জীবনের এত গভীরে প্রবেশ করে কি লাভ, জীবনটা হউক হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যের মত !
বিতর্কিতদের বিচারপতি নিয়োগের উদ্যোগে বিতর্কের ঝড় : ১১ এপ্রিল আমার দেশের একটি শিরোনাম। বিস্তারিত বিবরণে বলা হয়েছে খুনের মামলার আসামি ও সুপ্রিমকোর্টে ভাংচুরকারী আইনজীবীকে বিচারপতি নিয়োগের জন্য প্রধান বিচারপতি কিভাবে সুপারিশ করছেন সে প্রশ্ন উঠেছে আইনজীবীদের মধ্যে। সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি হওয়ার মতো দক্ষ-অভিজ্ঞ আইনজীবী থাকার পরও এ ধরনের বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিচারপতি নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এরসাথে একজন খুনের চার্জশিটভুক্ত আসামিও বিচারপতি হওয়ার খবর দেয় পত্রিকাটি।
এর দুই দিন আগে পত্রিকাটির প্রথম পাতায় লীড হয়েছে বিচারপতি নিয়োগে চরম অনিয়মের খবরটি।
সবার উপরে পাঁচকলামে দুটি ছবি। ছবির উপর লাল বর্ডারের মাঝে সাদা কালিতে লেখা রয়েছে বিচারব্যবস্থার এ কী হাল। প্রথম ছবির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর আওয়ামী আইনজীবীদের নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের নজীরবিহীন ভাংচুরের সময় দরজায় লাথি মারছেন খসরুজ্জামান। পরের ছবিটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী সম্প্রতি লন্ডনে আওয়ামীলীগ ও ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকের ছবিটিতে লাল বৃত্ত দিয়ে তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ছবি দুটির নিচে পত্রিকাটি আলাদা দুটি সংবাদও করেছে। প্রথমটিতে লেখা হয়েছে, প্রধান বিচারপতির এজলাসসহ সুপ্রিমকোর্টে ভাংচুরে নেতৃত্বদানকারী আইনজীবী খসরুজ্জামানকে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তিনি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদ্য বিদায়ী সভাপতি এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিনের মেয়ের জামাতা। দ্বিতীয় খবরটি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর দলীয় সমাবেশে যোগদান নিয়ে।
বিচারপতি ফায়েজির কথা কেউ এখনো ভুলে যায়নি।
তার বিরুদ্ধে খুন করা, কাউকে আক্রমণ হামলা করা বা ভাংচুর করারও অভিযোগ ছিল না। তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তোলা হয়েছিল তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন নম্বরপত্র জালিয়াতি করেছিলেন। মার্কশিটে ঘষামাজা করার অভিযোগ ছিল। সে ঘষামাজাটি কে করেছিল তার হদিস পাওয়া না গেলেও প্রথম আলোসহ প্রধান সব সংবাদমাধ্যমের অব্যাহত খবর প্রচারে তিনি নাজেহাল হন। চাকুরী হারানোর মতো নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে।
বিশেষ করে বিচার ব্যবস্থার শুদ্ধতার জন্য প্রথম আলো তার বিরুদ্ধে অত্যন্ত সোচ্চার থাকলেও এবার বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কোন সংবাদই দিচ্ছে না পত্রিকাটি। বিচার ব্যবস্থার নানা অনিয়ম নিয়ে পত্রিকাটির সহকারি সম্পাদক মিজানুর রহমান অসংখ্য নিবন্ধ লিখেছেন। এবার তিনিও নিশ্চুপ।
এবার খুনের মামলার আসামি, সুপ্রিমকোর্টে ভাংচুরকারী এবং দলীয় অনুষ্ঠানে যোগদানকারিরা এরইমধ্যে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
তারা খুনি ও হামলাকারিকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না দেয়ার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানালেও কোনো কাজ হয়নি। এই সংবাদটিও সংবাদপত্রে ঠিকভাবে আসেনি। কালের কণ্ঠ এদিন বরং প্রধান শিরোণাম করেছে এভাবে, হাইকোর্টে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের নৈরাজ্য। কি কারণে আইনজীবীরা এতটা উত্তেজিত তার বিবরণ দেয়নি পত্রিকাটি। অন্যদিকে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় আহমদ আকবর সোবহানকে নিয়ে একটি দুই কলামের সংবাদ থাকলেও বিচারপতি নিয়োগে চরম অনিয়মের খবরটি যায়গা পায়নি।
হাইকোর্টে ১৭ জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ শিরোণামে একটি খবর শেষের পাতায় এক কলামে ছেপেছে পত্রিকাটি। ডেইলি স্টার, সমকাল এবং যুগান্তরেরও একই অবস্থা। সংবাদমাধ্যমের এ ধরনের ভূমিকা রহস্যজনক। ফায়েজির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু এবারের এসব আইনজীবীর বিরুদ্ধে ছবি, ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।
তাছাড়া খুনের মামলাটি কয়দিন আগে রাজনৈতিকভাবে তুলে নেয়া হয়েছে।
শশ্রুমন্ডিত হওয়ায় এক লন্ডন প্রবাসীকে বিমানবন্দরে হেনস্তা করার খবর দিয়েছে আমার দেশ। সাদা পোশাকে গোয়েন্দাবাহিনী তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনে। তিনি জানান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই তিনি লন্ডনে বসবাস করছেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি প্রবাসে থেকে এর পক্ষে কাজ করেছেন। নিজে চাঁদা দিয়েছেন, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলেন। তাতেও কাজ হয়নি। পরে লন্ডন থেকে এক আওয়ামীলীগ নেতা ফোন করেন। তাতেও তিনি ছাড়া পান নি।
এরই মধ্যে এমিরেটস এয়ারলাইনস এর ফ্লাইট ছেড়ে যায়। নির্ধারিত ফ্লাইটে তিনি পরিবারের সদস্যসহ লন্ডনে যেতে পারেন নি। সব টিকিটের টাকা গচ্চা গিয়েছে। ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে সাদা পোশাকধারিরা তার কাছে টাকা চায়। ভদ্রলোকটি পরিবারসহ দারুনভাবে হেনস্তা হয়ে পরদিন অন্যএকটি ফ্লাইটে লন্ডন ফিরেন।
কালের কণ্ঠ সরকারের ঘোরতর সমর্থক একইসাথে ভারতবান্ধব। অন্তত এতদিনকার সংবাদ উপস্থাপন সেরকমই ছিল। ১৩ এপ্রিল তাদের প্রধান শিরোণামটি দেখে মনে হবে তারা পুর্বের নীতি থেকে সরে আসছে। শিরোণামটি ছিল। ভারত থেকে বিদ্যুত পেতে হবে কঠিন শর্তে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে একচেটিয়া ভারতের সব দাবি দাওয়া মিটিয়ে আসলেও পত্রিকাটির সংবাদে সেগুলো মোটেই আসেনি। তারা এক্ষেত্রে লুকোনোর মানসিকতাই দেখিয়েছে। এবারকার সংবাদটি সেদিক দিয়ে একেবারেই ব্যতিক্রম।
খবরের বিস্তারিত বিবরণে পত্রিকাটি লিখেছে, বিদ্যুৎ সংকটে হাবুডুবু খাওয়া বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিন শর্তেই ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেনার চুক্তিপত্রের খসড়া তৈরি হলো। দুই দেশের আলোচনার ভিত্তিতে তৈরি খসড়া চুক্তিটির বেশিরভাগ শর্তই বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠোর।
খসড়ায় উল্লেখ করা হয় আমদানি করা বিদ্যুতের দাম ঠিক করবে ভারত। বিল প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। দুই মাসের বিল বকেয়া পড়লেই ভারত সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করতে পারবে। প্রতিবেদনটি রীতিমতো অবিশ্বাস্য। বাংলাদেশের ভারতের মধ্যে বিবদমান ইসুগুলোতে এর আগে পত্রিকাটি একতরফা ভারতে পক্ষেই সাফাই গেয়েছে।
১৪ এপ্রিল বৈশাখের প্রথম দিন অর্থাৎ নববর্ষ। মানব জমিন নববর্ষের সংবাদের চেয়েও গুরুত্ব পেয়েছে দুটি সংবাদ। একটি জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রযুগলের লিভ টুগেদার। যার পরিণতি হয়েছে ছাত্রীটির আত্মহত্যার মধ্যে দিয়ে। অন্যটি পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ অবৈধ হওয়ার সংবাদ।
লিভ টুগেদারের সংবাদটিতে এক তরুনীর ছবি দেয়া হয়েছে। চোখে সানগ্লাস কপালে কালো টিপ। ইনসেটে দেয়া আছে এক যুবকের ছবি। শিরোণামের নিচে বডি হরফের চেয়ে বড় করে লেখা রয়েছে, আত্মহত্যা জাবি ছাত্রীর। পত্রিকাটি বিস্তারিত বিবরণে লিখেছে, অধ্যাপক দম্পতি এখন নির্বাক।
ক্ষোভ ও কষ্টে তারা পাথর। তাদের কখনো ভাবনাতেই ছিল- না প্রিয় মেধাবী কণ্যাটি ঢাকার অদূরে জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে লিভ টুগেদারের বলি হয়ে লাশ হবে। ... রুহি নামের জাবির অর্থনীতি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীটির আত্মহত্যার খবরটি আগের দিন পত্রিকায় এসেছে। মানবজমিন পরের দিন কিভাবে লিভ টুগেদারের শিকার হয়ে মেয়েটি ঝরে গেছে তা বিস্তারিত তুলে ধরেছে।
মেয়েটির বাবা ফেনী সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।
মা রাজধানীর কবি নজরল কলেজের অধ্যাপক। মেয়েটি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অত্যন্ত অগ্রসর ছিল। ২০০৩ সালে জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে প্রধান বক্তা হন। উচ্চমাধ্যমিকে আর্টস থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। দেখতে শুনতে বেশ।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র সাখাওয়াত তার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে রুহি বুঝতে পারে সাখাওয়াতের সঙ্গে একাধিক মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। রহি পিছু হটতে চাইছিল। সাখাওয়াত আগেই আপত্তিজনক কিছু ছবি তুলে রেখেছিল। যেগুলো দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্কে চেয়ে বেশি কিছু নির্দেশ করে।
এগুলো দেখিয়ে রুহিকে হুমকি দেয়। তুমি চলে যেতে চাইলে এসব ছবি ফাঁস করা হবে। রুহি আর পিছু হটেতে পারেনি।
চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে তারা স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নেয়। সেখানে তারা প্রায় নিয়মিত থাকতো।
বিষয়টি পরিবারের কেউ জানতো না। ঘটনার দিন দুজনের মধ্যে মনোমালিণ্য হয়। এরপর ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করে। মানবজমিনের প্রতিবেদনে ঘটনাটি এভাবেই বর্ণনা করা হয়। এরমাধ্যমে জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিস্থিতি আবারো সামনে আসলো।
এর আগে এক ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষনের সেঞ্চুরি উদযাপনের প্রকাশ্য ঘোষণার মাধ্যমে সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়।
মানব জমিনের অন্য উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনে জানা যায়, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে অসাংবিধানিক ও বাতিল ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। রিটকারির আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক জানান আদালতের এ রায়ের পর পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। আদালতের রায়ে বলা হয়, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ আইন রাষ্ট্রের একক চরিত্রকে ধ্বংস করেছে।
এদিন নয়া দিগন্তের একটি শিরোণাম ছিল, শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় ভারতে বিশেষ বাহিনীর প্রশিক্ষণ।
বিস্তারিত প্রতিবেদনে পত্রিকাটি লিখেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে ভারত মারাত্মক উদ্বিগ্ন। এমনকি বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরও আস্থা রাখতে পারছে না তারা। ভারত মনে করে শেখ হাসিনার জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধির মতো সর্বোচ্চ মাত্রার নিরাপত্তা প্রয়োজন। তাই তারা নিরাপত্তা সর্বোচ্চ মাত্র নিশ্চিত করার জন্য একদল যুবককে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এসব যুবককে যেকোনো ধরনের হামলা চেষ্টা মোকাবেলায় শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তত করা হচ্ছে।
সংবাদটির প্রথম প্যারার শেষ লাইনটি ছিল, টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এখানে অনুবাদ করে দেয়া হলো। অর্থাৎ ওই প্রতিবেদনে সারাংশটি দিয়ে পত্রিকাটি সুচনা লিখেছে। পরে পুরো সংবাদটি অনুবাদ করে ছেপে দিয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ভারতের হারিয়ানার মনেসরে অবস্থিত ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডে (এনএসজি) প্রশিক্ষণের জন্য একদল তরুণকে ইতোমধ্যে বাছাই করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে এই কমান্ডোরাই শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় পুরোভাগে থাকবে।
ডিএমপিতে বদলি আতঙ্ক
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত বেশিরভাগ পুলিশ অফিসার বদলি আতঙ্কে ভুগছেন। এরই মধ্যে কয়েকটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অদল বদল হয়েছেন। ঢাকা মহানগরীর থানাগুলোয় দায়িত্বপালন একটি বিরাট ব্যাপার। বিরাট ব্যাপার এ কারণে যে এখানে দায়িত্ব পালন করে এক একজন স্বল্প সময়ে বিশাল অর্থের মালিক হয়ে উঠেন বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। তাই এবারের রদবদল নিয়ে ভেতরে মহাকর্মকান্ড চলছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে ভিআইপি থানায় নিয়োগ পেতে ৪০ লাখ টাকা দাম উঠেছে। আরো বলা হয়েছে ‘আকর্ষণীয়’ থানায় নিয়োগ পেতে ‘প্রভাবশালীদের শুভ দৃষ্টি’ প্রয়োজন। এর জন্য নাকি মিডিয়াম্যানদের দরকার। পুলিশ কর্মকর্তারা এসব মিডিয়াম্যানদের মাধ্যমে প্রভাবশালীদের নজরে আসেন।
পুলিশ প্রশাসনের হাল কোন পর্যায়ে গিয়ে দাড়িয়েছে সংবাদ মাধ্যমের এ ধরনের অসংখ্য প্রতিবেদনের মাধ্যমে তা পরিস্কার হয়।
পুলিশের নিয়োগ বদলিতে উল্লেখিত প্রভাবশালী কারা এটা একটা বিরাট প্রশ্ন। পুলিশের বদলি নিয়োগ পদন্নোতি হবে পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে। দেখা যাচ্ছে একদল মিডিয়াম্যান আছেন যাদের মাধ্যমে প্রবাবশালী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশ অফিসাররা যোগাযোগ গড়ে তোলেন। তারপর একটি সমঝোতা হয় এবং কাঙ্খিত থানায় নিয়োগ পান। এ সমঝোতার জন্য পুলিশ অফিসারকে অবশ্যই কিছু দাসখত দিতে হয়।
আর সেটা যদি বড় অঙ্কের মাসোহারা দিয়ে নিয়োগ তাহলে তারচেয়ে বেশি হারে উৎকোচ তাকে আদায় করতে হবে। এজন্য সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলাই বেশি প্রয়োজন। কারণ সব ঠিক ঠাক চললে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে যারা দায়িত্ব নিবেন তা তারা উঠাবেন কিভাবে? তাহলে চুরি ডাকাতি ছিনতাই কমার প্রশ্নই উঠে না।
সরকার ক্ষমতার আসার পরই এক দফা পুলিশ প্রশাসনে গন বদলি করা হয়েছে। সে সময় বলা হয়েছে চারদলীয় জোট সরকারের সাজানো পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করতেই এ আয়োজন।
আবার কেনো মেট্রোপলিটন পুলিশে এত বিরাট বদলি। তাহলে কি জনগণ ধরে নেবে নিয়োগ বদলির মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী বড় অঙ্কের টুপাইস কামাবেন। এতে করে যারা নিয়ম অনুযায়ী চলতে চান, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চান তারা হয়রানির শিকার হবেন সন্দেহ নেই। কারণ তারা মিডিয়াম্যানদের দ্বারা তথাকথিত প্রভাবশালীদের কাছে তদবির করবেন না। বড় অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে নিয়োগ পাওয়ার কথা ভাববেন না।
অন্যদিকে অসাধু অফিসাররা এর সুবিধা নেবেন। যারা অবৈধ উপায়ে আয় করতে পছন্দ করেন। এরফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি কোনোরকমে আশা করা যায়না।
প্রকাশ্যে পুলিশের দুর্নীতির খবর মিডিয়ায় আসছে স্বাধীন দুর্নীতি কমিশনের কোন পদক্ষেপ দেখা যায় না। আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি যেহেতু বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সে দৃষ্টিকোণ থেকে দুদকের এটিকে আমলে নেয়া উচিৎ।
অন্যদিকে প্রভাবশালী যাদের কথা সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের চিহ্নিত করা কঠিন নয়। সরকার যদি সত্যিকার অর্থে শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চায় তাহলে এদের হাত থেকে পুলিশ বাহিনীকে রক্ষা করতে পারে। এর মাধ্যমে অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার হাত থেকে দেশ রক্ষা পাবে। আতঙ্ক কমবে সৎ অফিসারদের মধ্যে। সুশাসনের পথ উন্মুক্ত হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে জনগণ সেজন্য শক্তিশালি পদক্ষেপ আশা করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।