আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্যাটিনসন-ক্রিস্টেন সম্পর্কের ইতি

সম্প্রতি ‘টোয়াইলাইট’খ্যাত বহুল আলোচিত তারকা-যুগল রবার্ট প্যাটিনসন ও ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশিত হলেও কারণটা ছিল অজানা। এবার সেই কারণও প্রকাশিত হলো। জানা গেছে, রুপার্ট স্যান্ডার্সের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ না করায় ক্রিস্টেনকে ছেড়ে চলে গেছেন প্যাটিনসন।
নির্মাতা রুপার্ট স্যান্ডার্সের সঙ্গে ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টের পরকীয়ার খবর ফাঁস হওয়ার পর এখন পর্যন্ত জল কম ঘোলা হয়নি। এত কিছুর পরও যোগাযোগ বন্ধ করেননি তাঁরা।

দিন কয়েক আগে নিজের ২৭তম জন্মদিনে প্রেমিকা ক্রিস্টেনের ফোনে রুপার্টের বার্তা দেখার পর সম্পর্কের ইতি টানার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন রবার্ট প্যাটিনসন। এরই মধ্যে তিনি ক্রিস্টেনকে ছেড়ে চলে গেছেন।
১৩ মে ছিল প্যাটিনসনের ২৭তম জন্মদিন। সেদিন সকালে ছবি তোলার জন্য তিনি ক্রিস্টেনের ফোন হাতে নেন। ওই সময় গোসল করছিলেন ক্রিস্টেন।

হঠাত্ করে ক্রিস্টেনের ফোনে ভেসে ওঠে রুপার্টের পাঠানো বার্তা। সেটা দেখার সঙ্গে সঙ্গে চার বছরের সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন এ ব্রিটিশ অভিনেতা। ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে এমনটিই জানিয়েছে সান অনলাইন।
সূত্রটি আরও জানায়, ক্ষিপ্ত প্যাটিনসনকে মানানোর অনেক চেষ্টা করেছেন ক্রিস্টেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কোনো অবস্থাতেই তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যেন হাজির না হন ক্রিস্টেন। গত মার্চে পুনর্মিলনের পর ক্যালিফোর্নিয়ায় ক্রিস্টেনের সঙ্গে এক বাড়িতেই ছিলেন প্যাটিনসন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি সেই বাড়ি থেকে নিজের সব জিনিসপত্র ট্রাকে বোঝাই করে বের হয়ে যান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাইয়ে নির্মাতা রুপার্ট স্যান্ডার্সের সঙ্গে ক্রিস্টেনের ঘনিষ্ঠতার খবর ও ছবি ফাঁস হওয়ার আগে পর্যন্ত হলিউডে এক বাড়িতেই থাকতেন ক্রিস্টেন ও প্যাটিনসন। কিন্তু প্রেমিকার কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রতারিত হওয়ার পর প্যাটিনসন সেই বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলেন।

প্রকাশ্যে নিজের ভুল স্বীকার করে এবং বারবার ক্ষমা চেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রেমিক প্যাটিনসনকে ফিরে পান ক্রিস্টেন। গত সেপ্টেম্বরে সব দ্বন্দ্ব দূরে ঠেলে আবার একে-অন্যের জীবনে ফিরে আসেন পর্দা ও বাস্তবের এ জুটি। লস অ্যাঞ্জেলেসে একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন তাঁরা।
কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে আবার টানাপোড়েন শুরু হয় এই জুটির সম্পর্কে। ‘দ্য রোভার’ ছবির শুটিংয়ের কাজে ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়া চলে যান প্যাটিনসন।

তিনি সেখানে থাকার সময় ক্রিস্টেনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। প্রেমিককে মানাতে ক্রিস্টেন অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চাইলেও তাঁকে সেখানে যেতে বারণ করেন প্যাটিনসন।
কিন্তু যেকোনো উপায়ে প্রেম টিকিয়ে রাখার ঘোষণা দেন ক্রিস্টেন। শেষ পর্যন্ত প্রেমিক প্যাটিনসনকে ঠিকই মানিয়ে ফেলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ায় শুটিং শেষ করে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে প্রেমিকার কাছে ফিরে যান প্যাটিনসন।

গত দুই মাস বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রুপার্ট স্যান্ডার্সের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ না করায় শেষ পর্যন্ত ঠিকই প্রেমিক প্যাটিনসনকে হারাতে হলো ‘টোয়াইলাইট’ তারকা ক্রিস্টেনকে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।