে আভিজাত্য লক্ষ্য করা গেছে সেটা সম্ভবত আর থাকছে না। রুইও দেশী মাছ, ইলিশের মত - বরঞ্চ গ্রামের সব পুকুরেই সহজলভ্য, তদুপরি ইলিশের মত দুর্মূল্য নয়। পান্তা-ইলিশের সাথে সাথে পান্তা-রুইয়ের কথাও এখন জোরেশোরে শোনা যাবে।
নববর্ষের প্রধান উৎসব যেখানে হয় সেই রমনা-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঞ্চলে পহেলা বৈশাখে পদার্পণ করা এখন চন্দ্রযাত্রার মত দাড়িয়েছে।
দীর্ঘপথ হাঁটতে হবে, রৌদ্রে পুড়তে হবে, পদপিষ্ট সহ্য করতে হবে - অতপর যদি রমনার ধারেকাছে যাওয়া সম্ভব হয়। সেজন্য সম্ভবত এখন ঢাকার ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় জনসমাগম হওয়া শুরু হয়েছে। যেমন, লালমাটিয়া স্কুল মাঠ, রবীন্দ্র সরোবর, গুলশান পার্ক, উত্তরার কয়েকটা খেলার মাঠ, চন্দ্রিমা, মিরপুরের বেশ কিছু জায়গায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দিনভর চলেছে বিভিন্ন ক্লাব-সমিতির আয়োজনে ওপেন কনসার্ট এবং গেটটুগেদার। এসব জায়গায় লোকসমাগম প্রচুর হচ্ছে যদিও রবীন্দ্র সরোবর, লালমাটিয়া স্কুল ছাড়া অন্য অনুষ্ঠানগুলোর স্টেজে কোনো প্রফেশনাল শিল্পী খুঁজে পাওয়া যায় না। আয়োজক, দর্শক, আমন্ত্রিতরা যে যার ইচ্ছেমত গান গাইছে।
রমনা বটমূলের মত পুরো শহরটাই যেন হয়ে উঠেছে উৎসবের নগরী।
পহেলা বৈশাখ কে উপলক্ষ করে বৈশাখী মেলার পরিমানও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মেলাগুলোতে জনসমাগমের পরিমানও অকল্পনীয়। কোন মেলা সপ্তাহব্যাপী আবার কোনটা মাসব্যাপী চলছে। এসব মেলাতে বাহারী পন্যের দোকান থেকে শুরু করে নানা আয়োজনের সমারোহ থাকছে, কোথাও রাধাচক্র, চড়কা, পুতুল নাচ, শারিরীক কসরত, ম্যাজিকশো।
নববর্ষের সংস্কৃতিতে ব্যাপকতার হাওয়া লেগেছে। দিনব্যাপী উৎসবের পূর্বপ্রস্তুতি চলে, নির্বাচিত পোষাকের ক্রয়-বিক্রয় চলে। সবচেয়ে বড় যে বিষয় তা হলো নববর্ষই একমাত্র উৎসব যার সাথে অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্ত্বার সরাসরি সংযোগ রয়েছে। বলা চলে, এদেশের প্রধান জাতিয় উৎসব এখন নববর্ষই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।